মিয়ানমার থেকে পণ্য আসছে না টেকনাফে, আমদানি বন্ধের ‘উড়ো খবর’
মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যে এমনিতেই দেশটি থেকে নিয়মিত পণ্য আসছে না টেকনাফ স্থলবন্দরে; তার মধ্যে আবার আমদানি বন্ধের ‘উড়ো খবর’ পাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।
আরাকান আর্মির কাছে প্রায় ১০ দিন ধরে একটি পণ্যবাহী জাহাজ আটকে থাকার মধ্যে রোববার সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলাপে এমন খবর জানা যায়।
টেকনাফ স্থলবন্দর পরিচালনাকারী বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ইউনাইটেড ল্যান্ড পোর্ট টেকনাফ লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক জসিম উদ্দিন চৌধুরী সন্ধ্যায় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এমন একটি ‘উড়ো খবর’ তারা শুনেছেন। কিন্তু আনুষ্ঠানিকভাবে মিয়ানমার বা বাংলাদেশ সরকারের তরফ থেকে এ ধরনের কোনো বার্তা তাদের কাছে আসেনি।
এক প্রশ্নের জবাবে জসিম উদ্দিন বলেন, “যে খবর আমার কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে আসেনি, তা নিশ্চিত করি কীভাবে!”
তবে গত ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকেই মিয়ানমার থেকে পণ্য আসা বন্ধ রয়েছে বলে জানান স্থলবন্দরের এই কর্মকর্তা।
১৬ জানুয়ারি মিয়ানমার থেকে টেকনাফ স্থলবন্দরে আসার পথে নাফ নদের নাইক্ষ্যংদিয়া জলসীমা থেকে চারটি জাহাজ আটক করে নিয়ে যায় আরাকান আর্মি। সেখান থেকে দুই দফায় ফিরে আসে তিনটি জাহাজ।
ব্যবসায়ীদের বরাত দিয়ে জসীম উদ্দিন বলেন, “তল্লাশি শেষ হলে ওই বাকি জাহাজটিও খুব শিগগির ছেড়ে দেওয়ার কথা রয়েছে। এ নিয়ে মিয়ানমারের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে এখানকার ব্যবসায়ীদের কথা হয়েছে।”
আরাকান আর্মি কোনো ধরনের কমিশনের কারণে জাহাজ আটকে রাখছে কিনা জানতে চাইলে জসীম উদ্দিন বলেন, “এমন কোনো তথ্য আমার জানা নেই। ব্যবসায়ীরাও বলেননি।”
পণ্য বাণিজ্য বন্ধ হচ্ছে এমন একটি ‘উড়ো খবর’ পেয়েছেন বলে জানান টেকনাফ স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এহতেশামুল হক বাহাদুর।
তিনি বলেন, “মিয়ানমারের সাপ্লায়াররা আমাদের এমন কোনো খবর দেয়নি। এমন খবর সঠিক কিনা তাও জানি না।”
মো. সোহেল নামের এক ব্যবসায়ী বলেন, “মানুষের মুখে মুখে শুনতেছি বোট আসবে না। কিন্তু ইয়াঙ্গনের সাপ্লায়াররা আমাদের আশ্বস্ত করেছে পণ্যবাহী জাহাজ আসবে।”
তবে বন্দরকেন্দ্রিক ব্যবসায় যে স্থবিরতা বিরাজ করছে তা দ্রুত নিরসনের জন্য সরকারের পদক্ষেপ কামনা করেন এ ব্যবসায়ী।