শুক্রবার ১১ অক্টোবর ২০২৪, আশ্বিন ২৫ ১৪৩১, ০৭ রবিউস সানি ১৪৪৬

ব্রেকিং

ধর্মীয় কারণে অত্যাচার-নির্যাতন হলে বিচারের মুখোমুখি করা হবে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ডেঙ্গু: এ বছর ৪০ হাজার ছাড়াল ভর্তি রোগী, মৃত্যু ১৯৯ রোববারের মধ্যে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ না করলে দুর্বার আন্দোলনের আহ্বান আতঙ্কে লেবানন প্রবাসীরা, ফিরতে চান দেশে জামিনের পর হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরলেন সাবেক মন্ত্রী মান্নান মিয়ানমারের নৌ-বাহিনীর গুলিতে বাংলাদেশি জেলে নিহতের খবর সাহিত্যে নোবেল পেলেন দক্ষিণ কোরিয়ার হ্যান কাং ইউনূসের ‘রিসেট বাটন’ নিয়ে ব্যাখ্যা দিলেন প্রেস সচিব ৩৬৫ দিনই নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব আমাদের: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা শেরপুরের বন্যা: কৃষি খাতেই ক্ষতি ৫০০ কোটি টাকা

জাতীয়

ইউনূসের ‘রিসেট বাটন’ নিয়ে ব্যাখ্যা দিলেন প্রেস সচিব

 আপডেট: ১৯:১৯, ১০ অক্টোবর ২০২৪

ইউনূসের ‘রিসেট বাটন’ নিয়ে ব্যাখ্যা দিলেন প্রেস সচিব

প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের বক্তব্য ব্যবহৃত যে ‘রিসেট বাটন’ শব্দবন্ধ নিয়ে তুমুল আলোচনা হচ্ছে, সেই শব্দের একটি ব্যাখ্যা দিয়েছেন তার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

তার ভাষ্য, ‘তরুণরা রিসেট বাটন চেপেছে’ বলে প্রধান উপদেষ্টা ‘নতুনভাবে শুরু করার’ কথা বুঝিয়েছেন, দেশের ‘ইতিহাসকে মুছে ফেলার’ কথা বোঝাননি।

জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগ দিতে নিউ ইয়র্কে গিয়ে সেপ্টেম্বরের শেষে ভয়েস অব আমেরিকাকে একটি সাক্ষাৎকার দেন মুহাম্মদ ইউনূস। সেখানেই রিটেস বাটনের প্রসঙ্গ আছে।

এক প্রশ্নের জবাবে ইউনূস বলেন, “প্রথম স্বীকার করতে হবে যে ছাত্ররা বলেছে, আমরা ‘রিসেট বাটন’ পুশ করেছি; এভ্রিথিং ইজ গন; অতীত নিশ্চিতভাবে চলে গেছে। এখন নতুন ভঙ্গিতে আমরা গড়ে তুলবো। দেশের মানুষও তা চায়। সেই নতুন ভঙ্গিতে গড়ে তোলার জন্য আমাদের সংস্কার করতে হবে।”

সেই ‘রিসেট বাটন’ শব্দবন্ধটি নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে তুমুল আলোচনা। ইউনূস বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস মুছে ফেলতে বা বদলে দিতে চাইছেন কি না, সেই প্রশ্ন তুলে আওয়ামী লীগ সমর্থকরা তার পদত্যাগের দাবি তুলছেন।

বিষয়টি নিয়ে বৃহস্পতিবার একটি লিখিত ব্যাখ্যা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

সেখানে বলা হয়েছে, “প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস যখন রিসেট বাটন চাপার কথা বলেছেন, তিনি বোঝাতে চেয়েছেন দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনীতি থেকে নতুনভাবে শুরু করার কথা, যা বাংলাদেশের সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করেছে, অর্থনীতিকে ধ্বংসের দুয়ারে ঠেলে দিয়েছে এবং কোটি কোটি মানুষের ভোটের অধিকার ও নাগরিক স্বাধীনতা হরণ করেছে। বাংলাদেশের গৌরবের ইতিহাসকে মুছে ফেলার কথা তিনি বোঝাননি।

“যখন আপনি রিসেট বাটন চাপবেন, তখন সফটওয়্যার আবার নতুন করে চালু হয়। সেটা হার্ডওয়্যারের কোনো পরিবর্তন করে না। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের হার্ডওয়্যার তৈরি হয়েছিল। ভয়েস অব আমেরিকাকে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকার নিয়ে কিছু মানুষ ভুল ব্যাখ্যা করছে।”

প্রেস সচিবের বিবৃতিতে বলা হয়, “অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নিতে গত ৮ অগাস্ট ঢাকায় পৌঁছানোর পর মুহাম্মদ ইউনূস শাহজালাল বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ছাত্রদের নেতৃত্বে জুলাই-অগাস্টের গণঅভ্যুত্থান ছিল আমাদের দ্বিতীয় স্বাধীনতা। প্রথম স্বাধীনতা এসেছিল ১৯৭১ সালে গৌরবময় স্বাধীনতা যুদ্ধের মধ্য দিয়ে।”

১৯৭১ সলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ড. ইউনূসের ভূমিকাও তুলে ধরা হয়েছে তার প্রেস সচিবের বিবৃতিতে।

সেখানে বলা হয়, “অধ্যাপক ইউনূস (তখন) যুক্তরাষ্ট্রের মিডল টেনেসি স্টেট ইউনিভার্সিটির সহকারী অধ্যাপক ছিলেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণার পরপরই তিনি সেখানে ‘বাংলাদেশ নাগরিক কমিটি’ গঠন করেন এবং যুক্তরাষ্ট্র সরকার যাতে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিতে রাজি হয়, সেজন্য যুক্তরাষ্ট্রব্যাপী প্রচার চালান।

“তিনি বাংলাদেশে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর চালানো গণহত্যা সম্পর্কে বিশ্বকে অবহিত করার জন্য বাংলাদেশ নিউজলেটারও প্রকাশ করেন।”