বুধবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, আশ্বিন ৩ ১৪৩১, ১৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

ব্রেকিং

ফ্যাসিবাদে জড়িত কবি-সাহিত্যিকদের বিচারের আওতায় আনা হবে : নাহিদ ক্রমান্বয়ে স্বৈরাচারের নিত্য নতুন অপকর্মের তথ্য ফাঁস হচ্ছে: ফখরুল সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান হলেন আলী রীয়াজ আগামীর বাংলাদেশ হবে বৈষম্যহীন : সারজিস আলম চট্টগ্রাম, জগন্নাথ, শাহজালালসহ ৬ বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন উপাচার্য রকিব, হুদা ও আউয়াল কমিশনের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা ‘সংস্কারে’ আনসার হবে দক্ষ, পেশাদার: উপদেষ্টা ১০০০ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ,বেক্সিমকো গ্রুপের বিরুদ্ধে ১৭ মামলা চলে গেছে ভারতীয় ঠিকাদার, আখাউড়ায় আটকে সড়ক-রেল প্রকল্প বগুড়ায় হাসিনা-রেহানা-জয়সহ ১০৪ জনের নামে আরেকটি হত্যা মামলা ব্যাপকভাবে বেসামরিকদের ‘হত্যা, গ্রেপ্তার করছে’ মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী

জাতীয়

আছাদুজ্জামান মিয়া ৭ দিনের রিমান্ডে

 প্রকাশিত: ১৯:২৪, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

আছাদুজ্জামান মিয়া ৭ দিনের রিমান্ডে

ছাত্রদল নেতা নুরুজ্জামান জনিকে ‘ক্রসফায়ারের নামে হত্যার’ মামলায় ডিএমপির সাবেক কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের হেফাজতে পেয়েছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার শুনানি শেষে এ আদেশ দেন ঢাকা মহানগর হাকিম সাইফুল ইসলাম।

এদিন আসামিকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা খিলগাঁও থানার এসআই মুহাম্মদ গোলাপ উদ্দিন। আর রিমান্ড আবেদনের বিরোধিতা করে আসামির জামিন চেয়ে শুনানি করেন আইনজীবী মোরশেদ হোসেন শাহীন।

রিমান্ড শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষকে সহযোগিতা করার জন্য অংশ নেন আইনজীবী ওমর ফারুক ফারুকী।

তিনি বলেন, “বাংলাদেশ পুলিশকে জনগণের শত্রু হিসেবে দাঁড় করানোর হোতা এই আছাদুজ্জামান। এরা শেখ হাসিনাকে স্বৈরাচারী হয়ে ওঠার পেছনে ইন্ধনদাতা ছিলেন। এরা একজন ব্যক্তিকে স্বৈরাচার হিসেবে দাঁড় করিয়ে নিজেদের উদ্ধার করেছেন।”

আইনজীবী ফারুকী বলেন, “সেদিন পুলিশ হেফাজতে ছাত্রদল নেতা নুরুজ্জামানকে বালুর মাঠের কাছে নিয়ে হত্যা করা হয়।”

উপস্থিত এক আইনজীবীকে দেখিয়ে বিচারকের উদ্দেশে তিনি বলেন, “এই আসাদুজ্জামান মিয়া তার অধীনস্থ পুলিশ বাহিনীকে অনেক অত্যাচার করেছে। এই আইনজীবীর বাবা একজন পুলিশ কনস্টেবল ছিলেন। তাকে ঘুষ দেয়নি বিধায় চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। আপনার কাছে তার বাবার বিষয় তিনি বলবেন।”

ফারুকীর বক্তব্য শেষে ডায়াসে আসেন পুলিশ কনস্টেবলের ছেলে আইনজীবী জুবায়ের আল মাহমুদ।

তিনি আদালতকে বলেন, “আমার পিতা একজন পুলিশ কনস্টেবল ছিলেন। তাকে সব সময় হুমকি দেওয়া হত। তিনি (আছাদুজ্জামান) আমার বাবাকে শায়েস্তা করার জন্য বারবার খাগড়াছড়ি-বান্দরবান এলাকায় পোস্টিং করেছেন। তিনি এখানেই থেমে থাকেননি, আমার বাবার কাছ থেকে ২ লক্ষ টাকা ঘুষ নিয়েও তাকে সাসপেন্ড করে দেন। পরে তিনি সাসপেন্ড অবস্থায় থেকেই অবসর গ্রহণ করেন। আমি আদালতের কাছে বিচার চাই।”

রিমান্ড আবেদনের বিরোধিতা করে জামিন চেয়ে আসামির আইনজীবী মোরশেদ হোসেন শাহীন বলেন, “এই মামলার ঘটনাটি ২০১৫ সালের। আর মামলা করা হয়েছে ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে এসে। এতে মামলার বিষয়বস্তু সম্পর্কে সন্দেহ সৃষ্টি হয়। আমার মক্কেল নির্দোষ। আমি তার রিমান্ড বাতিল করে জামিনের আবেদন করছি।”

খিলগাঁও থানা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান জনির বাবা ইয়াকুব আলী গত ২ সেপ্টেম্বর খিলগাঁও থানায় মামলাটি দায়ের করেন। জনিকে ২০১৫ সালে পুলিশি হেফাজতে নিয়ে ‘ক্রসফায়ারের নামে হত্যা’ করা হয় বলে অভিযোগ করা হয়েছে এজাহারে।

ডিএমপির তৎকালীন পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়াসহ বর্তমান ও সাবেক ১৩ পুলিশ কর্মকর্তাকে এ মামলায় আসামি করা হয়েছে। মামলার ১২ নম্বর আসামি আছাদুজ্জামান মিয়াকে বুধবার রাতে ঢাকার মহাখালী থেকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।

আছাদুজ্জামান মিয়া ২০১৫ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ডিএমপি কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরে তাকে জাতীয় নিরাপত্তাসংক্রান্ত সেলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা পদে নিয়োগ দেয় সরকার। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে তার চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়।

গণ আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আছাদুজ্জামান মিয়ার অবৈধ সম্পদের বিষয়ে অনুসন্ধান শুরুর কথা জানায় দুর্নীতি দমন কমিশন।

দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আসাদুজ্জমান মিয়ার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে কমিশনে।”

এর আগে চলতি বছরের মে মাসে আছাদুজ্জামান মিয়ার বিপুল সম্পদের খবর প্রকাশ করে কয়েকটি সংবাদমাধ্যম।