মঙ্গলবার ২১ জানুয়ারি ২০২৫, মাঘ ৮ ১৪৩১, ২১ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

কাঁদুনে গ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড পাচ্ছে বিজিবি

 আপডেট: ১৯:১৭, ২০ জানুয়ারি ২০২৫

কাঁদুনে গ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড পাচ্ছে বিজিবি

সীমান্তরক্ষা বাহিনী বিজিবির জন্য কাঁদুনে গ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।

সোমবার আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

বৈঠক শেষে তিনি বলেছেন, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি সীমান্তের পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা হয়।

“সীমান্তের অবস্থা মোটামুটি স্ট্যাবল অবস্থায় আছে, বড় ধরনের কোনো সমস্যা নেই।”

গত শনিবার চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ সীমান্তে গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ ও ভারতের নাগরিকদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। ঘটনার একপর্যায়ে ভারতের সীমান্তরক্ষা বাহিনী বিএসএফ সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে বলে ভাষ্য বিজিবির।

ওই প্রসঙ্গ তুলে ধরে বিজিবির সাবেক মহাপরিচালক জাহাঙ্গীর বলেন, “সীমান্তে সবসময় লেথাল উইপেন দেওয়া আছে। বিজিবি কেনো সাউন্ড গ্রেনেড মারেনি, টিয়ার সেল মারেনি; এগুলো তো বিজিবির কাছে নেই।

“বিজিবির কাছে তো সব লেথাল উইপেন; এজন্য ওটা তারা মারতে পারেননি। এজন্য আমরা তাদের পারমিশন দিয়েছি- খুব তাড়াতাড়ি এসব ক্রয় করা হবে।”

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “মরণঘাতী উইপেন ওদের (বিএসএফ) কাছে আছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তের ওদের কাছে আছে (সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ার সেল); কিন্তু আমাদের কাছে নেই, এজন্য কেনার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।”

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “প্রাণঘাতী অস্ত্রতো ওদের দেওয়াই আছে। প্রাণঘাতী অস্ত্র তো যে সময় দরকার হলে…এখন যদি সেনাবাহিনীকে জিজ্ঞাস করেন, ‘আপনারা প্রাণঘাতী উইপেন ব্যবহার করতে পারবেন কি না?’ যুদ্ধ হলে কী ব্যবহার করবে?

“যুদ্ধ হলে ওটাই ব্যবহার করবে। পরিস্থিতি হলে ডিকটেট করবে- কোন সময় কোনটা ব্যবহার করবে।”

বিজিবির জন্য কাঁদুনে গ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড কেনার সিদ্ধান্তকে ভারত কীভাবে নেবে, এমন প্রশ্নের উত্তরে উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর বলেন, “ভারতের কাছে তো সাউন্ড গ্রেনেড আছে; ওদের তো এটা খারাপভাবে নেওয়ার কোনো স্কোপ নেই।”

এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “তারা (ভারত) অভিযোগ দিচ্ছে- ‘আমরা উস্কানি দিচ্ছি’, আমরা অভিযোগ করছি- ‘ওরা উস্কানি দিচ্ছে’; এটাতো বর্ডারের ব্যবস্থা।”

আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে সীমান্ত নিয়ে হওয়া চুক্তি কিংবা সমঝোতার বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “আগামী মাসে মহাপরিচালক পর্যায়ে বৈঠক আছে। এসব অসম চুক্তির বিষয়ে আমরা উল্লেখ করব।”

বাংলাদেশে অবৈধভাবে অবস্থানকারী বিদেশির সংখ্যা কমে আসছে জানিয়ে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, “আমাদের দেশে অনেকে অবৈধভাবে বসবাস করছে, যাদের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। অবৈধ বসাবাসকারীর আমাদের অফিসিয়াল সংখ্যা ৫৯ হাজার ২২৬ জন। এখন এটা কমে আসছে, ৩৩ হাজার ৬৪৮ জনে এসছে।

“তাদের বৈধ করার ৩১ জানুয়ারি সময়সীমা শেষ হয়ে যাবে। ৩১ জানুয়ারির পর তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।”

তিনি বলেন, “শুধু তাদের বিরুদ্ধে না, যারা সরকারের অনুমতি ছাড়া তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দিয়েছে- তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”