চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে শুনানি রোববার

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেয়া খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদকের আনা আবেদনের শুনানি আগামী রোববার।
হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে দুদক আলাদা আবেদন করেছে জানিয়ে বিষয়টি রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের সাথে ট্যাগ করে শুনানির জন্য সময় চান দুদকের পক্ষে সিনিয়র আইনজীবী আসিফ হাসান। এরপর জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির আপিল বিভাগ বেঞ্চ আজ শুনানি না করে ‘নট টুডে’র আদেশ দেন। ফলে বিষয়টি আবার আগামী রোববার শুনানির জন্য আসবে বলে জানান দুদকের আইনজীবী।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর রায় দেন বিচারিক আদালত। রায়ে খালেদা জিয়াকে ৭ বছরের কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়। এই রায়ের বিরুদ্ধে একই বছরের ১৮ নভেম্বর হাইকোর্টে আপিল করেন খালেদা জিয়া। একপর্যায়ে গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ৬ আগস্ট জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট ও জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় দণ্ড মওকুফ করে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়া হয়। তবে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে করা আপিল শুনানির উদ্যোগ নেন তার আইনজীবীরা। একপর্যায়ে এই মামলার আপিল শুনানির জন্য পেপারবুক (মামলার বৃত্তান্ত) তৈরির অনুমতি চেয়ে খালেদা জিয়ার আবেদন মঞ্জুর করেন হাইকোর্ট। এরপর শুনানি শেষে গত ২৭ নভেম্বর বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ খালেদা জিয়া ও অপর দু’জনের করা পৃথক আপিল মঞ্জুর করে বিচারিক আদালতের দণ্ড বাতিল করে খালাসের রায় দেন। খালেদা জিয়ার পাশাপাশি খালাস পাওয়া অপর দু’জন হলেন হারিস চৌধুরীর তৎকালীন একান্ত সচিব জিয়াউল ইসলাম ও সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।