মঙ্গলবার ০৪ মার্চ ২০২৫, ফাল্গুন ২০ ১৪৩১, ০৪ রমজান ১৪৪৬

ব্রেকিং

৫,৪৯৩ জন চিকিৎসক নিয়োগ দেবে সরকার পতেঙ্গায় পুলিশকে মারধরের ঘটনায় জড়িত সবাই আটক: স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নতুন উপদেষ্টা সি আর আবরার, পাচ্ছেন শিক্ষার দায়িত্ব হাসিনার ফাঁসির আগে নির্বাচন নিয়ে কথা নয়: সারজিস সিভিল রেজিস্ট্রেশন কমিশন করতে আইনের খসড়া হচ্ছে হাসিনার কন্যা পুতুলের সূচনা ফাউন্ডেশনের ১৪টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ ‘মানসিক প্রশান্তি’ সারিয়ে তুলছে খালেদা জিয়াকে: ব্যক্তিগত চিকিৎসক মুক্তিযোদ্ধাদের ন্যূনতম বয়সসীমা নিয়ে আপিলের পরবর্তী শুনানি ১২ মার্চ বাস চালককে লাঠি দিয়ে ‘পেটালেন ইউএনও’, প্রতিবাদে শ্রমিক বিক্ষোভ কেবল সরকার বদলে জনকল্যাণ সম্ভব নয়: নাহিদ তারেক রহমান-মামুনের দণ্ডের বিরুদ্ধে আপিলের রায় ৬ মার্চ গুমের শিকার ৩৩০ জনের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা ক্ষীণ: গুম সংক্রান্ত কম ঢাকার বাতাস আজ ‘অস্বাস্থ্যকর’ শহীদ হতে মায়ের দোয়া চেয়েছিলেন খুবাইব মিয়ানমারের জান্তাপ্রধান রাশিয়ায়, বসছেন পুতিনের সঙ্গে ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা দেওয়া বন্ধ করলেন ট্রাম্প

জাতীয়

তারেক রহমান-মামুনের দণ্ডের বিরুদ্ধে আপিলের রায় ৬ মার্চ

 প্রকাশিত: ১৪:৫০, ৪ মার্চ ২০২৫

তারেক রহমান-মামুনের দণ্ডের বিরুদ্ধে আপিলের রায় ৬ মার্চ

অর্থ পাচার মামলায় বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে দেওয়া সাত বছরের কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে আপিলের  ওপর শুনানি শেষ হয়েছে।  

মঙ্গলবার (০৪ মার্চ) শুনানি শেষে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে আপিল বিভাগ রায়ের জন্য ৬ মার্চ দিন রেখেছেন।

 আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার শেখ মোহাম্মদ জাকির হোসেন।  দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আসিফ হাসান।

এর আগে ১০ ডিসেম্বর এ মামলায় মামুনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আপিলের অনুমিত দিয়েছিলেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে দণ্ড স্থগিত করা হয়। পরে মামুন আপিল করেন।

২০০৯ সালের ২৬ অক্টোবর রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় এ মামলাটি করে দুদক। এরপর ২০১০ সালের ৬ জুলাই তারেক রহমান ও গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করা হয়।

২০১১ সালের ৮ আগস্ট এ মামলায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করেন আদালত।

মামলাটিতে ১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়, যাদের মধ্যে চার্জ শিটের বাইরের সাক্ষী হিসেবে ছিলেন মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (এফবিআই) এজেন্ট ডেবরা লেপরোভেট।

মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, টঙ্গীতে প্রস্তাবিত ৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের কাজ পাইয়ে দেওয়ার জন্য নির্মাণ কন্সট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান খাদিজা ইসলামের কাছ থেকে গিয়াস উদ্দিন আল মামুন ২০ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার ৮৪৩ টাকা নেন। সিঙ্গাপুরে এ টাকা লেনদেন হয়।

এরপর মামুন ওই অর্থ সিঙ্গাপুরের ক্যাপিটাল স্ট্রিটের সিটি ব্যাংক এনএতে তার নামের ব্যাংক হিসাবে জমা করেন। এ টাকার মধ্যে তারেক রহমান তিন কোটি ৭৮ লাখ টাকা খরচ করেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে।

এ মামলায় ২০১৩ সালের ১৭ নভেম্বর তারেক রহমানকে বেকসুর খালাস দিয়ে গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে অর্থপাচার মামলায় ৭ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালত।

রায়ে কারাদণ্ডের পাশাপাশি মামুনকে ৪০ কোটি টাকা জরিমানাও করা হয়। পাচার করা ২০ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার ৬১৩ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করারও নির্দেশ দেন আদালত।

এ রায়ের বিরুদ্ধে ওই বছরের ৫ ডিসেম্বর আপিল করে দুদক। ২০১৪ সালের ১৯ জানুয়ারি এ আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন। পাশাপাশি গিয়াস উদ্দিন মামুনও আপিল করেন। দুই আপিলের শুনানি শেষে ২০১৬ সালের ২১ জুলাই  তারেক রহমানকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ২০ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়।

একই মামলায় গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের সাত বছরের কারাদণ্ডের সাজা বহাল রাখেন হাইকোর্ট।

বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আমির হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই রায় দেন।

ওই রায়ের বিরুদ্ধে গিয়াস উদ্দিন মামুন আপিল বিভাগে আবেদন করেন।