সোমবার ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, পৌষ ৮ ১৪৩১, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

দুটি ফ্ল্যাট, প্লট, আমানতের তথ্য দিলেন দুদক চেয়ারম্যান

 প্রকাশিত: ২০:১১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

দুটি ফ্ল্যাট, প্লট, আমানতের তথ্য দিলেন দুদক চেয়ারম্যান

ঢাকায় দুটি ফ্ল্যাট, স্ত্রী ও বিসিএস প্রশাসন কমিটির সঙ্গে দুটি প্লট, ৭১ লাখ টাকার আমানতসহ স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ থাকার তথ্য দিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) নতুন দায়িত্ব পাওয়া চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মোমেন।

দুদক সংস্কার কমিশনে তিনি নিজের সম্পদের তথ্য জমা দেওয়ার কথা বলেছেন।

রোববার বিকালে দুদক বিটে কর্মরত প্রতিবেদকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে সম্পদের তথ্য দেওয়ার কথা তুলে ধরে তিনি নিজের আয় ব্যয় ও সম্পদের ফিরিস্তি দেন।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ও কমিশনার নিয়োগে ‘স্বচ্ছতা নিশ্চিতে’ তাদের আয় ও সম্পদের তথ্য প্রকাশের যে আহ্বান জানিয়েছিল টিআইবি, তাতে সাড়া দিয়ে দুদক চেয়ারম্যান মোমেন নিজের সম্পদের তথ্য দুদক সংস্কার কমিশনে জমা দেওয়ার কথা তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, এর বাইরে কিছু মিললে সেগুলো সরকার বাজেয়াপ্ত করতে পারে বা ধ্বংস করে দিতে পারে।

মোমেন বলেন, “আনুষ্ঠানিকভাবে আমার সম্পদ বিবরণী দুদক সংস্কার কমিশনের কাছে জমা দিয়েছি। অন্য কমিশনাররা তাদের সম্পদ বিবরণী জমা দিয়ে দেবেন।”

গত ১১ ডিসেম্বর দুদকে যোগ দেন আবদুল মোমেন। ওই দিন তিনি সাত দিনের মধ্যে স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ও আয়–ব্যয়ের হিসাব প্রকাশ করার কথা বলেছিলেন।

নিজের সম্পত্তির ফিরিস্তি তুলে ধরে তিনি বলেন, “বছিলায় ৭৫০ স্কয়ার ফিটের দুটি ফ্ল্যাট মিলিয়ে ১৫০০ স্কয়ার ফিটের অ্যাপার্টমেন্ট আছে। সেখানে আরও ৭০০ স্কয়ার ফিট নেওয়ার প্রক্রিয়ার মধ্যে আছি।

“পূর্বাচল আমেরিকান সিটিতে স্ত্রীর সঙ্গে আমার একটি খালি জায়গা আছে ৫ কাঠা। বিসিএস প্রশাসন কমিটির সদস্য ছিলাম। সেখানে ৮ জন সদস্যের জন্য ১০ কাঠা জমি আছে। আমার ভাগে ১.২৫ কাঠা পড়বে। ২০০৭ সালে টাকা পয়সা দিয়েছি কিন্তু এখন পর্যন্ত দখল পাইনি। এটা অনিশ্চিত।”

দুদক চেয়ারম্যান বলেন, “রাজউকের একটি প্লটের জন্য ৭৫ হাজার টাকা জমা দিয়েছিলাম। আজ পর্যন্ত সেটার কোনো নিষ্পত্তি হয়নি। যেকোনো কারণে হোক সরকার আমাকে দেয়নি। আমি আবেদন করব আবার । এর বাইরে আমার আর কোনো স্থাবর সম্পদ নেই।”

অস্থাবর সম্পত্তির বিষয়ে তিনি বলেন, “বিভিন্ন আকারের ২৫ সেলফ ভর্তি বইপত্র। দেশি বিদেশি অনেক দামি বইপত্র। আসবাব, ইলেকট্রনিকসামগ্রী মিলিয়ে ৫ লাখ টাকার জিনিস আছে। ৫ বছর মেয়াদী ৩০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র আছে। আর ৩ মাস অন্তর সঞ্চয়পত্র আছে ২০ লাখ টাকার। আমার জিপিএফের টাকা আমি এখনো তুলিনি, ওখানে ১৭ লাখ টাকা আছে।”