বাংলাদেশিসহ ৪৯ অভিবাসীকে আলবেনিয়ায় পাঠাচ্ছে ইতালি
আলবেনিয়ার সেনজিন বন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে ‘মারিনা মিলিটারি’ জাহাজ। ছবি: লা রিপাবলিকা।
ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে আফ্রিকার দেশ লিবিয়া থেকে অবৈধভাবে ইতালিতে প্রবেশ করা বাংলাদেশি নাগরিকসহ ৪৯ জন অভিবাসীকে আলবেনিয়ায় পাঠাচ্ছে ইতালি সরকার।
‘লা রিপাবলিকা’, ‘স্কাইনিউজ’ ও ‘আনসা’-সহ দেশটির মূলধারার বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়, এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো অবৈধ অভিবাসীদের পাঠানো হলো দেশটিতে। যদিও গত দুইবার ইতালির আদালতের নির্দেশে ফেরত আনা হয়েছিলো সেখানে পাঠানো অভিবাসীদের।
স্থানীয় সময় রোববার দেশটির দ্বীপাঞ্চল লাম্পেদুসার ফাভারোলো বন্দর থেকে বাংলাদেশ, মিশর, গাম্বিয়া ও আইভরি কোস্টের ৪৯ জন অভিবাসী নিয়ে আলবেনিয়ার সেনজিন বন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় ‘মারিনা মিলিটারি’ নামের একটি জাহাজ।
আবহাওয়া ঠিক থাকলে সোমবার দিবাগত রাতে আলবেনিয়ায় পৌঁছানোর কথা তাদের। এসব অভিবাসীদের প্রাথমিকভাবে আলবেনিয়ায় নির্মিত ইতালীয় অভিবাসী কেন্দ্রে রাখা হবে, পরে দ্রুত সময়ের মধ্যে আশ্রয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে বিচারকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানায় স্থানীয় প্রশাসন।
স্থানীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে আরও বলা হয়, সম্প্রতি ভূমধ্যসাগর থেকে উদ্ধার হওয়া ‘নিরাপদ দেশ’-এর ৪৯ জন অভিবাসীকে আলবেনিয়াতে পাঠানো হচ্ছে। এসময় লাম্পেদুসার বন্দরে আরো ৫৩ জন অভিবাসী ছিলেন, যাদের কাছে নিজ দেশের পাসপোর্ট ছিলো এবং এরা কেউ ইতালি সরকারের তালিকাভুক্ত ‘নিরাপদ দেশ’-এর নাগরিক ছিলেন না। তাই এসব অভিবাসীদের আলবেনিয়ায় না পাঠিয়ে লাম্পেদুসায় রাখা হয়।
গত বছর মে মাসে ইতালির মন্ত্রী পরিষদের তৈরি করা ‘নিরাপদ দেশের’ তালিকায় ১৭ দেশের মধ্যে ছিল বাংলাদেশের নাম। ইতালির অভিবাসন আইন ২০০৮-এর ২৮ নাম্বার ধারার ২৫ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী এ সংক্রান্ত একটি গেজেট প্রকাশ করে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
গেজেটে থাকা এসব ‘নিরাপদ দেশের’ নাগরিকদের মধ্যে যারা অবৈধভাবে দেশটিতে প্রবেশ করবে তাদের থাকার অনুমতি না দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। যেসব দেশে যুদ্ধ নেই বা দেশত্যাগের মতো কোন পরিস্থিতি তৈরি হয়নি, সেসব দেশকে ‘নিরাপদ দেশ’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করে ইতালি। এসব দেশ থেকে যারা অবৈধভাবে ইতালিতে প্রবেশ করবে, তাদের ইতালি থেকে আলবেনিয়ায় পাঠানোর কথা বলা হয়।