ঢাকায় নেমেই পুলিশ পরিচয়ধারী ‘ডাকাতের কবলে’ প্রবাসী পরিবার
দুবাই থেকে ভোররাতে ঢাকায় নেমে বাড়ি ফেরার পথে পুলিশ পরিচয়ধারী ‘ডাকাতের’ কবলে পড়ার অভিযোগ করেছে একটি প্রবাসী পরিবার।
ওই পরিবারের একজন নারী ডাকাতের মারধরে আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাও নিয়েছেন।
সোমবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে রাজধানীর বিমান বন্দর সড়কের হোটেল র্যাডিসনের সামনে ঘটনা ঘটে বলে পরিবারটি জানিয়েছে।
এই ঘটনায় আহত মনিকা সরকার (২৫) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
হাসপাতালে মনিকার স্বামী সনজিৎ সরকার সাংবাদিকদের বলেন, ভোর সাড়ে ৪টার দিকে বিমানবন্দর থেকে ফরিদপুরে গ্রামের বাড়ি যাওয়ার পথে হোটেল র্যাডিসনের সামনে তাদের মাইক্রোবাসটিকে পুলিশের মতো ‘সিগন্যাল লাইট’ জ্বালিয়ে থামার সংকেত দেওয়া হয়।
“গাড়িটি থামার পর পুলিশের মতো পোশাক পরা লোকজন এসে তাদের পরিচয় জানতে চায়। পরে পাসপোর্ট ও ব্যাগ চায়। পাসপোর্ট দিতে অস্বীকার করলে টানা-হেঁচড়া শুরু করে। এক পর্যায়ে তারা গাড়ির আরোহীদের মারধর ও গাড়ি থেকে নামানোর চেষ্টা করে, গাড়িটির কাঁচ ভাঙচুর করে।”
এসময় আক্রান্তদের ডাক-চীৎকারে লোকজন এগিয়ে এলে ডাকাতরা মাইক্রোবাসে করে পালিয়ে যায় বলে সনজিৎ বলেন।
ডাকাতরা কোনো মালামাল নিতে পারেনি বলেও জানান তিনি।
পরে সকাল ৫টা ২০ মিনিটে মারধরে আহত স্ত্রীকে নিয়ে ঢাকা মেডিকেলে যান সনজিৎ। হাসপাতালের ৪ নম্বর ওয়ার্ডে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে সকাল সোয়া ৭টার দিকে তারা হাসপাতাল ছাড়েন।
ঘটনার সময় সনজিতের বাবা অমৃত সরকারও ওই গাড়িতে ছিলেন।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সনজিৎ পরিবার নিয়ে দুবাইয়ে থাকেন। ভোররাতে তাদের বহনকারী ফ্লাইটটি ঢাকায় নামে। তাদের আনতে ফরিদপুর থেকে গাড়ি ভাড়া করে ঢাকায় আসেন অমৃত সরকার। গাড়িটি বিমানবন্দর সড়ক ধরে হোটেল র্যাডিসনের সামনে এলে ডাকাতদের কবলে পরে।
“গাড়িতে সনজিৎ, তার স্ত্রী মনিকা, তাদের ৫ ও ৭ বছরের দুই মেয়ে ছিল। ডাকাতদের লাঠির আঘাতে মনিকার গায়ে ফোলা জখম তৈরি হয়েছে। তবে শেষ পর্যন্ত ডাকাতেরা কিছু নিতে পারেনি। তবে দেশে ফিরেই ওই হামলায় তাদের বাচ্চা দুটো খুবই ভয় পেয়েছে।”
এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে পুলিশের গুলশান বিভাগের ক্যান্টনমেন্ট জোনের সহকারী কমিশনার নাজমুল হাসান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমাদের কাছে কোনো অভিযোগ এখনো আসেনি। তবে আমরা খোঁজ নিচ্ছি।”