শুক্রবার ১৫ নভেম্বর ২০২৪, কার্তিক ৩০ ১৪৩১, ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ব্রেকিং

ভারতে বসে হাসিনার বক্তব্য-বিবৃতিতে অসন্তুষ্ট ঢাকা চট্টগ্রাম নিয়ে ভারতীয় মিডিয়ার মন্তব্যের প্রতিবাদ জানাবে সরকার পূর্ণাঙ্গ কমিটি পেল ঢাবি ছাত্রদল অনলাইনে আয়কর প্রদানে চার্জ হ্রাস করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক শ্রম খাত সংস্কারের অঙ্গীকার প্রধান উপদেষ্টার আমন এলে চালের দাম কমবে: খাদ্য উপদেষ্টা কুইক রেন্টাল : দায়মুক্তির বিধান অবৈধ আজারবাইজানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ যতটা সম্ভব কম হওয়া উচিত: ড. ইউনূস সাবেক এমপি সোলায়মান সেলিম গ্রেপ্তার ইমরানের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভে উত্তাল পাকিস্তান হোয়াইট হাউসে বাইডেন-ট্রাম্প বৈঠক

জাতীয়

কুইক রেন্টাল : দায়মুক্তির বিধান অবৈধ

 প্রকাশিত: ১৫:১৩, ১৪ নভেম্বর ২০২৪

কুইক রেন্টাল : দায়মুক্তির বিধান অবৈধ

‘কুইক রেন্টাল’ আইন নামে পরিচিতি বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি আইনের দায়মুক্তি সংক্রান্ত বিধান অবৈধ ঘোষণা করে রায় দিয়েছে হাইকোর্ট।

বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ আজ এ রায় দেয়।

এই আইনের অধীনে করা কাজ নিয়ে কোনো আদালতে প্রশ্ন তোলা যাবে না এবং চুক্তি করার বিষয়ে মন্ত্রীর একক সিদ্ধান্ত নেয়া প্রশ্নে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে বায় ঘোষণা করা হয়।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইনটি ২০১০ সালের ১২ অক্টোবর প্রণয়ন করা হয়। আইনের ‘পরিকল্পনা বা প্রস্তাবের প্রচার’-সংক্রান্ত ৬(২) ধারা ও ‘আদালত ইত্যাদির এখতিয়ার রহিত করা’-সংক্রান্ত ৯ ধারার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শাহদীন মালিক ও মো. তায়্যিব-উল-ইসলাম গত আগস্টে হাইকোর্টে রিটটি করেন। সে রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত ২ সেপ্টেম্বর রুল জারি করেন হাইকোর্ট। রুলে সংবিধানের নির্দেশনার সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়ায় ওই আইনের ৬(২) এবং ৯ ধারা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। আজ ওই রুল যথাযথ ঘোষণা করে রায় দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে আইনজীবী ড. শাহদীন মালিক শুনানি করেন, তার সঙ্গে ছিলেন মো. তায়্যিব-উল-ইসলাম। আর রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি এটর্নি জেনারেল মো. মনজুর আলম শুনানি করেন।

গত ৭ নভেম্বর রিটটির শুনানি শেষে আজ রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য ছিল। আইনটির ৬ (২) ও ৯ ধারা বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ড. শাহদীন মালিক ও আইনজীবী তাইয়্যেবুল ইসলাম সৌরভ। আইনটি সংবিধানের ৭, ২১, ২৬, ২৭, ৩১, ৪২, ৪৪, ৪৬, ১৪৩ ও ১৪৫ এর লঙ্ঘন বলে রিটে উল্লেখ করা হয়।

আইনজীবী শাহদীন মালিক বলেন, আইনটির অধীনে কর্ম নিয়ে কোনো আদালতে প্রশ্ন তোলা যাবে না। আদালতের এখতিয়ার রদ করতে পারে এমন কোনো আইন হতে পারে না। এটা চ্যালেঞ্জ করা হয়। আদালত রুল দিয়েছিলেন। আজ সে রুল যথাযথ ঘোষণা করে রায় দেয় উচ্চ আদালত।

আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ড্রাফটিং বিভাগের সচিব, অর্থ বিভাগের সচিব, বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ সচিব, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান ও বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যানকে রিটে রেসপনডেন্ট (বিবাদী) করা হয়।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১০ এর ‘আদালত, ইত্যাদির এখতিয়ার রহিতকরণ’ সংক্রান্ত ৯ ধারায় বলা হয়েছে, এ আইনের অধীন কৃত, বা কৃত বলিয়া বিবেচিত কোনো কার্য, গৃহীত কোনো ব্যবস্থা, প্রদত্ত কোনো আদেশ বা নির্দেশের বৈধতা সম্পর্কে কোনো আদালতের কাছে প্রশ্ন উত্থাপন করা যাইবে না।

৬ (২) ধারার বলা হয়েছে, উপ-ধারা (১) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত মন্ত্রীর সম্মতি গ্রহণক্রমে যেকোনো ক্রয়, বিনিয়োগ পরিকল্পনা বা প্রস্তাব ধারা ৫ এ বর্ণিত প্রক্রিয়াকরণ কমিটি সীমিত সংখ্যক অথবা একক কোনো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ ও দরকষাকষির মাধ্যমে ওই কাজের জন্য মনোনীত করে ধারা ৭ এ বর্ণিত পদ্ধতি অনুসরণে অর্থনৈতিক বিষয় বা সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে পাঠানোর পদক্ষেপ গ্রহণ করিবে।