দিল্লির আদলে ‘ক্যাপিটাল সিটি সরকার’ গঠনের প্রস্তাব
ভারতের রাজধানীর দিল্লির মত বাংলাদেশেও ‘ঢাকা ক্যাপিটাল সিটি সরকার’ গঠনের প্রস্তাব সুপারিশ করেছে জনপ্রশান সংস্কার কমিশন।
বুধবার দুপুরে বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন ও জনপ্রশান সংস্কার কমিশন রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের হাতে প্রতিবেদন তুলে দেয়।
পরে যমুনার লনে দুই কমিশনের প্রতিবেদন নিয়ে ব্রিফিং করে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। সেখানে উপ প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদারও উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেন, “ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, কেরানীগঞ্জ, সাভার ও টঙ্গী নিয়ে ঢাকা ক্যাপিটাল সিটি সরকার গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে সংস্কার কমিশন।”
ভারতের দিল্লিতে এ ধরনের সিটি সরকার ব্যবস্থা কার্যকর রয়েছে।
জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে দেশকে চারটি প্রদেশে ভাগ করাসহ জেলা প্রশাসকদের পদবি পরিবর্তন করাও প্রস্তাব এসেছে বলে জানিয়েছেন আজাদ মজুমদার।
গেল বছরের ৫ অগাস্টে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার গণতান্ত্রিক উত্তরণে শুরুতে রাষ্ট্রের ছয়টি খাত সংস্কারে এসব কমিশ গঠন করা হয়। পরে নভেম্বরে দ্বিতীয় ধাপে আরো পাঁচটি কমিশন গঠন করা হয়।
গঠিত ১১ কমিশনের মধ্যে গত ১৫ জানুয়ারি প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন দিয়েছে নির্বাচন কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন, পুলিশ এবং সংবিধান সংস্কারে গঠিত কমিশন।
এছাড়া এদিন বিচারবিভাগ সংস্কার কমিশন এবং জনপ্রশান সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টার হাতে জমা পড়ল এদিন।
সব কমিশনের প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে গঠিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।
আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল মঙ্গলবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, প্রথম দফার ছয় সংস্কার কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি প্রকাশ করা হবে। সংস্কার কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন ও সুপারিশমালা পরে রাজনৈতিক দল ও গণঅভ্যুত্থানের পক্ষের শক্তির কাছে পাঠানো হবে।
এরপর রাজনৈতিক দল ও গণঅভ্যুত্থানের পক্ষের সব শক্তির সঙ্গে আলোচনা এবং সমঝোতাক্রমে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রথম আনুষ্ঠানিক বৈঠক ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে বসবে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা।