সালমান, আনিসুল, মানিকসহ নয়জন ২ দিনের রিমান্ডে
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ঢাকার দুই থানার হত্যা ও হত্যাচেষ্টা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকসহ নয়জনকে ২ দিনের রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ।
সোমবার শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম জি এম ফারহান ইসতিয়াক এ আদেশ দেন বলে জানিয়েছেন সরকারি কৌঁসুলি ওমর ফারুক ফারুকী।
বাড্ডা থানার অটোরিকশা চালক হাফিজুল শিকদার হত্যা মামলায় রিমান্ডে যাওয়ারা হলেন- সালমান এফ রহমান, আনিসুল হক, শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, ডিএনসিসির সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলাম, সাবেক সংসদ সদস্য সোলায়মান সেলিম, সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ও বাড্ডা থানা শ্রমিক লীগের সহ-সভাপতি গোলাম সারোয়ার পিন্টু।
আর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অনিক কুমার দাস হত্যাচেষ্টার মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য সোলায়মান সেলিম ও কাউন্সিলর রঞ্জন বিশ্বাসকে দুই দিনের রিমান্ডে পেয়েছে কোতোয়ালী থানা পুলিশ।
এদিন তাদের আদালতে হাজির করে পাঁচ দিন করে রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তারা। আসামিপক্ষে রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষে পিপি ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ড আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন। উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে বিচারক আদেশ দেন।
বাড্ডা থানার মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ২০ জুলাই বাড্ডা এলাকায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অংশ নেন অটোরিকশা চালক হাফিজুল শিকদার। ওইদিন বিকেল ৩টায় আসামিদের ছোড়া গুলিতে তিনি ঘটনাস্থলে নিহত হন।
এ ঘটনায় তার পরিবার গত ২১ অগাস্ট বাড্ডা থানায় হত্যা মামলা করেন।
শিক্ষার্থী অনিক হত্যাচেষ্টার মামলার বিবরণ অনুযায়ী, গত ১৬ জুলাই বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মিছিল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক পার হয়ে ঢাকার আদালত এলাকায় এলে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের অতর্কিত গুলিতে আহত হন অনিক। তাকে প্রথমে ন্যাশনাল মেডিকেলে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অস্ত্রোপচারের পর ৩১ জুলাই তিনি হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান।
এ ঘটনায় গত ২১ নভেম্বর কোতোয়ালী থানায় হত্যাচেষ্টা মামলা করেন অনিক।