বুধবার ০১ জানুয়ারি ২০২৫, পৌষ ১৮ ১৪৩১, ০১ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

শেখ হাসিনার ‘গ্রাফিতি’ মোছা নিয়ে যা বলল ঢাবি প্রশাসন

 প্রকাশিত: ১৮:২৭, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪

শেখ হাসিনার ‘গ্রাফিতি’ মোছা নিয়ে যা বলল ঢাবি প্রশাসন

শেখ হাসিনার গ্রাফিতি মোছার চেষ্টা, ফের আঁকলেন শিক্ষার্থীরা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাজু ভাস্কর্য সংলগ্ন মেট্রোরেলের পিলারে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যঙ্গ গ্রাফিতি মধ্যরাতে মুছে ফেলা হয়। বিষয়টি জানতে পেরে শিক্ষার্থীরা এসে আবারও হাসিনার ব্যঙ্গ গ্রাফিতি এঁকে দেন সেখানে।

ঘটনাটি নিয়ে যখন সামাজিকমাধ্যমে তোলপাড় চলছে তখন গ্রাফিতি মোছার বিষয়টি নিয়ে বক্তব্য দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিস।

শেখ হাসিনার ব্যঙ্গ গ্রাফিতি মোছা প্রক্টরিয়াল টিমের অনিচ্ছাকৃত ভুল বলে জানিয়েছেন তারা।  

রোববার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এই ঘোষণা দেওয়া হয়। এসময় স্তম্ভটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘৃণাস্তম্ভ হিসেবে ঘোষণা দেওয়ার কথাও জানানো হয়।  

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৯ ডিসেম্বর গভীর রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পেছনে মেট্রোরেলের দুটি পিলারে থাকা শেখ মুজিব এবং স্বৈরাচার শেখ হাসিনার ঘৃণাসূচক গ্রাফিতি মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়। জুলাই আন্দোলনে এই দুটি গ্রাফিতি বিপ্লব, প্রতিরোধ এবং ফ্যাসিবাদ ধ্বংসের প্রতিনিধিত্ব করে। এই স্মৃতিকে তাজা রাখা এবং প্রজন্মান্তরে ছড়িয়ে দেওয়া আমাদের দায়িত্ব।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এটি প্রক্টরিয়াল টিমের অনিচ্ছাকৃত ভুল। এ জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি। ভবিষ্যতে এ ব্যাপারে আমরা আরো সতর্ক থাকার অঙ্গীকার করছি।

প্রক্টর অফিস জানায়, প্রক্টরিয়াল টিমের উপস্থিতিতে গত রাতেই শিক্ষার্থীরা মুছে ফেলা গ্রাফিতি অতিদ্রুত সময়ের মধ্যে এঁকেছেন। এই স্তম্ভটিকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আনুষ্ঠানিকভাবে ঘৃণাস্তম্ভ হিসেবে স্বীকৃতি দেবে। ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার এই ঘৃণাকে যুগ যুগ ধরে সংরক্ষণের দায়িত্ব বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গ্রহণ করবে।

উল্লেখ্য, শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) রাত ২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমেদের অনুমতিতে মেট্রোরেলের কর্মীরা মেট্রোরেলের পিলারে আঁকা হাসিনার ব্যঙ্গ গ্রাফিতি মুছে ফেলার কাজ শুরু করেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কয়েকজন লোক মেট্রোরেলের পিলারে শেখ হাসিনার ছবি মুছতে গেলে তারা বাধা দেন। পরে তারা জানতে পারেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের অনুমতিতেই এই কার্যক্রম চলছিল। এসময় একটি পিলারে শেখ মুজিবুর রহমানের সম্পূর্ণ ছবি অন্যটিতে শেখ হাসিনার ছবির মুখের অংশ মুছে ফেলা হয়।

তারা জানান, পরে শিক্ষার্থীরা বাধা দিয়ে মোছা বন্ধ করেন এবং পুনরায় শেখ হাসিনার ছবি এঁকে দেন। এরপর তারা ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেন।

এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমেদ বাংলানিউজকে জানান, গোয়েন্দা সংস্থা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন প্রোগ্রামের ছবি তোলে। এই ছবিগুলোর সঙ্গে শেখ হাসিনার এবং শেখ মুজিবের ছবি যায়। তাই ওরা বলেছে, এখনো টিএসসিতে কীভাবে তাদের ছবি থাকে। তখন আমি ভারপ্রাপ্ত স্টেট ম্যানেজার ফাতেমা বিনতে মুস্তাফাকে বললাম মেট্রো কর্তৃপক্ষকে বলার জন্য। পরে মেট্রোরেলের পক্ষ থেকে লোক পাঠিয়ে মুছে ফেলা হয়।