‘৩৫’ এর দাবিতে ফের সড়কে চাকরিপ্রত্যাশীরা
সরকারি চাকরিতে প্রবেশে পুরুষের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩৫ ও নারীর ৩৭ বছর করার দাবিতে ফের সড়কে নেমেছেন চাকরিপ্রত্যাশীরা।
সোমবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে কয়েকশ আন্দোলনকারী প্রথমে শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে জড়ো হন। পরে বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে সচিবালয়ের দিকে রওনা হন তারা। দোয়েল চত্বর দিয়ে শিক্ষাভবনের সামনে আসার পর তারা পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। এরপর সেখানেই তারা অবস্থান নেওয়ায় শিক্ষাভবন থেকে জিপিও পর্যন্ত সড়ক বন্ধ হয়ে গেছে।
‘এক দফা এক দাবি, ৩৫ ৩৫’, ‘লেগেছেরে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে’, ‘আমার ভাইয়ের রক্ত, আমার বোনের রক্ত- বৃথা যেতে দেব না’, ‘জ্বালোরে জ্বালো, আগুন জ্বালো’- এমন নানা স্লোগান শোনা যায় আন্দোলনকারীদের কণ্ঠে।
আন্দোলনকারীদের একজন মঞ্জুরুল ইসলাম দুপুরে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সকাল থেকে জাতীয় জাদুঘরের সামনে তারা বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন। দাবি আদায়ের প্রশ্নে তারা অনড়।
তিনি বলেন, “জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সুপারিশে চাকরিতে আবেদনের ন্যূনতম বয়স ৩৫ বছর করার কথা বলা হয়েছে। ক্ষেত্রবিশেষে বয়সসীমা উন্মুক্ত রাখার কথা বলা হয়েছে।
“কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকার বয়সসীমা নির্ধারণ করেছে ৩২ বছর। আমরা সেটা মানি না, আমরা আবারও আন্দোলনে নেমেছি। যতক্ষণ দাবি পূরণ না হবে, ততক্ষণ আন্দোলন চলবে।”
বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেওয়া চাকরি প্রত্যাশী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নিলুফা ইয়াসমিন বলেন, “জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নের দাবিতে আমরা সমাবেশ করেছি। আন্দোলন আবার শুরু হয়েছে, আমরা কঠোর কর্মসূচিতে যাব।
“সংস্কার কমিশন সর্বোচ্চ বয়স সুপারিশ করেছে পুরুষদের জন্য ৩৫ বছর ও নারীদের জন্য ৩৭ বছর। এই দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।”
নিলুফা বলেন, “আমরা সচিবালয়ের দিকে যেতে চাচ্ছিলাম, পুলিশ বাধা দিয়েছে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এখানে আছি।”
গত এক যুগ ধরে বিভিন্ন সময়ে এই বয়সসীমা বাড়িয়ে ৩৫ বছর করার দাবি উঠলেও আওয়ামী লীগের আমলে তা আলোর মুখ দেখেনি। রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পরও এই দাবি নিয়ে আন্দোলন শুরু হলে, সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩০ বছর থেকে বাড়িয়ে ৩২ বছর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
সরকারের এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করেছে ‘চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ প্রত্যাশী সাধারণ শিক্ষার্থী সমন্বয় পরিষদ’।