জুলাই ঘোষণাপত্র: অংশীজনদের অভিমত চেয়েছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়
জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেয়া রাজনৈতিক দলসহ সব অংশীজনের অভিমত চেয়েছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়।
শনিবার প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরের এক বার্তায় বলা হয়, জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে গত বৃহস্পতিবার সর্বদলীয় সংলাপের পরবর্তী কর্মপন্থা হিসেবে গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া রাজনৈতিক দলসহ সকল অংশীজন থেকে অভিমত নেয়া হচ্ছে।
“আপনাদের সুচিন্তিত অভিমত চিঠি মারফত পাঠাতে পারেন- মাহফুজ আলম, উপদেষ্টা, প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয় এ ঠিকানায়। আগামী ২৩শে জানুয়ারি পর্যন্ত চিঠি মারফত আপনাদের অভিমত জানাতে পারবেন।”
এসব অভিমত পর্যালোচনা করে একটি সংশোধিত ও সর্বজনগ্রাহ্য ঘোষণাপত্র তৈরি করে অনতিবিলম্বে ঘোষিত হবে বলে বার্তায় বলা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের ডাকা সর্বদলীয় বৈঠকে জুলাই ঘোষণাপত্রের খসড়া নিয়ে আলোচনা হয়।
নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, গণসংহতি আন্দোলন, এবি পার্টি, খেলাফত আন্দোলন, জেএসডি, খেলাফত মজলিস, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, গণঅধিকার পরিষদ, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি ও গণ ফ্রন্টের প্রতিনিধিরা বৈঠকে ছিলেন।
আরো ছিলেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন, নেজামে ইসলামী, বাসদ (মার্কসবাদী), জাতীয় নাগরিক কমিটি এবং বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধিরা।
ছাত্র-জনতার প্রবল আন্দোলনে ৫ অগাস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের টানা চার মেয়াদের শাসনের অবসান ঘটে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান।
এ আন্দোলনের সূচনা হয়েছিল জুলাই মাসে শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কারের দাবি আন্দোলনের মধ্য দিয়ে। সহিংসতার জেরে রাস্তায় নেমে আসে মানুষ। দাবি ওঠে, সরকার পতনের।
ঘোষণাপত্রের খসড়া: ‘বাহাত্তরের সংবিধান সংশোধন বা প্রয়োজনে বাতিলের অভিপ্রায়’
আন্দোলনে ‘শহীদদের’ তালিকা নিয়ে প্রথম গেজেট প্রকাশ করেছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
বুধবার প্রকাশিত প্রথম গেজেটে সারাদেশের ৮৩৪ জন ‘শহীদের’ নাম স্থান পেয়েছে।
অভ্যুত্থানকে কেন্দ্র করে একটি ঘোষণাপত্র প্রকাশের ঘোষণা দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি। গত ২৯ ডিসেম্বর ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ প্রকাশের বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে সামনে আনে তারা। বছরের শেষ দিন ৩১ ডিসেম্বর ওই ঘোষণাপত্র প্রকাশের কর্মসূচিও দেয় তারা।
প্রথমে সরকার এর সঙ্গে যুক্ত না হলেও পরে এ প্রক্রিয়া শুরুর কথা জানায়। তখন ৩১ ডিসেম্বর ঘোষণাপত্র প্রকাশের কর্মসূচি বদল করে সরকার পতনে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
ঘোষণাপত্র নিয়ে সরকারের উদ্যোগের অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার সর্বদলীয় বৈঠক ডাকেন প্রধান উপদেষ্টা।