নৌপথে ঈদযাত্রা: নির্ধারিত ভাড়ায় যাত্রী বহনের নির্দেশ

ঈদযাত্রায় সরকার নির্ধারিত ভাড়ায় লঞ্চে যাত্রী বহনের নির্দেশ দিয়েছেন নৌউপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন।
তিনি বলেছেন, “নির্ধারিত ভাড়ার উপরে কোনো ভাড়া নিবেন না। উনারা এখন যে ভাড়াটা নেন- সেটা প্রকৃত ভাড়া নয়, নির্ধারিত ভাড়ায় এখন যাত্রী নিচ্ছেন না, যাত্রী কম থাকায় কম ভাড়া নিচ্ছেন।
“ঈদের আগে এই পনের রমজান থেকে (ভাড়ার তালিকা) টানিয়ে রাখবেন- যাতে যাত্রীরা দেখতে পান। এখন কত পয়সায় যাচ্ছে, নির্ধারিত ভাড়াটা কত। নির্ধারিত ভাড়ার বাইরে উনারা ভাড়া নিবেন না।”
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে নৌপথে ঈদযাত্রার প্রস্তুতিমূলক সভা শেষে তিনি এ কথা বলেন।
যাত্রীর নিরাপত্তায় প্রতিটি লঞ্চে চার আনসার সদস্য রাখতে বলা হয়েছে জানিয়েছেন সাখাওয়াত হোসেন।
তিনি বলেন, “যেই লঞ্চগুলো যাচ্ছে- তাদের বলা হয়েছে, একজন কমান্ডার ও তিনজন আনসারকে রাখার জন্য এবং আনসারে বিহেভিয়রের কথা বলা হয়েছে, আনসারের কাজ হচ্ছে যাত্রী সুরক্ষা দেওয়া।
“তাদের অন্য কোনো কাজ নাই, এটা মালিকরা দেখবেন। তাদের জন্য যে জায়গাটা দেওয়া হবে, তারা সেই জায়গাটাই ব্যবহার করবেন।”
অতিরিক্ত যাত্রী বহন করলে শাস্তি পেতে মন্তব্য করে নৌউপদেষ্টা বলেন, “অতিরিক্ত যাত্রী বহন করতে পারবেন না। অতিরিক্ত যাত্রী বহন করা হয়েছে কি না, এটা দেখার জন্য আমাদের ইন্সপেক্টর আছেন; শুধু সদরঘাটে না, রাস্তায় কোনো জায়গায়ও যদি দেখেন- অতিরিক্ত যাত্রী তুলেছে, সেটা দেখার জন্য কোস্ট গার্ড, নৌপুলিশ, নৌবাহিনীকেও বলেছি দেখার জন্য। কারণ নৌবাহিনীকে অ্যারেস্টের ক্ষমতা দেওয়া আছে।”
লঞ্চে ‘অহেতুক তল্লাশি’ না করার নির্দেশ দিয়ে সাখাওয়াত বলেন, “অহেতুক কোস্ট গার্ড, নৌ পুলিশ, র্যাব- তল্লাশি শুরু করবেন না। যদি করেন, আমি লঞ্চ কর্তৃপক্ষকে বলব- একটা অভিযোগ দেবেন, আমি ব্যবস্থা নেব। ওখানে বাগবিতন্ডা করার কোনো কারণ নেই।”
লঞ্চ ঘাটে যেসব কুলি কাজ করেন, তাদের জন্য ইউনিফর্ম দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন নৌউপদেষ্টা।
তিনি বলেন, “ঘাটগুলোতে যাত্রীরা যাতে স্বাচ্ছন্দে যাতায়ত করতে পারেন, সেজন্য ইজারাদারদের বলা হয়েছে এবং মালপত্র নেওয়ার জন্য যে কুলি দেওয়া হয়েছে, তাদের ইউনিফর্ম থাকতে হবে। যদি না থাকে, সেই ইজারাদারের বিরুদ্ধে অ্যাকশান হবে।”
রাতে স্পিডবোড ও বাল্কহেড না চালানোর নির্দেশ দিয়ে সাখাওয়াত বলেন, “রাতের বেলায় স্পিডবোড চলবে না, বাল্কহেড চলবে না এবং একটা লঞ্চ আরেকটা লঞ্চের সাথে প্রতিযোগিতায় নামবে না।
“ফিটনেস থাকতে হবে, কাল থেকেই ফিটনেস ইন্সপেকশন শুরু হবে। যারা যারা ঈদে চালাবেন- অনেকে ডকইয়ার্ডে ঠিকঠাক করতেছেন, তারা যেন ফিটনেস সার্টিফিকেটটা নিয়ে নেন। অন্যথায় রাস্তায় ধরে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তৃপক্ষ বা সরকার দায়ী থাকবে না।"
উপদেষ্টা সাখাওয়াত বলেন, “আমরা যতদূর সম্ভব- যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করেছি; লঞ্চ মালিকদের বলব-তারা যাতে নির্ধারিত স্পিডে চলাচল করে। শর্ট রুটে দিনের বেলা যারা চালাবেন, তাদের দরখাস্ত করতে হবে।
“এমনকি বরিশালেও দিনের বেলা যায়, আবার চলে আসে, তাদেরকেও আলাদাভাবে অনুমোদন নিতে হবে।”