রোববার ২৭ অক্টোবর ২০২৪, কার্তিক ১১ ১৪৩১, ২৩ রবিউস সানি ১৪৪৬

ব্রেকিং

বাফুফের নতুন সভাপতি তাবিথ আউয়াল ছাত্র আন্দোলনে আহতদের ৮৬৭ জন সিএমএইচসমূহে চিকিৎসাধীন ‘অপরাধী’ ব্যবসায়ীর বিচার হবে, চলবে প্রতিষ্ঠান: আসিফ মাহমুদ নরসিংদীতে ট্রাক চাপায় অটোরিকশার ৬ যাত্রী নিহত প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সেনাপ্রধানের সাক্ষাৎ ইরানের সামরিক স্থাপনায় ইসরাইলের হামলা ইরানের ওপর ইসরায়েলের হামলা ‘আত্মরক্ষার মহড়া’: যুক্তরাষ্ট্র ইরানে হামলার পর নেতানিয়াহুর নিরাপত্তা মূল্যায়ন বৈঠক গাজা থেকে ফিরে ট্রমার সঙ্গে যুদ্ধ, আত্মাহুতি দিচ্ছেন ইসরায়েলি সেনারা নারায়ণগঞ্জে গ্যাসের আগুনে নারী-শিশুসহ পরিবারের ৬ জন দগ্ধ হাসনাত আব্দুল্লাহর ছেলে মঈন আব্দুল্লাহ গ্রেফতার

জাতীয়

`দানা` পরিণত প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে, যাচ্ছে ওড়িশার দিকে

 প্রকাশিত: ১১:০০, ২৪ অক্টোবর ২০২৪

`দানা` পরিণত প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে, যাচ্ছে ওড়িশার দিকে

পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় দানা আরো ঘনীভূত হয়ে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে; ঘণ্টায় ১১০ কিলোমিটার গতির বাতাসের শক্তি নিয়ে এ ঘূর্ণিবায়ুর চক্র এগিয়ে যাচ্ছে ভারতের ওড়িশা উপকূলের দিকে।

আবহাওয়া অফিস বলছে, এ ঝড়ের ধাক্কা বাংলাদেশে সেভাবে লাগবে না, তবে উপকূলীয় এলাকাসহ সারা দেশেই বৃষ্টি ঝরাবে দানা।

বুধবার রাত ৩টার দিকে দানা প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নেয়। বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় এ ঝড় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ৪৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থান করছিল।

সে সময় প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ঘন্টায় ১১০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছিল।

ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছাকাছি এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল থাকায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

প্রবল ঘূর্ণিঝড় দানা আরও উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। ভারতের আবহাওয়া অফিস বলছে, বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে শুক্রবার সকালের মধ্যে এ ঝড় ভারতের পুরি ও সাগর দ্বীপের মাঝামাঝি এলাকায় ভিতরকণিকা ও ধামারার কাছ দিয়ে এ ঝড় উত্তর ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গ উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

জয়েন্ট টাইফুন ওয়ার্নিং সেন্টার ঘূর্ণিঝড়ের যে সম্ভাব্য গতিপথ দেখিয়েছে, সেখানেও একই সময়ে একই এলাকা দিয়ে দানার উপকূলে উঠে আসার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।

দানা উপকূল অতিক্রম করার সময় বাতাসের গতি থাকতে পারে ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১১০ কিলোমিটার, যা দমকা বা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে।

ঘূর্ণিঝড়টির গতিপথ ভারতের ওড়িশার দিকে হওয়ায় বড় ধরনের বিপদের শঙ্কা কেটেছে বাংলাদেশের।

আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "এর প্রভাবে উপকূলীয় জেলায় ভারি বৃষ্টি হবে। এছাড়া সারাদেশেই দমকা হওয়াসহ থেমে থেমে বৃষ্টি হবে, বাংলাদেশে এর বেশি তেমন কিছু হবে না। কাল থেকে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কমে আসবে।”

আবহাওয়ার বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে, প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রবর্তী অংশের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং দ্বীপ ও চরগুলোর ওপর দিয়ে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ ভারি (৪৪-৮৮ মিলিমিটার) থেকে অতি ভারি (৮৯ মিলিমিটারের বেশি) বর্ষণ হতে পারে।

গত সোমবার আন্দামান সাগর ও সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টির পর তা ধাপে ধাপে শক্তিশালী হয়ে বুধবার সকালে ঘূর্ণিঝড়ের রূপ পায়।

তখন সাইক্লোন সংক্রান্ত আঞ্চলিক সংস্থা এসকাপের তালিকা অনুযায়ী এ অঞ্চলের ঘূর্ণিঝড়ের নাম দেওয়া হয় 'দানা'। এটা কাতারের দেওয়া নাম, যার অর্থ অতি সুন্দর ও মূল্যবান মুক্তা।

সবশেষ গত ২৬ মে ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ বাংলাদেশ উপকূল ও পশ্চিমবঙ্গে আঘাত হানে। ওই ঝড়ের তাণ্ডবে বাংলাদেশ ও ভারতে মোট ৭৬ জনের মৃত্যু হয়।