পতেঙ্গায় পুলিশকে মারধরের ঘটনায় জড়িত সবাই আটক: স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

চট্টগ্রাম নগরের পতেঙ্গার আউটার রিং রোডে পুলিশের একজন এসআইকে মারধর করে ওয়াকিটকি, মোবাইল, মানিব্যাগ ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় ১২ জনকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
গত ২৮ ফেব্রুয়ারি এসআই ইউসুফ আলী কর্তব্যরত অবস্থায় এই হামলার শিকার হন।
মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঘটনার দিন জনতা ‘মব সৃষ্টিকারী’ দুই জনকে তৎক্ষণাৎ পুলিশে সোপর্দ করে। এর আগে খবর পেয়ে সৈকত এলাকায় টহলরত পতেঙ্গা থানা পুলিশের একটি দল ও আশপাশের লোকজন এসে এসআই ইউসুফ আলীকে উদ্ধার করে।
এরপর গত শনিবার রাতভর অভিযান চালিয়ে এ ঘটনায় জড়িত আরও ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পুলিশকে হেনস্থার ঘটনায় পতেঙ্গা থানায় দ্রুত বিচার আইনে একটি মামলা দায়ের হয়েছে।
“গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা পতেঙ্গা সি বিচে ত্রাস সৃষ্টি করে এসআই ইউসুফ আলীকে হেনস্তাসহ মোবাইল ফোন, মানিব্যাগ এবং ওয়াকিটকি ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় জড়িত। এছাড়াও তারা মাদক সেবন ও ছিনতাইয়ে জড়িত।”
শনিবার চট্টগ্রাম নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (মিডিয়া) মাহমুদা বেগম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছিলেন, “আউটার রিং রোডের পাশে একটু নিচে মাদকসেবীরা মাদক সেবন করছে এমন সংবাদ জানিয়ে জাতীয় জরুরি সেবা-৯৯৯ এ ফোন আসে।
“ওই সংবাদের ভিত্তিতে ফোর্সসহ এসআই ইউসুফ আলী সেখানে গিয়েছিলেন। সড়কের বিপরীত পাশে হওয়ায় গাড়িসহ অন্য সদস্যরা ইউটার্ন নিয়ে আসতে গেলে তিনি সড়ক থেকে নেমে লোকালয়ের দিকে গিয়েছিলেন।”
পুলিশ কর্মকর্তা মাহমুদা বেগম বলেন, “তখন এসআই ইউসুফ আলীকে একা পেয়ে মাদকসেবীরা তাকে ভুয়া পুলিশ আখ্যায়িত করে তার মোবাইল ফোন, মানিব্যাগ ও ওয়াকিটকি ছিনিয়ে নেয়।”
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, লাল রংয়ের একটি চেয়ার বসিয়ে এসআই ইউসুফ আলীকে ভুয়া পুলিশ বলতে বলতে একজন হাত চেপে, একজন চুল টেনে ধরে রাখে এবং কয়েকজন তার গায়ের পোশাক খুলে নেওয়ার চেষ্টা করে।
ওই সময় তিনি নিজেকে পতেঙ্গা থানার এসআই পরিচয় দিতে থাকেন এবং মোবাইল, মানিব্যাগ না নেওয়ার অনুরোধ করেন।
আইন নিজের হাতে তুল না নিতেও সবাইকে সতর্ক করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।