বৃহস্পতিবার ৩০ জানুয়ারি ২০২৫, মাঘ ১৭ ১৪৩১, ৩০ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

কর্মবিরতি প্রত্যাহার: ৩০ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল শুরু

 আপডেট: ০৮:৫৪, ২৯ জানুয়ারি ২০২৫

কর্মবিরতি প্রত্যাহার: ৩০ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল শুরু

রানিং স্টাফদের কর্ম বিরতিতে প্রায় ৩০ ঘণ্টা সারাদেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকার পর মধ্যরাতের সমঝোতায় সচল হয়েছে রেলপথ।

বুধবার সকালে ঢাকার কমলাপুর থেকে জয়দেবপুর কমিউটার ট্রেন ছেড়ে যাওয়ার মধ্য দিয়ে ট্রেন চলাচল শুরু হয় বলে স্টেশন মাস্টার মো. আনোয়ার হোসেন জানান।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “আমরা রাত আড়াইটার পর কর্মবিরতি প্রত্যাহারের ঘোষণা পেয়েছি। এরপর প্রস্তুতি নিয়ে ট্রেন চলাচল শুরু করতে হয়েছে।

“প্রথমে জয়দেবপুর কমিউটার, এরপর রাজশাহীগামী ধূমকেতু এক্সপ্রেস ট্রেন ছেড়ে গেছে। সোয়া ৭টার কিছুক্ষণ পর কক্সবাজারগামী পর্যটক এক্সপ্রেস ছেড়ে গেছে।”

মূল বেতনের সঙ্গে রানিং অ্যালাউন্স যোগ করে পেনশন এবং আনুতোষিকের দাবি পূরণ না হওয়ায় সোমবার মধ্যরাত থেকে কর্মবিরতি শুরু করেন রানিং স্টাফরা।

তাদের বুঝিয়ে কাজে ফেরাতে মঙ্গলবার দিনভর দফায় দফায় বৈঠক চলে। কিন্তু কোন চেষ্টাই ফল দিচ্ছিল না।

শেষ পর্যন্ত গভীর রাতে যোগাযোগ উপদেষ্টার বাসায় বৈঠকের পর চলমান কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে ট্রেন চলাচল শুরুর ঘোষণা দেন বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান।

মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর থেকে প্রকাশ্যে না থাকা রানিং স্টাফদের নেতা মজিবুর রাত আড়াইটায় প্রেস বিফ্রিংয়ে কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়ে বলেন, “আমাদের সমস্যা আগামীকালের (বুধবার) মধ্যে সমাধান করবেন উপদেষ্টা মহোদয়। আমরা জনদুর্ভোগ চাই না। দুঃখ প্রকাশ করছি। এখন থেকে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করলাম।

“মিডিয়ার মাধ্যমে কর্মী ভাইদের বলতে চাই আপনার কাজে ফিরুন। উপদেষ্টা বলেছেন, আগের মত আমরা যা পেয়ে আসছি তা পাব।”

যোগাযোগ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজল কবির খান সাংবাদিকদের বলেন, “আমি দায়িত্ব নিয়ে বলছি, আমি এটা (তাদের দাবি পূরণ) করতে সক্ষম হব। বিদ্যমান সুবিধাদি বহাল থাকবে। আগে থেকে যেসব সুবিধা চলে আসছে তা পরিবর্তন হবে না।”