বুধবার ১২ মার্চ ২০২৫, ফাল্গুন ২৮ ১৪৩১, ১২ রমজান ১৪৪৬

জাতীয়

কুয়েটে ছাত্রদল ও বৈষম্যবিরোধীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ, বিজিবি মোতায়েন

 আপডেট: ২০:৫১, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

কুয়েটে ছাত্রদল ও বৈষম্যবিরোধীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ, বিজিবি মোতায়েন

ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদল ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে; এতে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে।

মঙ্গলবার বিকালে বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সামনে এ সংঘর্ষ শুরু হয় বলে খানজাহান আলী থানার ওসি মো. কবির হোসেন জানান। তিনি বলেন, বর্তমানে ক্যাম্পাসে উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে যৌথ বাহিনী কাজ করছে।

এদিকে বিকালে সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ক্যাম্পাসে দু্ই প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফুল ইসলাম।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে কুয়েটে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ রয়েছে। ছাত্রদলের কর্মীরা গতকাল সোমবার ক্যাম্পাসে লিফলেট বিতরণ করে ছাত্ররাজনীতি পুনরায় চালুর দাবি জানান। এর প্রতিবাদে আজ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে সাধারণ শিক্ষার্থীরা রাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাসের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেন। তারা ‘ছাত্ররাজনীতির ঠিকানা, এই কুয়েটে হবে না’, ‘দাবি মোদের একটাই, রাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাস চাই’ ইত্যাদি স্লোগান দিয়ে হল প্রদক্ষিণ করেন।

এ সময় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সামনে ছাত্রদলের কর্মীদের সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের উত্তেজনা দেখা দেয় এবং একপর্যায়ে সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষ ক্যাম্পাসের বাইরে ছড়িয়ে পড়ে, যেখানে বহিরাগতরা ছাত্রদলের পক্ষ নিয়ে অংশ নেন। ফলে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।

ছাত্রদলের একজন নেতা দাবি করেছেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মধ্যে ছাত্রশিবিরের সদস্য ও পতিত সরকারের ছাত্রসংগঠনের কিছু সদস্য ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত করতে চায়, যা সংঘর্ষের মূল কারণ।

অন্যদিকে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় মুখ্য সংগঠক আবদুল হান্নান মাসউদ তার ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘কুয়েটে ছাত্রদল নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগ স্টাইলে যে নৃশংস হামলা চালাচ্ছে, এর মধ্য দিয়ে ক্যাম্পাসগুলোতে ছাত্রদল নিজেদের রাজনৈতিক কবর রচনার পথেই অগ্রসর হলো।’