বুধবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, আশ্বিন ৩ ১৪৩১, ১৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

ব্রেকিং

ফ্যাসিবাদে জড়িত কবি-সাহিত্যিকদের বিচারের আওতায় আনা হবে : নাহিদ ক্রমান্বয়ে স্বৈরাচারের নিত্য নতুন অপকর্মের তথ্য ফাঁস হচ্ছে: ফখরুল সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান হলেন আলী রীয়াজ আগামীর বাংলাদেশ হবে বৈষম্যহীন : সারজিস আলম চট্টগ্রাম, জগন্নাথ, শাহজালালসহ ৬ বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন উপাচার্য রকিব, হুদা ও আউয়াল কমিশনের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা ‘সংস্কারে’ আনসার হবে দক্ষ, পেশাদার: উপদেষ্টা ১০০০ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ,বেক্সিমকো গ্রুপের বিরুদ্ধে ১৭ মামলা চলে গেছে ভারতীয় ঠিকাদার, আখাউড়ায় আটকে সড়ক-রেল প্রকল্প বগুড়ায় হাসিনা-রেহানা-জয়সহ ১০৪ জনের নামে আরেকটি হত্যা মামলা ব্যাপকভাবে বেসামরিকদের ‘হত্যা, গ্রেপ্তার করছে’ মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী

জাতীয়

নদীর পানি বাড়ার আভাস, তলিয়ে যেতে পারে ৮ জেলার নিম্নাঞ্চল

 প্রকাশিত: ১৯:১২, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

নদীর পানি বাড়ার আভাস, তলিয়ে যেতে পারে ৮ জেলার নিম্নাঞ্চল

ভারি বৃষ্টির কারণে চট্টগ্রাম, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের নদীর পানি বাড়তে পারে বলে আভাস দিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।

আবহাওয়া সংস্থাগুলোর বরাত দিয়ে শনিবার কেন্দ্রের নিয়মিত বুলেটিনে বলা হয়েছে, উজানে ভারি বৃষ্টির কারণে আগামী ২৪ ঘণ্টা চট্টগ্রাম বিভাগের নদীর পানি দ্রুত বাড়তে পারে।

এতে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর জেলার কিছু নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে।

আর ঢাকা, বরিশাল ও খুলনা বিভাগের নদীর পানি স্থিতিশীল থাকলেও ভারি বৃষ্টির কারণে আগামী দুই দিন এই তিন বিভাগের নদীর পানি বাড়তে পারে।

শনিবার সকালে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর স্থল নিম্নচাপে পরিণত হয়ে বর্তমানে যশোর ও এর আশেপাশের এলাকায় অবস্থান করছে। এর প্রভাবে দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি ঝরছে। তবে রোববার থেকে বৃষ্টি কমে আসবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

বৃষ্টি ঝরাচ্ছে গভীর স্থল নিম্নচাপরোববার থেকে কমার আভাস

বাংলাদেশের উজানে পাহাড়ি ঢল আর অতি ভারি বৃষ্টির কারণে গত ২০ অগাস্ট থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে ভয়াবহ বন্যা দেখা দেয়। দ্রুতই তা ছড়িয়ে যায় ফেনী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সিলেট, লক্ষ্মীপুর ও কক্সবাজারে।

বুলেটিনে বলা হয়, চট্টগ্রাম বিভাগের মুহরী, ফেনী ও মাতামুহুরী নদীর পানি কমলেও; গোমতী নদীর পানি স্থিতিশীল আছে। অন্যদিকে হালদা ও সাঙ্গু নদীর পানি বাড়ছে।

তবে দেশের সব প্রধান নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

পূর্বাভাস কেন্দ্রের বুলেটিনে বলা হয়, ব্রহ্মপুত্র নদীর পানি স্থিতিশীল; অন্যদিকে যমুনা নদীর পানি কমছে। আগামী ৫ দিন ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদীর পানি ধীর গতিতে কমতে পারে এবং বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।

গঙ্গা নদীর পানিও স্থিতিশীল আছে, তবে পানি কমছেপদ্মা নদীর। আগামী ৩ দিন গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানি স্থিতিশীল থাকতে পারে এবং পরবর্তী ২ দিন পানি কমে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।

পূর্বাভাস কেন্দ্র বলছে, রংপুর বিভাগের তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানি স্থিতিশীল আছে। আগামী ৩ দিন এসব নদীর পানি ধীর গতিতে কমে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।

আর সিলেট বিভাগের সুরমা ও কুশিয়ারা, মনু, সারিগোয়াইন, ধলাই নদীর পানি কমছে। তবে খোয়াই নদীর পানি স্থিতিশীল আছে। আগামী ৩ এসব নদীর পানি কমতে পারে এবং বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে, বলা হয় বুলেটিনে ।