বিসিএস: পুনর্বিবেচনার আবেদন নিয়ে সচিবালয়ে প্রার্থীরা
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পুনর্বিবেচনার আবেদন জমা দিতে সচিবালয়ের সামনে জড়ো হয়েছেন ৪৩তম বিসিএসে বাদ পড়া দুই শতাধিক চাকরি প্রার্থী।
রোববার সচিবালয়ে গিয়ে বাদ পড়ার কারণ জানতে চাওয়ার পাশাপাশি নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে আবেদন জমার প্রস্তুতি নিয়ে এসেছেন তারা।
বাদ পড়াদের একজন রায়হান নূর সচিবালয় গেইটে বলেন, “জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় নির্দেশনা অনুযায়ী, আজকে আমরা বাদপড়ারা আবেদন জমা দিতে এসেছি। আমরা কোনো রাষ্ট্র বিরোধী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত নই।
“কোন ক্রাইটেরিয়ায় আমাদেরকে বাদ দেওয়া হয়েছে, সেটা স্পষ্ট বলতে হবে। অন্যথায় ৬ তারিখের মধ্যে আমাদেরকে ৪৩তম বিসিএসের চাকরির প্রজ্ঞাপনের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে এবং ১৫ তারিখে অন্য সবার সাথে আমাদেরও নিয়োগ চূড়ান্ত করতে হবে।”
এই বিসিএসের মাধ্যমে ২ হাজার ১৬৩ জনকে নিয়োগ দিতে সুপারিশ করেছিল পিএসসি। এর মধ্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষায় অনুপস্থিতির কারণে ৪০ জনকে এবং গোয়েন্দা প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আরও ৫৯ জনকে বাদ রেখে গত ১৫ অক্টোবর প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পরে এ নিয়োগের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে ফের ‘প্রাক-চরিত্র’ যাচাই করা হয়। তাতে ‘বিরূপ মন্তব্য’ আসায় ২২৭ জনকে এবং স্বাস্থ্য পরীক্ষায় অনুপস্থিত ৪০ জনকে বাদ রেখে ১,৮৯৬ জনকে নিয়োগে ৩০ ডিসেম্বর ফের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব উজ্জল হোসেন বৃহস্পতিবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছিলেন, “প্রাক-চরিত্র প্রতিবেদনে বিরূপ মন্তব্যের কারণে যাদের সাময়িকভাবে নিয়োগের জন্য অনুপযুক্ত বিবেচনা করা হয়েছে, তাদের কেউ পুনর্বিবেচনার আবেদন করলে তা গ্রহণ করা হচ্ছে এবং পুনর্বিবেচনার আবেদন করার সুযোগ সবার জন্য খোলা আছে।”
আবেদন নিয়ে আসা হরে কৃষ্ণ বর্মন বলেন, “জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয়ের নির্দেশ অনুযায়ী, আমরা আবেদন নিয়ে এসেছি। আমরা আবেদন জমা দিয়ে চলে যাব।”
২০২০ সালের ৩০ নভেম্বর আবেদনের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা এ বিসিএসের সব প্রক্রিয়া শেষে ২০২৪ সালের ২৫ জানুয়ারি ২১৬৩ জনকে নিয়োগ দিতে সুপারিশ করেছিল পিএসসি।