লক্ষ্মীপুরে ছুরিকাঘাতে স্বর্ণ ব্যবসায়ী নিহত
লক্ষ্মীপুরে বাইসাইকেলের গতিরোধ করে এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে মোটরসাইকেলে আসা দুর্বৃত্তরা।
শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে সদর উপজেলার উত্তর হামছাদী ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের তেতুল গাছ তলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাসান মোস্তফা স্বপন।
নিহত হিরা লাল দেবনাথ (৫৫) হামছাদী এলাকার গোবিন্দ ডাক্তার বাড়ির মৃত প্রফুল্ল দেবনাথের ছেলে ও কাজিরদিঘীর পাড় এলাকার মাতৃ জুয়েলার্সের স্বত্ত্বাধিকারী।
নিহতের ছেলে প্রিতম দেবনাথ বলেন, “রাতে দোকান বন্ধ করে বাবা বাইসাইকেল নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। আমি বাবার সামনেই মোটরসাইকেলে ছিলাম। এর মধ্যে একটি মোটরসাইকেলে তিনজন লোক দ্রুত গতিতে আমাদের আগে গিয়ে সামনে বাড়ির কাছাকাছি রাস্তার পাশে দাঁড়ায়।
“ঘটনাটি স্বাভাবিক ভেবে আমি বাড়ির রাস্তায় চলে যাই। তখন বাবা পেছন থেকে আসছিল। এক পর্যায়ে বাবার সাইকেলের গতিরোধ করে একজন লোক ছুরি দিয়ে কয়েকটি আঘাত করে। পরে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।”
তিনি আরও বলেন, দ্রুত তার বাবাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
হাসপাতালের চিকিৎসক কমলা শীষ রায় বলেন, “স্বর্ণ ব্যবসায়ী হীরাকে হাসপাতালের আনার আগেই তিনি মারা গেছেন। তার শরীরে দুটি অংশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।”
খবর পেয়ে লক্ষ্মীপুরে দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনাবাহিনীর মেজর জিয়া উদ্দিন আহমেদ, জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি শংকর মজুমদার, বাংলাদেশ যুব ঐক্য পরিষদের সভাপতি শিমুল সাহা হাসপাতালে এসে নিহতের স্বজনসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেন।
শংকর মজুমদার বলেন, “দ্রুত সময়ের মধ্যে হত্যাকারীদেরকে চিহ্নিত করতে প্রশাসনের জোরালো হস্তক্ষেপ কামনা করছি। এ ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।”
বাংলাদেশ জুয়েলার্স এসোসিয়েশনের (বাজুস) লক্ষ্মীপুর জেলা শাখার সভাপতি সমীর কর্মকার বলেন, “আমাদের এক সদস্যকে হত্যা করা হয়েছে। আমাদের প্রতিনিধি দল হাসপাতালে গেছেন। এ ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।”
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাসান মোস্তফা স্বপন জানান, “ঘটনাটি ছিনতাই না কি পরিকল্পিত হত্যা বিষয়টি পুলিশ তদন্ত করছে। দ্রুত দোষীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে।”