ভোট ‘চুরিতে’ জড়িত কর্মকর্তাদের বিচার চায় বিএনপি
গত দেড় দশকে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অনুষ্ঠিত তিন জাতীয় নির্বাচনে ‘ভোট চুরিতে’ জড়িত প্রশাসনের কর্মকর্তাদের আইনের আওতায় এনে বিচার করার দাবি জানিয়েছেন বিএনপি।
এছাড়া প্রতি নির্বাচনের ৩ মাস আগে প্রশাসনকে ঢেলে সাজানোর সুপারিশ করেছে দলটি।
রোববার জনপ্রশাসন সচিব মোখলেস উর রহমানের সঙ্গে দেখা করে বিএনপির জনপ্রশাসন সংস্কার বিষয়ক কমিটির একটি প্রতিনিধি দল এসব সুপারিশসহ প্রতিবেদন জমা দেয়।
জনপ্রশাসন সচিব মোখলেস উর রহমান বলেন, “বিএনপির পক্ষ থেকে প্রতিবেদন এসেছে। সরকার এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেবে।“
বিএনপির সংস্কার বিষয়ক কমিটির সদস্য সাবেক সচিব ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ইসমাইল জবিউল্লাহ এবং সাবেক সংস্থাপন সচিব আবু মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান খান ওই প্রতিনিধি দলে ছিলেন।
ইসমাইল জবিউল্লা বলেন, “বিএনপির পক্ষ থেকে জনপ্রশাসন সংস্কারের জন্য সুপারিশ জমা দিতে এসেছি। জনআকাঙ্ক্ষা পূরণে সংস্কার প্রস্তাবনা দিয়েছি। প্রশাসনে আমূল সংস্কার প্রয়োজন। সুপারিশে ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যারা যারা ভোট চুরি করেছে, তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে।
“প্রশাসনে ঘাপটি মেরে বসে থাকা আওয়ামী লীগের দোসরদের দ্রুত বিতাড়িত করার সুপারিশ করা হয়েছে। এছাড়া বৈষম্যের শিকার সব সরকারি কর্মচারীদের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে।”
বিএনপির এই সুপারিশমালায় নতুন করে জেলা প্রশাসকদের ফিটলিস্ট করার তাগিদ দেওয়া হয়েছে বলে জবিউল্লা জানান।
প্রশাসনিক কর্মকাতাদের ‘নিরপেক্ষ’ হতে হবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, “মাঠ প্রশাসনে নিয়োগের প্রথম ৩ মাস ফিল্ডে রাখতে হবে। বিগত দিনে যারা সিন্ডিকেট তৈরি করছে তাদের বিদায় করার সুপারিশ করেছি।”