ভারতীয় দূতাবাস ঘিরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সতর্ক অবস্থান
ঢাকায় ভারতীয় দূতাবাসের প্রবেশ মুখে আগলে রয়েছে সেনাবাহিনীর দুটি সাঁজোয়া যান। তার সামনে রয়েছেন একদল পুলিশ সদস্য। আর প্রবেশপথে ব্যারিকেড দিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা।
আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাই কমিশনে হামলার পর ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভারতীয় হাই কমিশন ও সহকারী হাই কমিশনগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করার পর মঙ্গলবার এ চিত্র দেখা গেছে।
এদিন দুপরে আগরতলার ঘটনার প্রতিবাদে ভারতীয় দূতাবাস ঘেরাও কর্মসূচি ঘোষণা করেছিল একটি সংগঠন। তবে বিকাল পৌনে ৫টা পর্যন্ত দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভকারীদের কেউ আসেনি। তবে ৫টা ১০ মিনিটে এক ব্যক্তি প্রতিবাদ জানাতে আসেন।
তার ভাষ্য অনুযায়ী, তিনি হিন্দু থেকে মুসলিম হয়েছেন। তার বাড়ি গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়া। আগে তার নাম ছিল ননী গোপাল পোদ্দার, এখন তার নাম খান মোহাম্মদ আবু বক্কর সিদ্দিক।
মিনিট দশেক পরে তাকে সরিয়ে দেয় পুলিশ।
দূতাবাসে যাওয়ার রাস্তা ও এর আশপাশে লেকের পাড়ে বিপুল সংখ্যক সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যেদের অবস্থান দেখা গেছে। তাদের সঙ্গে রয়েছে সাঁজোয়া যানসহ (এপিসি) দাঙ্গা দমনের উপকরণ।
সেখানে কর্তব্যরত পুলিশের ডিপ্লোম্যাটিক সিকিউরিটি বিভাগের একজন কর্মকর্তা বলেন, তাদের সন্ধ্যা পর্যন্ত থাকতে বলা হয়েছে। এরপর বদলি ডিউটি আসবে। তাদের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা নিবিড় পর্যবেক্ষণ করছেন।
“কোনো কিছু ঘটামাত্র যেন আরো ফোর্স পাওয়া যায়, সেই ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে।”
সোমবার দুপুরের দিকে বিক্ষোভকারীরা আগরতলায় হাই কমিশন প্রাঙ্গণে ঢুকে হামলা চালায় এবং বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা নামিয়ে ফেলে। পরে ভারতীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেয়।
ঘটনার পর ঢাকার গুলশানে ভারতীয় হাই কমিশন ছাড়াও চট্টগ্রাম, রাজশাহী, সিলেট এবং খুলনার ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনে ব্যাপক নিরপত্তা নেওয়া হয়েছে বলে রাতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজি) বাহারুল আলম।
“হাই কমিশনগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য পুলিশের যে গার্ড থাকে, তার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি বাড়িয়েছি। চট্টগ্রামে অন্তত থেকে ৮ গুণ বাড়ানো হয়েছে।”
পুলিশের গুলশান বিভাগের উপ কমিশনার তারেক মাহমুদ বলেন, “নিয়মিত নিরাপত্তার বাইরে আর যা যা প্রয়োজন সবটাই নেওয়া হয়েছে। দূতাবাসের কর্মকর্তাদের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করা হচ্ছে।”