বৃহস্পতিবার ২৩ জানুয়ারি ২০২৫, মাঘ ৯ ১৪৩১, ২৩ রজব ১৪৪৬

ব্রেকিং

‘জুলাই চেতনা প্রত্যাখ্যানে সামাজিক মাধ্যমে কোনো বিধিনিষেধ নয়’ শিক্ষার অবস্থা এতই খারাপ, তিন মাসে কিছু করা সম্ভব নয়: উপদেষ্টা গাজীপুরে যানবাহন ভাঙচুর, কারখানায় আগুন দিলেন বেক্সিমকোর শ্রমিকেরা পরবর্তী ২০ বছর বাংলাদেশের রাজনীতিতে তরুণরা প্রভাব ফেলবে : তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ নির্বাচন কমিশন জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়েই বেশি ভাবছে: কমিশনার রাতের ভোটে জড়িতদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু ট্রাম্পের নীতি অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীদের সমস্যায় ফেলতে পারে বেশ কিছু পণ্য ও পরিসেবায় ভ্যাটের হার কমিয়েছে এনবিআর যুক্তরাষ্ট্রে স্কুল-গির্জা-হাসপাতালেও চলবে অভিবাসী ধরপাকড় দুশ্চিন্তা যখন ভালো

জাতীয়

রাতের ভোটে জড়িতদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু

 প্রকাশিত: ২২:৫৯, ২২ জানুয়ারি ২০২৫

রাতের ভোটে জড়িতদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু

ভোটগ্রহণ শুরুর আগেই ব্যালটবাক্স ভর্তি | ছবি: বিবিসি বাংলা

২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের সঙ্গে জড়িত সাবেক নির্বাচন কমিশনের সদস্য, জেলা প্রশাসক (ডিসি), পুলিশ-র‌্যাবসহ সব আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সদস্য ও রাজনৈতিক দলের নেতাদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বুধবার (২২ জানুয়ারি) সেগুনবাগিচায় দুদকের মহাপরিচালক আক্তার হোসেন গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, ২০১৮ সালের নির্বাচন নিয়ে দুদকে একটি অভিযোগ এসেছে।  অভিযোগটি অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত হয়েছে। ওই নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নির্বাচন কমিশন, প্রশাসন, পুলিশ-র‌্যাবসহ জড়িত সবার বিরুদ্ধেই অনুসন্ধান করা হবে।

দুদক সূত্র জানায়, ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিভিন্ন অনিয়ম যেমন দিনের ভোট রাতে করা, ব্যালট জালিয়াতি, কিছু কিছু কেন্দ্রে ৯০ শতাংশের বেশি ভোট দেখানো, ব্যাপক আর্থিক লেনদেন, ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রার্থীকে জেতানো বিষয়ে দুদকে কিছু অভিযোগ জমা হয়েছে।

অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নির্দেশে প্রতিটি মহানগর, জেলা, বিভাগ, উপজেলা, পৌর, ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সকল নেতাকর্মী নিয়ে সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা যেমন পুলিশের আইজিপি জাভেদ পাটোয়ারী, ডিএমপি কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া, র‍্যাবের প্রধান বেনজীর আহমেদ, পুলিশের সাবেক আইজিপি শহিদুল হক, প্রতিরক্ষা বিষয়ক উপদেষ্টা তারেক আহমেদ সিদ্দিক, তৎকালীন জনপ্রশাসন বিষয়ক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম, জেলা প্রশাসক, জেলা রিটানিং কর্মকর্তা, বিভাগীয় কমিশনার, রেঞ্জ ডিইজি, পুলিশ সুপার, থানার অফিসার ইনচার্জ, জেলা/উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা, প্রিসাইডিং অফিসারসহ নির্বাচনের সাথে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্মকর্তার যোগসাজশের উল্লেখ রয়েছে।

দুদক সূত্র জানায়, অভিযোগের অনুসন্ধানের জন্য পাঁচ সদস্যের একটি টিম গঠন করা হয়েছে। অভিযোগ বিষয়ে বিভিন্ন ভিডিও, দেশি বিদেশি গণমাধ্যমের প্রচারিত সংবাদ এবং নির্বাচনের ফলাফল শিট পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং প্রয়োজনীয় অন্যান্য কার্যক্রম সম্পন্ন করে অনুসন্ধান টিম প্রতিবেদন দাখিল করবে।