বিলুপ্ত নয়, র্যাব পুনর্গঠনের আভাস স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার

জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয়ের (ওএইচসিএইচআর) এক প্রতিবেদনে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) বিলুপ্তির সুপারিশ করা হলেও সরকার এই এলিট বাহিনীকে ‘নতুন করে গঠনের’ কথা ভাবছে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, “র্যাব নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এটার ব্যাপারে আমরা একটা প্রপোজাল পাঠিয়েছি। একটা আইডিয়া দেওয়া হয়েছে একটা নামের, ড্রেসের ক্ষেত্রে।”
মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আইনশৃঙ্খলা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছিলেন উপদেষ্টা।
র্যাবের ক্ষেত্রে পরিবর্তনটা কী আসছে জানতে চাওয়া হয় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে। জবাবে তিনি বলেন, “দরকার হলে নতুন করে গঠন করা হবে।”
পরবর্তী সভায় এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হবে জানিয়ে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “যেহেতু সবাইকে চিন্তাভাবনা করতে হবে এটারে কীভাবে কী করা যায়…। একটা জিনিস করতে গেলে তো নিজেদের মধ্যে থেকে আইডিয়া আসতে হবে।”
বাংলাদেশে জুলাই-অগাস্টের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা নিয়ে গত ১২ ফেব্রুয়ারি প্রতিবেদন প্রকাশ করে ওএইচসিএইচআর।
সেখানে এলিট ফোর্স র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) বিলুপ্তির সুপারিশের পাশাপাশি বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে (বিজিবি) কেবল সীমান্তরক্ষা এবং প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা পরিদপ্তরকে কেবল সামরিক গোয়েন্দা তৎপরতার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে বলা হয়।
প্রতিবেদনে র্যাব সম্পর্কে বলা হয়, “র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নকে বিলুপ্ত করুন এবং গুরুতর লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িত নয় এমন কর্মীদের স্ব স্ব ইউনিটে ফিরিয়ে দিন।”
পরদিন সংবাদ সম্মেলনে ওএইচসিএইচআরের ওই সুপারিশকে স্বাগত জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। তিনি বলেন, “সরকারের পক্ষ থেকে এটা ওয়েলকাম করা হয়েছে। তারা একটা ভালো কাজ করেছে। তারপরে আমরা বসে একটা ডিসিশন নিব।”
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাত ও ছিনতাই আগের তুলনায় অনেক কমেছে। তবে এটি এখনও সহনীয় পর্যায়ে আসেনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘রাজধানীর উত্তরায় প্রকাশ্যে দম্পতিকে রামদা দিয়ে কোপানোর ঘটনায় জড়িতদের সঙ্গে-সঙ্গেই আইনের আওতায় এনে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জনগণের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া শুনতে শুনতে তাদের মূল কাজ ব্যাহত হচ্ছে। এতে তাদের শক্তি অন্যদিকে ক্ষয় হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, আন্দোলনকারীদের দাবি-দাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট জায়গা, বিশেষ করে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘রাস্তা-ঘাট বন্ধ করে জনগণের ভোগান্তি কেউ চায় না।’