শুক্রবার ১১ অক্টোবর ২০২৪, আশ্বিন ২৫ ১৪৩১, ০৭ রবিউস সানি ১৪৪৬

ব্রেকিং

ধর্মীয় কারণে অত্যাচার-নির্যাতন হলে বিচারের মুখোমুখি করা হবে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ডেঙ্গু: এ বছর ৪০ হাজার ছাড়াল ভর্তি রোগী, মৃত্যু ১৯৯ রোববারের মধ্যে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ না করলে দুর্বার আন্দোলনের আহ্বান আতঙ্কে লেবানন প্রবাসীরা, ফিরতে চান দেশে জামিনের পর হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরলেন সাবেক মন্ত্রী মান্নান মিয়ানমারের নৌ-বাহিনীর গুলিতে বাংলাদেশি জেলে নিহতের খবর সাহিত্যে নোবেল পেলেন দক্ষিণ কোরিয়ার হ্যান কাং ইউনূসের ‘রিসেট বাটন’ নিয়ে ব্যাখ্যা দিলেন প্রেস সচিব ৩৬৫ দিনই নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব আমাদের: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা শেরপুরের বন্যা: কৃষি খাতেই ক্ষতি ৫০০ কোটি টাকা

জাতীয়

মিয়ানমারের নৌ-বাহিনীর গুলিতে বাংলাদেশি জেলে নিহতের খবর

 প্রকাশিত: ১৮:২০, ১০ অক্টোবর ২০২৪

মিয়ানমারের নৌ-বাহিনীর গুলিতে বাংলাদেশি জেলে নিহতের খবর

বঙ্গোপসাগরের সেন্টমার্টিন দ্বীপের অদূরে বাংলাদেশি ফিশিং ট্রলারে মিয়ানমারের নৌ-বাহিনীর গুলিবর্ষণে এক জেলের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন আরও দুই জেলে।

এ ঘটনায় অন্তত ৬০ মাঝি-মাল্লাসহ ছয়টি ফিশিং ট্রলার অপহরণ করে মিয়ানমারের নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলেও দাবি করেছেন ট্রলার মালিকেরা। তার মধ্যে নিহত-আহত জেলেসহ একটি ট্রলার ফেরত এসছে।

ট্রলার মালিকেরা জানিয়েছেন, বুধবার দুপুরে সেন্টমার্টিন দ্বীপের দক্ষিণ পশ্চিমের মৌলভীর শিল নামের বঙ্গোপসাগরের মোহনায় মিয়ানমারের নৌ-বাহিনী এই গুলি চালিয়েছে।

এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন মো. ওসমান। তিনি শাহপরীর দ্বীপের কোনারপাড়া এলাকার বাচু মিয়ার ছেলে ও শাহপরীর দ্বীপের বাজারপাড়া এলাকার সাইফুল কোম্পানির মালিকাধীন ট্রলারের জেলে।

আহত জেলেরাও একই ট্রলারের। তবে তাদের নাম ঠিকানা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

ট্রলার মালিক সাইফুল জানিয়েছেন, সাগরে মাছ ধরার সময় হঠাৎ করে মিয়ানমারের নৌ-বাহিনীর সদস্যরা ধাওয়া করে গুলি বর্ষণ করে। এরপর পাঁচটি ট্রলারসহ মাঝি-মাল্লাদের ধরে নিয়ে মিয়ানমারে নিয়ে যায়।

যেখানে তার মালিকাধীন ট্রলারে গুলিবিদ্ধদের মধ্যে একজন মারা যায়। বৃহস্পতিবার মিয়ানমারের নৌ-বাহিনী ট্রলারটি ছেড়ে দিলে নিহত এবং আহত জেলেদের নিয়ে দুপুরে ট্রলারটি শাহপরীর দ্বীপের এসে পৌঁছেছে।

ধরে নিয়ে যাওয়া অপর পাঁচ ট্রলারের মালিক হলেন, শাহপরীর দ্বীপের মিস্ত্রীপাড়ার মুসলিম মিয়ার ছেলে মতিউর রহমান (দুইটি ট্রলারের), মৃত আলী হোছনের ছেলে আবদুল্লাহ, তার ভাই আতা উল্লাহ, উত্তরপাড়ার ছৈয়দ মাঝির ছেলে মো. আছেম।

এই ট্রলারগুলোয় ৫৫-৬০ জন মাঝি-মাল্লা রয়েছে।

ট্রলার মালিক মতিউর রহমান জানান, ধরে নিয়ে যাওয়া ট্রলার ও মাঝি-মাল্লাদের সাথে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কোস্ট গার্ডের সঙ্গে আলাপ করার পরামর্শ দেন বিজিবির টেকনাফস্থ ২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী জানান, বুধবার দুপুর আড়াইটায় সেন্টমার্টিন দ্বীপ ও মিয়ানমার মধ্যবর্তী বঙ্গোপসাগরের বাংলাদেশ অংশে মাছ ধরার নৌকায় মিয়ানমারের নৌবাহিনী গুলি করে। এতে একজন নিহত হয়েছেন এবং দুজন আহত হয়েছে।

ঘটনার বিষয়ে বৃহস্পতিবার সকালে জেলেদের পরিবারের সদস্যরা জানান। পরে মিয়ানমার নৌবাহিনী বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের কাছে্টএকটি ট্রলারসহ জেলেদের হস্তান্তর করে। বৃহস্পতিবার আড়াইটার দিকে নিহত জেলের মরদেহ ও ১১ জন জেলে নিয়ে ট্রলারটি শাহপরীরদ্বীপ জেটিতে ফিরেছে।

সর্বশেষ তথ্য মতে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ অন্যান্য ৫টি ট্রলারসহ ৬০ জেলেকে আটকে রেখেছে। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে বলে জানান ইউএনও।

কোস্ট গার্ডের শাহপরীর দ্বীপের দায়িত্বরত কর্মকর্তা (নাম প্রকাশ না করে) বলেছেন, গুলিবিদ্ধ হয়ে একজন মারা গেছেন। নিহত ও গুলিতে আহতদের নিয়ে ট্রলারটি ঘাটে এসেছে। সেখানে ১১ জন জেলে আছে।

একই সঙ্গে অপর পাঁচটি ট্রলারও ছেড়ে দিয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে। বিস্তারিত পরে জানা যাবে বলে জানান কোস্ট গার্ডের এ কর্মকর্তা।