জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহীদেরা ইতিহাসের স্রষ্টা: ড. ইউনুস
![জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহীদেরা ইতিহাসের স্রষ্টা: ড. ইউনুস জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহীদেরা ইতিহাসের স্রষ্টা: ড. ইউনুস](https://www.onp24.com/media/imgAll/2023June/muhammadyunus-2-2502101036.jpg)
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নিহত ও আহত ব্যক্তিদের ‘ইতিহাসের স্রষ্টা’ হিসেবে অভিহিত করেছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস।
অভ্যুত্থানে নিহতদের পরিবার ও আহতদের হাতে রাষ্ট্রীয় সহায়তা তুলে দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “আপনারা জীবন্ত ইতিহাস; মনের গভীর থেকে আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা।
“যে জাতি ইতিহাস স্মরণ করতে পারে না, সে জাতি কখনো জাতি হিসেবে গড়ে ওঠে না।”
আর্থিক চেক হস্তান্তরের অনুষ্ঠানটি হয় সোমবার; রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে। এদিন নিহত ২১ জনের পরিবার ও আহত ৭ জনের হাতে চেক তুলে দেন মুহাম্মদ ইউনূস।
এর মধ্য দিয়ে হতাহতদের রাষ্ট্রীয়ভাবে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার কার্যক্রম শুরু হলো বলে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে নিহত তিনজনের পরিবার ও তিনজন আহত ব্যক্তি নিজেদের অভিব্যক্তি তুলে ধরে। তারা হত্যাকাণ্ডের বিচার, রাষ্ট্রীয় সম্মাননা, আর্থিক সহযোগিতা ও পুনর্বাসনসহ বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন। জুলাইয়ের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে কেউ কেউ কান্নায় ভেঙে পড়েন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “সবসময় ভাবি, যাদের কারণে, যাদের ত্যাগের বিনিময়ে দেশকে আমরা নতুন বাংলাদেশ বলার সাহস করছি, তাদের এই ত্যাগ কোনো নিক্তি দিয়ে মাপা যায় না।”
শহীদ পরিবার ও আহতের উদ্দেশে তিনি বলেন, “আজ থেকে তারা আনুষ্ঠানিকভাবে সরকারের অংশ হলেন। এটা হলো প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি। এর বাইরেও আপনাদের দায়িত্ব সমাজের সবাইকে গ্রহণ করতে হবে।”
সব হত্যাকাণ্ড ও গুম-খুনের বিচার হবে মন্তব্য করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “বিচার তাৎক্ষণিক করতে গেলে অবিচার হয়ে যায়। বিচারের মূল জিনিসটা হলো, সুবিচার হতে হবে; অবিচার যেন না হয়।
“আমরা অবিচারের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলাম বলেই এই সংগ্রাম হয়েছে, এই আত্মত্যাগ হয়েছে। আমরা যদি অবিচারে নামি তাহলে তাদের আর আমাদের মধ্যে তফাৎটা থাকল কোথায়! আমরা অবিচারে নামব না।”
তিনি বলেন, “দেশে কোনো সহিংসতা ও হানাহানি যেন না হয়, সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখেন।”