বুধবার ০৮ জানুয়ারি ২০২৫, পৌষ ২৫ ১৪৩১, ০৮ রজব ১৪৪৬

ব্রেকিং

লন্ডন ক্লিনিকে খালেদা জিয়া একনেক সভায় ৪ হাজার ২৪৬ কোটি টাকার ১০টি প্রকল্প অনুমোদন ইসলামী ব্যাংকের অর্থ ‘আত্মসাৎ’, এস আলমের ছেলের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা হচ্ছে সম্পত্তির নিলাম ঠেকাতে আদালতে যাচ্ছে এস আলম গ্রুপ লন্ডনে খালেদা জিয়া, মাকে স্বাগত জানান তারেক রহমান ফ্যাক্ট চেকারদের আর ব্যবহার করবে না ফেইসবুক, ইনস্টাগ্রাম নির্বাচকদের সঙ্গে দুই দফায় আলোচনার পর ‘সময় নিলেন’ তামিম তিব্বতে ভূমিকম্পে অন্তত ১২৬ জনের প্রাণহানি, জীবিতদের খোঁজে অনুসন্ধান চলছে বেনজীরের স্ত্রী-কন্যার আয়কর নথি জব্দের আদেশ মোটরসাইকেল, ফ্রিজ, এসি শিল্পে আয়কর দ্বিগুণ হল নোট-গাইডের বিরুদ্ধে ‘কঠোর অবস্থানে’ সরকার: এনসিটিবি চেয়ারম্যান শেখ হাসিনার ভিসার মেয়াদ বাড়িয়েছে ভারত হাসিনা, রেহানা ও তাদের সন্তানদের ব্যাংক হিসাব তলব

জাতীয়

পাঁচ মাসে সরকারের অর্জন ‘অসাধারণ’: প্রেস সচিব

 প্রকাশিত: ২২:১৯, ৭ জানুয়ারি ২০২৫

পাঁচ মাসে সরকারের অর্জন ‘অসাধারণ’: প্রেস সচিব

তুমুল গণআন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর সংস্কারের প্রত্যয় নিয়ে দায়িত্ব নেওয়া অন্তর্বর্তী সরকার পাঁচ মাসে ‘অসাধারণ সাফল্য’ এনেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

আইনশৃঙ্খলা ও অর্থনীতিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সাফল্যের বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেছেন, “আমরা গত পাঁচ মাসে যেটা ‘অ্যাচিভ’ করেছি সেটা অসাধারণ। পাঁচ মাসে যে পরিস্থিতিতে আমরা শুরু করেছি- ভঙ্গুর অর্থনীতি, একটা বিপর্যস্ত সমাজ ব্যবস্থা, ১৫ বছরের একটা রাজতন্ত্র থেকে রিপাবলিকে ফিরে আসা ও তা বাস্তবায়ন করা।

“যে কাজগুলো আমরা করেছি সেটা ‘আন্ডার অ্যাপ্রিশিয়েটেড’ আছে। আমার মনে হয়, এর মূল্যায়ন আমরা পরে পাব। অনেক বছর পরে গিয়ে হয়ত অনেকে বলবে।”

রাজধানীতে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে মঙ্গলবার ‘রাজনীতির অভিমুখ: সংস্কার ও নির্বাচন’শীর্ষক মতবিনিময় সভায় কথা বলছিলেন প্রেস সচিব।

আওয়ামী লীগ সরকারের টানা দেড় দশকের শাসন ও তাদের পতনের পরিস্থিতিকে ‘নিশ্চিত দুর্ঘটনার মুখে থাকা’ উড়োজাহাজের সঙ্গে তুলনা করেন তিনি।

প্রেস সচিব বলেন, “সেই মুহূর্তে মুহাম্মদ ইউনূস দায়িত্ব নিলেন। প্যারিস থেকে তাকে ডেকে আনা হল। ওই পরিস্থিতি থেকে তিনি দেশকে এমন একটা জায়গায় নিয়ে গেছেন যেখানে জিনিসপত্রে দাম কমেছে, সমস্যা বা জটিলতা কেটে গেছে, সহিংসতা দূর হয়ে গেছে।”

বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে গত বছরের একই সময়ের স্বাভাবিক পরিস্থিতির সঙ্গে তুলনা করেন তিনি।

“যে গতিতে ইকোনমিটা ছিল, এতদিনে এসে আমাদের রিজার্ভ ২ বিলিয়ন ডলারে আসার কথা ছিল। সেখানে আছে এখন ২২ বিলিয়নের মত। ‘উই মেইড আ ম্যাসিভ কামব্যাক’। জনআকাঙ্ক্ষার যে জায়গাটা তৈরি করতে পেরেছি, সেটা হল অন্তর্বতীকালীন সরকার একটা রোডম্যাপ দিয়েছে।”

গত বছরের জুলাইয়ে কোটা সংষ্কারে শুরু হওয়া আন্দোলন পরে রূপ নেয় সরকার পতনে ছাত্র-জনতার তুমুল গণআন্দোলনে। প্রবল বিক্ষোভ আর সহিংসতার মধ্য দিয়ে গত ৫ অগাস্ট গণভবন ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এমন পরিস্থিতির মধ্যে বিদেশে থাকা নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনূস দেশে ফিরে অন্তর্বর্তী সরকারের হাল ধরেন। রাষ্ট্র সংস্কারের প্রত্যয় নিয়ে তিনি কাজ শুরু করেন। জনপ্রশাসন, পুলিশ, বিচার বিভাগ, নির্বাচন ও সংবিধান সংস্কারসহ বেশকিছু সংস্কার কমিশন গঠন করেন তিনি। এসব কমিশন এখন তাদের প্রতিবেদন দিচ্ছে সরকারকে। সংস্কারের পরই জাতীয় নির্বাচনের কথা বলছে অন্তর্বর্তী সরকার।

শফিকুল আলম বলেন, “যদি রাজনৈতিক দলগুলো মনে করে তারা খুব বেশি একটা সংস্কার চাইবে না, তাহলে আমরা এ বছরের ডিসেম্বরে এসে একটা নির্বাচন করব। যদি দলগুলো মনে করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে দিয়ে অনেক সংস্কারের কাজ করিয়ে নেই, আরও আমার সংস্কারটা লাগবে, সেক্ষেত্রে আরও ছয় মাস সময় নেব।

“বাংলাদেশে একটা সত্যিকারের ‘ডিবেট-ডায়লগ’ হওয়া দরকার। আমাদের আগামী ১০০-২০০ বছরের রাজনৈতিক বন্দোবস্তটা কী হবে, আমরা কী সংবিধান চাই, সেখানে কী সংস্কার চাই, রাজনৈতিক দর্শন কী আনতে চাই? তরুণ প্রজন্ম কী সরকার চায়, নির্বাচন ব্যবস্থাটা কীভাবে করব? পুলিশ ব্যবস্থাটা কীভাবে করব? পুলিশ কতটুকু স্বাধীনতা পাবে, বিচার ব্যবস্থা কতটুকু স্বাধীনতা পাবে…।”

প্রেস সচিব বলেন, “নব্বইয়ের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের পরে আমাদের ইচ্ছা ছিল আমরা গণতান্ত্রিক পর্যায়ে যাব ও রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ক্রমান্বয়ে উন্নয়ন করব। গণতন্ত্রের মধ্যে থাকলে হয় কি…‘প্ল্যান অ্যান্ড এরোরের’ মধ্যে থাকি, এটা হচ্ছে না অন্যটা করলাম। করতে করতে সমাজ একটা ম্যাচিউরিটির মধ্যে থাকে। সেটা আমাদের হয়নি।

“আমাদের পুরো ফাউন্ডেশনটা ছিল কেয়ারটেকার গভর্নমেন্ট, সেটা ধ্বংস হয়ে গেল। গত ১৫ বছরে হাসিনা একটা ‘শেখ রাজতন্ত্র’ করলেন। ভয়াবহ একটা রাজতন্ত্র, কারও কথা বলার অধিকার নাই, ইকোনমিতে যে যার মত লুটপাট করছে, সারা বাংলাদেশ জুড়ে ৪-৫ হাজার ম্যুরাল করে ফেললেন। পদ্মা ব্রিজের তার ও তারা বাবার বড় ম্যুরাল তৈরিতে খরচ ১১৭ কোটি টাকা। ক্যান ইউ ইমাজিন দ্যাট? সাইফুজ্জামান চৌধুরী তার নিজের কারণে কর্ণফুলীর নিচে দিয়ে টানেল নিয়ে গেলেন, ১২ হাজার কোটি টাকা।…একটা লোক রিপোর্ট করে নাই, আপনি দেখেন।”