মেঘনায় জাহাজে ৭ খুন: দুজন ফরিদপুরের মামা-ভাগনে
চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে সারবাহী জাহাজে যে সাতজন খুন হয়েছেন তাদের মধ্যে দুজন ফরিদপুরের; তারা সম্পর্কে মামা-ভাগনে।
তারা হলেন- গোলাম কিবরিয়া (৬৫) এবং তার ভাগনে সবুজ শেখ (২৬)।
এর মধ্যে গোলাম কিবরিয়া সদর উপজেলার গেরদা ইাউনিয়নের জোয়ারের মোড় এলাকার মৃত আনিসুর রহমানের ছেলে। তিনি জাহাজের মাস্টার ছিলেন। আর জাহাজের লস্কর সবুজ শেখও একই এলাকার বাসিন্দা ছিলেন।
কিবরিয়া চার ভাই ও এক বোনের মধ্যে বড়। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন। সবুজরা ছয় ভাই, চার বোন। ভাইদের মধ্যে সবুজ চতুর্থ ছিলেন।
সবুজ শেখের ভাই ফারুখ শেখ সোমবার রাতে বলেন, এক মাস আগে তার ভাই ও মামা বাড়ি থেকে বের হয়ে জাহাজে যান। বিকালে পরিবার তাদের খুনের খবর পায়।
তিনি বলেন, পরিবার জানে না কীভাবে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। তিনি চাঁদপুরের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন।
এ খবর পাওয়ার পর পরিবারের লোকজন কান্নায় ভেঙে পড়েন। তাদের সান্ত্বনা দিতে আসেন আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীরা।
সোমবার বিকালে হাইমচর উপজেলার নীলকমল ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী এলাকায় মেঘনা নদীতে আল বাখেরাহ জাহাজ থেকে পাঁচটি লাশ উদ্ধার করা হয়। এ সময় গুরুতর আহত আরো তিনজনকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত বাকিরা হলেন- জাহাজের ইঞ্জিন চালক সালাউদ্দিন, সুকানি আমিনুল মুন্সি, গ্রিজার সজিবুল, আজিজুল ও মাজেদুল ইসলাম।
গুরুতর অবস্থায় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রাতে অ্যাম্বুলেন্সে করে জুয়েল রানা (২৩) নামে এক সুকানিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তার শ্বাসনালী কেটে গেছে। তিনি শঙ্কামুক্ত নন বলে জানিয়েছে চিকিৎসক।
লাইটারেজ জাহাজ পরিচালনাকারী সংস্থা ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট সেলের কর্মকর্তা আতাউল করিম রঞ্জু বলেন, ইউরিয়া সার বোঝাই করে জাহাজটি সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়িতে বিসিআইসির ডিপোতে যাবার কথা ছিল।