শনিবার ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ফাল্গুন ১০ ১৪৩১, ২৩ শা'বান ১৪৪৬

জাতীয়

এবার দুই দিনের প্রতীকী অনশনে বসছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা

 প্রকাশিত: ১০:২৮, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

এবার দুই দিনের প্রতীকী অনশনে বসছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা

এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ, শতভাগ উৎসব ভাতা, সরকারি কর্মচারীদের মত একই হারে বাড়ি ভাড়া ও চিকিৎসা ভাতার দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষকরা এবার প্রতীকী অনশনে বসছেন।

শুক্র ও শনিবার দুই দিনের এই কর্মসূচির ঘোষণা এসেছে বৃহস্পতিবার শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচি থেকে।

এদিন সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা ফলপ্রসু হয়নি বলে তুলে ধরেন তারা।

‘এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোট’ নামে মোর্চার ব্যানারে কয়েকটি শিক্ষক সংগঠন নয় দিন ধরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আসছেন।

জোটের সদস্য সচিব দেলাওয়ার হোসেন আজীজী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সচিবালয়ে কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা ফলপ্রসু হয়নি। তাই আগামীকাল শুক্রবার ও এর পরদিন শনিবার আমরা প্রতীকী অনশন কর্মসূচি পালন করব।”

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের শতভাগ উৎসব ভাতা দেওয়ার দাবি তুলে ধরে এ শিক্ষক নেতা আরও বলেন, “আমরা আসছে ঈদেই শতভাগ উৎসব ভাতা চাই। আর সরকারি কর্মচারীদের মত একই হারে বাড়ি ভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা চাই।

“সরকারের পক্ষ থেকে আসছে ঈদের আগে শতভাগ উৎসব ভাতা দেওয়া ও অন্যান্য ভাতা বৃদ্ধির ঘোষণা দিলে আমরা ক্লাসে ফিরে যাব।”

জোটের যুগ্ম সদস্য সচিব ও মোর্চাভুক্ত সংগঠন বাংলাদেশ শিক্ষক ফোরামের (বাশিফ) সভাপতি মো. হাবিবুল্লাহ রাজু বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা সচিবালয়ে ঘণ্টাখানেক বসেছিলাম। উপদেষ্টা মহোদয় না থাকায় আমাদের সঙ্গে আলোচনা হয়নি। আমরা অবস্থান কর্মসূচি, কর্মবিরতি পালন করলেও সরকার কোনো দৃশ্যমান উদ্যোগ নিচ্ছে না।

“অন্যান্য চাকরিজীবীরা মূল বেতনের শতভাগ উৎসব ভাতা পেলেও এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের মাত্র ২৫ শতাংশ দেওয়া হয়।”

শতভাগ উৎসব ভাতার দাবি তুলে ধরে পাবনার সুজানগরের খলিলপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হাবিবুল্লাহ বলেন, “শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আয় সরকারি কোষাগারে ফেরত নিয়ে সব এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের ঘোষণা দিলে সরকারের আর্থিক ক্ষতি হবে না।”

তবে এ বিষয়ে রোববার জেলা প্রশাসক সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন শেষে শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেছিলেন, “শিক্ষকদের মধ্যে সবচেয়ে অবহেলিত হল বেসরকারি খাতে এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা। তাদের জন্য যতদূর করার, আমি চেষ্টা করব।

“তাদের অনলাইন বদলির ব্যবস্থা করছি। তারা যে ভাতা পান তা অপ্রতুল। আমাদের সীমিত সাধ্যের মধ্যে ভাতা বাড়ানোর চেষ্টা করে যাচ্ছি।”

আগামী বছরের জন্য এখন একটা বাজেট তৈরি হচ্ছে তুলে ধরে উপদেষ্টা বলেছিলেন, শিক্ষকদের অবসরকালীন যে সুবিধা, তা তাদের টাকা। এগুলো তাদের ন্যায্য দাবি। তিনি উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ বিষয়টি তুলে ধরেছিলেন।

“অবসর ভাতা না দেওয়া অত্যন্ত অনৈতিক। কিন্তু তাদের ভাতা এক বছরের বাজেটের ওপর চাপিয়ে সমাধান করা যাবে না। আমরা অনেকভাবে চেষ্টা করছি। যেমন বন্ডের মাধ্যমে একটা ফান্ড তৈরির চেষ্টা করছি। আগামী বছর থেকে সেটা শুরু হতে পারে।”