ক্ষমতার পালাবদলে ফিরছে সেই দিগন্ত টিভি
হেফাজতকাণ্ডে বন্ধ হওয়ার ১১ বছর পর ফের সম্প্রচারে ফিরছে বেসরকারি টেলিভিশন দিগন্ত টেলিভিশন।
‘দাঙ্গা লাগানোর মত পরিস্থিতি সৃষ্টির’ অভিযোগে দিগন্ত মিডিয়া করপোরেশন লিমিটেডের (দিগন্ত টিভি) সম্প্রচারে যে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল, তা প্রত্যাহারের জন্য বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যানকে চিঠি দিয়েছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।
দিগন্ত টেলিভিশনের প্রধান বার্তা সম্পাদক জিয়াউল কবির সুমন বৃহস্পতিবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “তথ্য মন্ত্রণালয় আমাদের একটা চিঠি দিয়েছে যে আগের নির্দেশনাটি প্রত্যাহার করা হয়েছে। আমরা বিটিআরসিতে একটা আবেদন করব, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের একটা ফ্রিকোয়েন্সি পেলে আমরা সম্প্রচারে যাব।”
২০১৩ সালের ৫ মে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ব্যাপক সহিংসতার পরদিন বিদ্বেষ ও গুজব ছড়ানো এবং দায়িত্বজ্ঞানহীনতার অভিযোগে দিগন্ত টেলিভিশন ও ইসলামিক টিভির সম্প্রচার ‘সাময়িকভাবে’ বন্ধ করে দেওয়া হয়।
সে সময় দিগন্ত টিভির মালিক কোম্পানি দিগন্ত মিডিয়া কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নেতা মীর কাসেম আলী। দৈনিক নয়া দিগন্তও এ প্রতিষ্ঠানেরই একটি প্রকাশনা।
একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের দায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়ে ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে মীর কাসেমের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
নিষেধাজ্ঞা জারির সময় তৎকালীন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, "লাইসেন্সের শর্ত ভঙ্গ ও দাঙ্গা লাগানোর মত পরিস্থিতি সৃষ্টি করায়” টেলিভিশন দুটির সম্প্রচার সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
দিগন্ত ও ইসলামিক টিভি চ্যানেল বন্ধের বিষয়ে ৭ মে তথ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, “এটা একটা সাময়িক পদক্ষেপ। হেফাজতের কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ভয়াবহ সশস্ত্র তাণ্ডব এবং ভাংচুরের ঘটনার প্রেক্ষাপটে সাময়িক এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।”