এই মুহূর্তে অনেক কিছুই করা ‘সম্ভব না’: তিতুমীর নিয়ে নাহিদ
সোমবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলে সরস্বতী পূজা পরিদর্শন করে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিতুমীর কলেজ নিয়ে কথা জানিয়েছেন নাহিদ।
সাত কলেজ দীর্ঘদিন ধরে জটিল সমস্যায় পরিণত হয়েছিল মন্তব্য করে তিনি বলেন, "অন্তর্বর্তী সরকার এ সমস্যা সমাধান করতে সচেষ্ট আছে।"
সাত কলেজ নিয়ে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার কথা ভাবছে সরকার। তবে তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা চাইছেন, তাদের প্রতিষ্ঠানটিকে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপ দেওয়া হোক।
তিতুমীর কলেজকে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরসহ সাত দফা দাবিতে পঞ্চম দিনের মতো সড়ক অবরোধ করেছেন প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কলেজের মূল ফটকের সামনে বাঁশ ফেলে তারা সড়কটি আটকে দেন।
এদিকে তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরে 'বিশেষ বিবেচনা করিনি' বলে শিক্ষা ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ যে বক্তব্য দিয়েছেন তা প্রত্যাহার করেছেন শিক্ষার্থীরা। এবং প্রতিষ্ঠানটিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর কমিশন গঠনে ‘বাধা দেওয়ার’ অভিযোগ তুলে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুলকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
এই পরিস্থিতিতে উপদেষ্টা নাহিদ মনে করছেন শিক্ষার্থীদের আরো সংবেদনশীলভাবে বিবেচনা করা উচিত।
তিনি বলেন, “শিক্ষার্থীরা যখন যৌক্তিক দাবি নিয়ে মাঠে এসেছিল তখন মানুষ কিন্তু তাদের সমর্থন করেছিল। আমরা যে কোনো দাবির বিষয় ইতিবাচকভাবে দেখছি। যতটুকু সম্ভব যৌক্তিক, এ সময় বাস্তব করা সম্ভব, তা চেষ্টা করছি।"
সাত কলেজের সমস্যার পেছনে আওয়ামী লীগকে দায়ী করে নাহিদ বলেন, "বিগত সময়ে একটা শিক্ষা বিষয়ক ভুল সিদ্ধান্তের কারণে হাজার হাজার শিক্ষার্থীর জীবনের ওপরে প্রভাব পড়েছে।
“অন্তর্বর্তী সরকার প্রথম থেকেই সাত কলেজের সমস্যাটা সমাধান করতে সচেষ্ট। সেখানে প্রত্যেকটা কলেজকে গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা করা হচ্ছে। সেটি হয়ত একটা ইতিবাচক সমাধানের দিকে যাবে, সেই প্রক্রিয়া চলমান।"
জগন্নাথ হলে নাহিদের সঙ্গে ছিলেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
সজীব বলেন, "৫ আগস্টের পর প্রথম দিন থেকেই আওয়ামী লীগ বিভিন্ন সুযোগ খুঁজে বেড়াচ্ছে। আমরা দেখেছি কিছু মানুষ রিকশাওয়ালা সেজে এসেছিল। পরে বিভিন্ন এমপি মন্ত্রীদের সাথে তাদের ছবি দেখা গেছে।"
ফেব্রুয়ারিকে কেন্দ্র করেও আওয়ামী লীগ ‘বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার চেষ্টায় আছে’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, "কিন্তু তারা এতে সফল হয়নি। বাংলাদেশের মানুষ চায় না আওয়ামী লীগ কোনভাবেই তাদের মতাদর্শ বা নাম নিয়ে আবার ফিরে আসুক। কারণ এটা বাংলাদেশের সকল জনগণের নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ।”
বিশৃঙ্খলা রুখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক আছে বলে জানিয়েছেন সজীব।