গাইবান্ধায় সালিশে ‘পিঁড়ি’ দিয়ে পিটুনি, প্রাণ গেল ইউপি সদস্যের
গাইবান্ধা সদর উপজেলায় সালিশ বৈঠকে ইউনিয়ন পরিষদের এক সদস্যকে বসার ‘পিঁড়ি’ দিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার বিকালে উপজেলার বোয়ালি ইউনিয়নের নশরৎপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন গাইবান্ধা সদর থানার ওসি শাহিনুর ইসলাম তালুকদার।
নিহত আব্দুল জোব্বার (৬০) ওই গ্রামের মৃত. খেজর উদ্দিনের ছেলে। তিনি উপজেলার বোয়ালি ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য ছিলেন।
এলাকাবাসীর বরাতে ওসি জানান, কয়েক বছর আগে নশরৎপুর গ্রামের ওয়ারেছ আলীর ছেলে ময়নুল ইসলামের সঙ্গে উপজেলার বাদিয়াখালি ইউনিয়নের ফুলবাড়ি গ্রামের আছর আলীর মেয়ে রোজিনা আক্তারের বিয়ে হয়।
বিয়ের পর থেকে ময়নুল ইসলাম মালদ্বীপে চাকরি করছেন। এদিকে নানা বিষয় নিয়ে তাদের সংসারে বিরোধ লেগেই থাকত। এ কলহের জেরে শুক্রবার সকালে রোজিনা শ্বশুরবাড়ি থেকে বিয়ের সময়ের মালামালসহ বাবার বাড়ি যাওয়ার প্রস্তুতি নেন।
এ সময় বাড়ির লোকজন বিষয়টি মীমাংসার জন্য ইউপি সদস্য আব্দুল জোব্বারকে ডেকে আনেন। তিনি ওই বাড়িতে উপস্থিত হয়ে নিষ্পত্তির জন্য শালিসে বসেন। কিন্তু আলোচনার এক পর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে কথাকাটাকাটি শুরু হয়।
তখন ময়নুল ইসলামের মা জোবেদা বেগম ও বোন মঞ্জু রানী কাঠের তৈরি পিঁড়ি দিয়ে বৃদ্ধ আব্দুর জোব্বারকে আঘাত করেন। এতে তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন।
পরে আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসেন। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
ওসি শাহিনুর আরও বলেন, খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।