বরিশালের ১৫ রুটে বাস চলাচল বন্ধ
নিরাপত্তার অজুহাতে শ্রমিকরা কাজে যোগ না দেওয়ায় বরিশালের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ১৫টি রুটে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) সকাল ৬টা থেকে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।
ফলে সকালে নগরের রুপাতলী বাস টার্মিনাল থেকে পটুয়াখালী, বরগুনা, ঝালকাঠি, পিরোজপুর জেলার বিভিন্ন রুটসহ খুলনা রুটে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।
বাস চলাচল বন্ধের বিষয়টি সকাল সাড়ে ৯টায় নিশ্চিত করেছেন ঝালকাঠি বাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, বিভিন্ন সময় বাস ভাড়া নিয়ে সমস্যা হওয়াসহ বিভিন্ন কারণে শ্রমিকদের মারধর ও বাস ভাঙচুর করা হয়। এর ফলে শ্রমিকরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তাই তারা কাজে যোগ না দেওয়ায় বরিশালের ১৫টি রুটে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।
এদিকে এ বিষয়ে রুপাতলী বাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম চৌধুরী জানান, শুধু রুপাতলী নয়, বরিশাল বিভাগের ছয় জেলায় বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।
কী কারণে বন্ধ রয়েছে, এ বিষয়ে বিস্তারিত না জানিয়ে তিনি বলেন, মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) শ্রমিকদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু কিছু গণমাধ্যম সে বিষয়টি তুলে না ধরে শ্রমিকদের বিপক্ষেই সংবাদ প্রচার করেছে। যে বিষয়টি কোনোভাবেই কাম্য নয়।
শ্রমিক ইউনিয়নের অন্য নেতারা জানিয়েছেন, শ্রমিকদের বিভিন্ন সময়েই লাঞ্ছিতের অভিযোগ তুলে যান-মালের নিরাপত্তা চেয়ে তারা আন্দোলনে নেমেছেন। নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত শ্রমিকরা কর্মবিরতি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
এদিকে বাস চলাচল বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। তারা থ্রি-হুইলারসহ বিভিন্ন যানবাহনে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে ঝুঁকি নিয়ে যাত্রা করছেন।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) বিকেলে হাফ ভাড়া নিয়ে সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজের শিক্ষার্থীর সঙ্গে বাস শ্রমিকদের বাগ-বিতাণ্ডা হয়। এর সূত্রে ধরে শিক্ষার্থীরা বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করেন।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ ওই নারী শিক্ষার্থীকে লাঞ্ছিত করেছেন বাসের হেলপার ও চালক।
এ বিষয়ে শিক্ষার্থীদের ১০ সদস্যের একটি টিম বরিশাল রূপাতলী বাস মালিক সমিতিতে গেলে সেখানে তাদের ওপরে হামলা করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে তারা দোষীদের বিচার ও হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়াসহ বেশ কিছু দাবি জানিয়ে রূপাতলী গোলচত্বরে অবস্থান নিয়ে টায়ার জ্বালিয়ে মহাসড়ক অবরোধ করেন।
এদিকে বাস শ্রমিকরা জানিয়েছেন, শিক্ষার্থীরা মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে সড়ক অবরোধ করেন। পরে তাওহীদ পরিবহনের একটি বাস ভাঙচুর করে ও শ্রমিকদের ওপর হামলা চালান। এতে এক শ্রমিক গুরুতর আহত এবং কমবেশি কয়েকজন আহত হয়।