সচিবালয়ে আগুন কীভাবে, যা বললেন ফায়ার সার্ভিসের ডিজি
প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়ের আগুন ৬ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে এলেও অগ্নিকাণ্ডের কারণ তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস।
সংস্থাটির মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাহেদ কামালের ধারণা, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে ওই আগুন লাগতে পারে।
বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ৭টায় সচিবালয়ের সামনে ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, “সচিবালয়ের আগুন লাগার কারণ সম্ভবত ইন্টেরিয়র ডেকোরেশন ছিল। এক জায়গা আগুন ধরলে বিদ্যুৎ লাইনের মাধ্যমে সব জায়গা ছড়িয়ে পড়ে। এটা হতে পারে।
“কিন্তু প্রাথমিক কারণ এখনও আমরা বের করতে পারি নাই। আগুন নেভানোর পর আমরা যখন সব জায়গা তল্লাশি করব, তখন আপনাদেরকে বলতে পারব।"
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাহেদ কামাল বলেন, “আমরা যতটুকু জানতে পেরেছি- তিনটি জায়গায় একসাথে আগুন দেখা গেছে। যখন স্পার্কিং হয়, যদি বিদ্যুৎ লাইনের শর্ট সার্কিট হয়- এটা হতে পারে। তবে আমরা এটা এখনও নিশ্চিত বলব না; যতক্ষণ পর্যন্ত না আমরা তদন্ত শেষ করছি।
“কিন্তু এটা হতে পারে। এটা হয়েছে- আমরা বলব না। যদি শর্ট সার্কিটের বিষয় থেকে থাকে, যদি একই লাইন হয়ে থাকে- তাহলে এটা হতে পারে।"
ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম জানান, সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে আগুন লাগার খবর বুধবার রাত ১ টা ৫২ মিনিটে পান তারা। দুই মিনিটের মধ্যে তাদের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে কাজ শুরু করেন।
প্রথমে আটটি ইউনিট কাজ শুরু করলেও পরে আরো ১১টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজে যোগ দেয়।
আগুন নেভানোর কাজে নিয়োজিত ফায়ার ফাইটার নয়ন পানির লাইন দিতে রাস্তা পার হওয়ার সময় ট্রাক চাপায় গুরুতর আহত হন। তাকে চাপা দিয়ে ট্রাকটি পালিয়ে যায়। পরে হাসপাতালে নয়নের মৃত্যু হয়।
আগুন লাগার ৬ ঘণ্টা বাদে তা নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে বৃহস্পতিবার সকালে ফায়ার সার্ভিসের তরফে জানানো হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে সংস্থাটির ডিজি জাহেদ কামাল বলেন, ভবনের ভেতরে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেছে কি না, তা এখন পর্যন্ত তারা জানতে পারেননি।