২ জাহাজ ছাড়লেও আরেকটি আটকে রেখেছে আরাকান আর্মি
আমদানি পণ্য নিয়ে মিয়ানমার থেকে কক্সবাজারের টেকনাফে আসার পথে নাফ নদী থেকে আটক করা দুটি জাহাজ ছেড়ে দিয়েছে আরাকান আর্মি; তবে আরেকটি জাহাজ এখনও ছাড়েনি সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি।
সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পণ্যবাহী দুটি জাহাজ টেকনাফ স্থলবন্দর জেটি ঘাটে এসে নোঙর করে বলে জানান সেখানকার সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এহতেশামুল হক বাহাদুর।
তিনি বলেন, ১৬ জানুয়ারি দুপুরে নাফ নদীর মিয়ানমারের নাইক্ষ্যংদিয়া এলাকায় ইয়াঙ্গুন থেকে আসা পণ্যবাহী দুইটি কার্গো জাহাজ আরাকান আর্মির সদস্যরা তল্লাশির নামে জিম্মি করে। পরদিন একই এলাকায় আরও একটি জাহাজ আটক করে তারা।
“দুটি জাহাজ পণ্য নিয়ে ফিরে এলেও আরেকটি জাহাজ এখনও ছাড়েনি আরাকান আর্মি।”
বন্দরের ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, জাহাজ ফিরে আসায় তাদের স্বস্তি ফিরলেও আতঙ্ক কাটেনি। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে চলমান সংঘাতের কারণে টেকনাফ স্থলবন্দরের স্বাভাবিক কার্যক্রমে স্থবিরতা বিরাজ করছে। আরাকান আর্মির হাতে জিন্মি হওয়া জাহাজগুলোতে ৫০ হাজার বস্তা শুটকি, সুপারী, কপিসহ বিভিন্ন মালামাল রয়েছে।
স্থলবন্দরের ব্যবসায়ী শওকত আলী, ওমর ফারুক, মো. আয়াছ, এম এ হাসেম, মো. ওমর ওয়াহিদ, আবদুর শুক্কুর সাদ্দামসহ অনেকে মিলে এসব মালামাল আমদানি করেছেন।
এ বিষয়ে টেকনাফ স্থলবন্দর শুল্ক কর্মকর্তা এম আব্দুল্লাহ আল মাসুম বলেন, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের ২৩ জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ৪৭ হাজার টন পণ্যে আমদানি হয়েছে। এর বিপরীতে সরকার ২৫৭ কোটি টাকা রাজস্ব পায়।
২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ১১ হাজার টন পণ্য আমদানি হয়। যার ফলে ৮৭ কোটি টাকা রাজস্ব পায় সরকার।
রাখাইন রাজ্যে যুদ্ধের প্রভাবে গত বছরের তুলনায় ১৭০ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় কম হয়েছে বলে জানান তিনি।
অন্যদিকে গত দুই অর্থবছরে যেসব পণ্য রপ্তানি হয়েছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ সিমেন্ট রয়েছে জানিয়ে শুল্ক কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মাসুম বলেন, গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সিমেন্ট রপ্তানি হয়েছে ২৩৬ টন। যার মূল্য এক কোটি ১৩ লাখের বেশি।
এ ছাড়া চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ২৯১ টন সিমেন্ট রপ্তানি হয়েছে। যার মূল্য দুই কোটি ৮৫ লাখ টাকা।