ইজতেমা ময়দানের টিনের চালে পড়ল ড্রোন, হুড়োহুড়িতে আহত অন্তত ৪১
আজ সকালে টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমার আখেরি মোনাজাত চলাকালে বিকট শব্দে টিনের চালে একটি ড্রোন আছড়ে পড়ে। শব্দের ভয়াবহতায় আতঙ্কিত হয়ে মুসল্লিরা এদিক ওদিক ছুটোছুটি শুরু করেন। সেই হুড়োহুড়িতে আহত হয়েছেন প্রায় অর্ধশত মানুষ।
রবিবার সকালে শুরু হয় আখেরি মোনাজাত। মোনাজাত শুরুর কিছুক্ষণ পর আনুমানিক ৯টা ২০ মিনিটের দিকে ময়দানের পূর্বপাশে বিদেশি নিবাসের টিনের ছাউনিতে ড্রোনটি আছড়ে পড়ে। তাতে বিকট শব্দ হয়। মূলত ওই শব্দের কারণেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় আহত অন্তত ৪১ জনকে টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।
বিশ্ব ইজতেমা স্থলে অবস্থানরত মো. হাসান নামের একজন বলেন, “মাওলানা মোহাম্মদ জুবায়ের তখন আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করছিলেন। মোনাজাতের শেষ দিকের কয়েক মিনিট আগে উপর থেকে কিছু একটা এসে পড়ল দাদে বিকট শব্দ হয়।’ তিনি বলেন, ‘‘কিছু বুঝে উঠতে না পেরে সেখানে থাকা লোকজন আতঙ্কিত হয়ে ছুটোছুটি শুরু করে দেয়। পরে শব্দের উৎস খুঁজতে গিয়ে দেখা গেল টিনের চালে একটা ড্রোন এসেছে পড়েছে।”
গাজীপুর পুলিশের সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ মেহেদী হাসান জানান, “পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই কেউ ড্রোনটি নিয়ে যায়। সেটা কীভাবে সেখানে পড়েছে, আর কারাইবা নিয়ে গেল তা জানার চেষ্টা করছি। তবে ড্রোনটি পুলিশ কিংবা কোন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নয় বলে জানতে পেরেছি। আমরা ঘটনাটি অনুসন্ধান করছি”।
টঙ্গী থানার ওসি ফরিদুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, “একটি ড্রোন আকাশে উড়ছিল সম্ভবত ড্রোনটির চার্জ শেষ হয়ে যাওয়ায় সেটি ইজতেমা ময়দানের একটি কামরার টিনের ছাউনিতে আছড়ে পড়ে। তাতে মুসল্লিরা অনেকেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।”
শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “যতটুকু জানতে পেরেছি, ইজতেমা ময়দানের মোনাজাতের চিত্র ধারণ করার কাজে কোনো এক সাংবাদিকের ব্যবহার করা একটি ড্রোন ময়দানে আছড়ে পড়ে। তাতে আতঙ্কিত হয়ে ছোটাছুটি করতে গিয়ে অনেকে আহত হন।”
হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নেওয়া ৩৪ জনের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, যাদের মধ্যে আবুল কালাম (৫৫), আলামিন (৩২), আজাদ (৩০), রাতুল (১৮), মকবুল হোসেন (৬৪), রায়হান (২৭), জহরুল (২৮), আলি নেওয়াজ (৩৮) প্রমুখ রয়েছেন। শেষ খবর, পুলিশ ঘটনা তদন্ত করছে।