বিডিআর-বিএসএফ বৈঠকে সীমান্ত সহযোগিতার নতুন প্রতিশ্রুতি

বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী—বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ)—এর শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠক শেষ হয়েছে। তিন দিনব্যাপী এই বৈঠকে সীমান্ত হত্যা ও সীমান্তে বেড়া দেওয়ার বিষয় বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে।
বৈঠকের পর আয়োজিত যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী জানান, সীমান্তে বেড়া দেওয়ার বিষয়ে দুই পক্ষ বিস্তর আলোচনা করেছে। তিনি বলেন, "সীমান্তের ১৫০ মিটারের ‘নো ম্যানস ল্যান্ড’ এলাকায় স্থায়ী অবকাঠামো নির্মাণ করা যাবে না। তবে এর বাইরে নির্মাণে কোনো আপত্তি নেই। কোনো সমস্যা দেখা দিলে, দুই বাহিনী যৌথ পরিদর্শনের মাধ্যমে তা সমাধান করবে।"
সংবাদ সম্মেলনে বিজিবির মহাপরিচালক আরও বলেন, সীমান্ত হত্যা বন্ধের বিষয়টি বিজিবি জোরালোভাবে উত্থাপন করেছে। সে প্রসঙ্গে বিএসএফের মহাপরিচালক দলজিৎ সিং চৌধুরী বলেন, সীমান্ত পেরিয়ে অনুপ্রবেশ যাতে না ঘটে, তা নিশ্চিত করতে বিজিবিকে বারবার বলা হয়। কিন্তু তবু দীর্ঘ সীমান্তের কোথাও কোথাও দুষ্কৃতকারীরা সক্রিয় থাকে।
বিএসএফ সতর্কভাবে তাদের মোকাবিলা করে। প্রাণঘাতী অস্ত্রের ব্যবহার না করার নীতি থেকে বিএসএফ সরেনি বলেও উল্লেখ করেন দলজিৎ সিং চৌধুরী।
সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগ প্রসঙ্গে বিজিবির মহাপরিচালক বলেন, "এসব অভিযোগ অতিরঞ্জিত এবং মিডিয়ার সৃষ্টি। বিজিবির আওতাধীন সীমান্ত এলাকায় দুর্গাপূজার সময় কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। যেগুলো ঘটেছে, সেগুলো ধর্মীয় নয়, বরং রাজনৈতিক।"
বিএসএফের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, "সীমান্ত অপরাধ ও হিংসা প্রতিরোধে দুই বাহিনী সম্মিলিতভাবে কাজ করবে। পাশাপাশি, আর্থসামাজিক উন্নয়ন এবং তথ্য আদান-প্রদানের মাধ্যমে প্রাণহানি এড়ানোর চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।"
উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া এবং সহযোগিতার মাধ্যমে সীমান্ত পরিস্থিতি আরও উন্নত হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।