মঙ্গলবার ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, মাঘ ২১ ১৪৩১, ০৫ শা'বান ১৪৪৬

ব্রেকিং

আওয়ামী লীগের লিফলেট বিতরণ করলেই গ্রেপ্তার: প্রেস সচিব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ‘যুদ্ধ পরিস্থিতির’ মতো সতর্ক থাকার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার অনলাইনে মামলা দায়ের পদ্ধতি চালুর নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার এবার মহাখালীতে রেলপথ অবরোধ তিতুমীর শিক্ষার্থীদের এই মুহূর্তে অনেক কিছুই করা ‘সম্ভব না’: তিতুমীর নিয়ে নাহিদ ৫ জন মিলে কিশোরীকে ‘ধর্ষণ’, লাশ ফেলা হয় হাতিরঝিলে হাতকড়া কি বীর মুক্তিযোদ্ধার অলঙ্কার? শুনানিতে কামাল মজুমদার ভারতীয় গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাংলাদেশকে জড়িয়ে ২৭১টি ভুয়া তথ্য প্রচারিত: রিউমার স্ক্যানার সালমান, আনিসুল, মানিকসহ নয়জন ২ দিনের রিমান্ডে দ্বিতীয় পর্বে বিশ্ব ইজতেমা সৌদি আরব বা আমিরাতে হতে পারে ট্রাম্প-পুতিন বৈঠক

জাতীয়

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ‘যুদ্ধ পরিস্থিতির’ মতো সতর্ক থাকার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

 আপডেট: ২১:৪৬, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ‘যুদ্ধ পরিস্থিতির’ মতো সতর্ক থাকার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

পুলিশ ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণের জন্য একটি কমান্ড সেন্টার গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় নিরাপত্তা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির পর্যালোচনা সভায় তিনি এই নির্দেশ দেন।

সভায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো. খোদা বখস চৌধুরী, স্বরাষ্ট্র সচিব নাসিমুল গনি এবং পুলিশ, বিজিবি, র‌্যাব, ডিএমপি, কোস্ট গার্ড ও বিশেষ শাখার প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘নিরাপত্তা বাহিনীগুলোকে সর্বোচ্চ আধুনিক যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে, যাতে তারা দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারে। আমাদের অবশ্যই একটি কমান্ড সেন্টার বা কমান্ড সদরদপ্তর স্থাপন করতে হবে, যা পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীগুলোর মধ্যে সমন্বয় সাধন করবে।’

তিনি বলেন, নতুন কমান্ড কাঠামো ‘দক্ষতা ও নিবিড় পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে’ দেশের সকল বাহিনী ও থানা এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয় সাধন করবে।

প্রধান উপদেষ্টা নিরাপত্তা বাহিনীর প্রধানদের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিঘ্নিত করার যেকোনো প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেন।

তিনি বলেন, ‘যুদ্ধকালীন পরিস্থিতির মতো আমাদেরকে সতর্ক থাকতে হবে। এই বছরটি দেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কাউকে বিশৃঙ্খলা ও অরাজকতা সৃষ্টির সুযোগ দেওয়া যাবে না’।

প্রধান উপদেষ্টা আরো বলেন, ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠরা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য বিশাল অঙ্কের অর্থ ব্যয় করছে এবং মিথ্যা ও অপতথ্য ছড়াচ্ছে।

দেশবাসীকে অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সবাইকে এই অপপ্রচারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে’।

প্রধান উপদেষ্টা নিরাপত্তা বাহিনীর প্রধানদের মানবাধিকার সুরক্ষার নির্দেশ দেন এবং ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের ওপর যে কোনো আক্রমণ প্রতিহত করতে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, ‘যদি আমরা ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা দিতে না পারি, তাহলে বৈশ্বিক ভাবমূর্তি আমাদের মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এই বিষয়ে আমাদের সম্পূর্ণ স্বচ্ছ হতে হবে’।

পুলিশকে চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান চালানোর নির্দেশ দেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, এমনভাবে অভিযান পরিচালনা করতে হবে যাতে পবিত্র রমজান মাসে খাদ্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম স্থিতিশীল রাখা যায়।

পুলিশ প্রধান বাহারুল আলম জানান, শেখ হাসিনার নিরাপত্তা বাহিনী কর্তৃক জুলাই-আগস্ট মাসে সংঘটিত হত্যাকাণ্ড ও নৃশংসতার ঘটনায় দায়ের হওয়া হত্যা মামলা পর্যবেক্ষণের জন্য ১০টি বিশেষ টিম গঠন করা হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টা পুলিশকে এই মামলাগুলোর বিচার দ্রুত সম্পন্ন করার নির্দেশ দেন এবং কোনো নিরপরাধ ব্যক্তি যেন হয়রানির শিকার না হয়, তা নিশ্চিত করতে বলেন।

পুলিশ মহাপরিদর্শক জানান, বাংলাদেশ ইন্টারপোলের কাছে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারির অনুরোধ পাঠিয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমরা অনুরোধ করেছি। আশা করি শিগগিরই সাড়া পাব’।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী জানান, পুলিশের কড়া নিরাপত্তার কারণে রাজধানীতে ছিনতাই ও ডাকাতির ঘটনা কমেছে। তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।’