সাগরে নিম্নচাপ, বন্দরে সতর্ক সংকেত
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার পর দেশের চার সুমদ্রবন্দরকে এক নম্বর দূরবর্তী সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
নিম্নচাপটি শক্তি বাড়িয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে বলে আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
আবহাওয়ার বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়, পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগর এবং সংলগ্ন উত্তর আন্দামান সাগর এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি ঘণীভূত হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার পর মঙ্গলবার সকাল ৬টায় একই এলাকায় অবস্থান করছিল।
সে সময় নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ঘন্টায় ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছিল।
নিম্নচাপ কেন্দ্রের কাছাকাছি এলাকায় সাগর উত্তাল থাকায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি সাবধানে চলাচল করতে বলেছে আবহাওয়া অফিস।
আবহাওয়া অফিস বলছে, নিম্নচাপটি আরও পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে এবং ঘণীভূত হয়ে গভীর নিম্নচাপ দশা পেরিয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে।
ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিলে এর নাম হতে পারে ‘দানা’। নামটি প্রস্তাব করেছে কাতার। আরবিতে এর অর্থ অতি সুন্দর ও মূল্যবান মুক্তা।
আরব সাগর ও বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের নাম দেয় বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার সাইক্লোন সংক্রান্ত আঞ্চলিক সংস্থা এসকাপ। এ অঞ্চলের ১৩টি দেশের দেওয়া নামের তালিকা থেকে পর্যায়ক্রমে নতুন ঘূর্ণিঝড়ের নাম ঠিক করা হয়।
ভারতের আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস বলছে, নিম্নচাপটি মঙ্গলবারই গভীর নিম্নচাপে এবং বুধবার ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে।
এরপর আরও শক্তিশালী হয়ে তা প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিতে পারে এবং বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় দুপুরের দিকে ভারতের পুরি ও সাগর দ্বীপের মাঝামাঝি এলাকা দিয়ে উত্তর ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গ উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
বাংলাদেশের আবহাওয়া অফিস বলছে, মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা এবং সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
এই সময়ে সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।
মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় কক্সবাজার ও কক্সবাজারের টেকনাফে ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়া দেশের অন্য কোথাও বৃষ্টি হয়নি।
সবশেষ গত ২৬ মে ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ বাংলাদেশ উপকূল ও পশ্চিমবঙ্গে আঘাত হানে। ওই ঝড়ের তাণ্ডবে বাংলাদেশ ও ভারতে মোট ৭৬ জনের মৃত্যু হয়।