রোববার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ভাদ্র ২৪ ১৪৩১, ০৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

শাটডাউন: রাজধানীসহ সারাদেশে ১১ জনের মৃত্যুর খবর

 প্রকাশিত: ১৯:৫৭, ১৮ জুলাই ২০২৪

শাটডাউন: রাজধানীসহ সারাদেশে ১১ জনের মৃত্যুর খবর

কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ‘শাটডাউন’ কর্মসূচি চলাকালে সংঘর্ষ ও সহিংসতায় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সাতজনের মৃত্যুর খবর এসেছে। আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন অনেকে।

বৃহস্পতিবার বিভিন্ন স্থানে সড়ক অবরোধকালে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষে এসব প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।

এদিন সকাল থেকে কোটাবিরোধীদের ’কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচিতে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভে নামেন আন্দোলনকারীরা। পুলিশ ও সরকারদলীয় সংগঠনের নেতাকর্মীরা তাদের প্রতিরোধে সড়কে অবস্থান নিলে সংঘর্ষ বাঁধে।

এসব সংহাতের মধ্যে উত্তরায় পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে চারজনের মৃত্যু হয়। তাদের লাশ উত্তরার কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালে আনা হয়েছে।

এছাড়া রাজধানীর মেরুল বাড্ডার সামনে সংঘর্ষে একজন কলেজ শিক্ষার্থী ও একজন গাড়ির চালক মারা গেছেন।

এর বাইরে ঢাকার সাভারে ‘গুলিতে’ এক শিক্ষার্থী এবং নরসিংদীতে এক স্কুলছাত্র নিহত হয়েছে।

আর মাদারীপুরে পুলিশের ধাওয়া খেয়ে লেকে ঝাঁপ দিয়ে নিখোঁজ দুই শিক্ষার্থীর মধ্যে একজনের লাশ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস।

এর আগে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে মঙ্গলবার সারা দেশে কোথাও কোথাও আন্দোলনকারী এবং সরকার দলীয় সংগঠন ও পুলিশের ত্রিমুখী সংঘর্ষের মধ্যে ছয়জন নিহত হন। সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ায় দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

বুধবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কোটা সংস্কারের বিষয়ে আদালতের রায়ের জন্য অপেক্ষা করার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, সহিংসতার জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।

পরে রাত পৌনে ৮টার দিকে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সংঘর্ষে খুনের দায়ে জড়িতদের বিচার ও সন্ত্রাসমুক্ত ক্যাম্পাসের দাবিতে বৃহস্পতিবার সারা দেশে ‘কমপ্লিট শাটডাউন' কর্মসূচি ঘোষণা আসে আন্দোলনকারীদের পক্ষে।

আন্দোলনকারীরা সকাল থেকে সেই কর্মসূচি পালন করতে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সড়ক ও রেল অবরোধ শুরু করে।

উত্তরায় মৃত্যু ৪

উত্তরায় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষের পর আহত চারজনকে কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালে আনা হয়।

এ হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. মিজানুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন “এখন পর্যন্ত ৪ জনের মরদেহ আমরা পেয়েছি। তাদের সবারই ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয়েছে।”

তিনি নিহতদের নাম, পরিচয় জানাতে পারেননি। তবে তিনি জানিয়েছেন তাদের একজনের বয়স ৪৫ বছর।

এদের মধ্যে একজন নর্দান ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক নাজমুল আহসান খান।

এদিন বেলা ১১টা থেকে উত্তরায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশ ও র‍্যাবের সংঘর্ষ হয়। এ সময় ঢাকা থেকে ময়মনসিংহ সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। আন্দোলনকারীরা হাউজ বিল্ডিং থেকে রাজলক্ষ্মী মোড় পর্যন্ত সড়কে আন্দোলনকারীরা নেয়। এ সময় তাদের ওপর সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করছে পুলিশ।

আহতদের অনেককে উত্তরা আধুনিক হাসপাতালে নেওয়া হয়। ওই হাসপাতালের উপপরিচালক হাফিজুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমাদের এখানে সকাল ১০টার পর থেকে শর্টগান ইনজুরিসহ নানা ধরনের ইনজুরি নিয়ে অনেকে এসেছেন। আহতের সংখ্যা দুইশর কম হবে না।”

এ বিষয়ে পুলিশের কোনো বক্তব্য জানতে পারেনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।

বাড্ডায় সংঘর্ষে মৃত্যু ২

কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীদের ‘শাটডাউন’ কর্মসূচির মধ্যে ঢাকার বাড্ডা এলাকায় পুলিশের সঙ্গে সংষর্ঘের সময় দুইজনের মৃত্যু হয়েছে; তাদের মধ্যে একজন কলেজ শিক্ষার্থী ও একজন গাড়িচালক।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, দুইজনই গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত কলেজ শিক্ষার্থী জিল্লুর শেখ ইম্পেরিয়াল কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র।

ইম্পেরিয়াল কলেজের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোর্শেদ আলম শিশির বলেন, তাদের কলেজের একাদশ শ্রেণির এক ছাত্র রামপুরায় মারা গেছে। তার নাম জিল্লুর শেখ।

তার সহপাঠীরা বলেন, বাড্ডায় ব্রাক ইউনিভার্সিটি এলাকায় পুলিশের সঙ্গে সংঘাতের সময় গুলি লেগে জিল্লুরের মৃত্যু হয়।

অপরদিকে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত গাড়ি চালকের নাম দুলাল মাতবর। পঞ্চাশোর্ধ ওই ব্যক্তি একটি মাইক্রোবাসের চালক।

এদিন সকালে মেরুল বাড্ডায় ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির সামনে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘের্ষের সময় রাস্তায় গুলিবিদ্ধ হলে তাকে রামপুরা বনশ্রীর ফরাজী হাসপাতালে নেওয়া হয়।

ফরাজী হাসপাতালের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মো. রুবেল হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে রুবেল বলেন, “দুলাল মাতবর নামে ওই ব্যক্তিকে মৃত অবস্থায় আনা হয়েছিল। তার বুকে গুলি লেগেছে।

“আমরা উনার নাম ঠিকানা লিখে রেখেছি। উনি সম্ভবত পথচারী ছিলেন। ঘটনা শুনে উনার ছেলেরা এসে লাশ নিয়ে গেছেন। দুলাল মাতবরের বাড়ি পটুয়াখালীতে।”

এ ঘটনায় আহত আরো অনেককে ফরাজী হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন রুবেল।

তিনি বলেন, “আমাদের এখানে আহত হয়ে অনেকেই আসছেন। এর মধ্যে স্টুডেন্ড আছে, পথচারী আছে। আমরা সবাইকে ট্রিটমেন্ট দিচ্ছি।”

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রশ্নের উত্তরে হাসপাতালের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার বলেন, ওই ব্যক্তিকে হাসপাতালে মৃত অবস্থায় নেওয়া হয়। সে কারণে তাকে ভর্তি নেওয়া হয়নি।

“আমাদের এটা প্রাইভেট হাসপাতাল। এখান থেকে ডেথ সার্টিফিকেট দেওয়ার নিয়ম নেই। আর ওই সময় এখানে এত মানুষ আসছিল, আমরা তাদের সেবা দিতেই ব্যস্ত ছিলাম। খবর পেয়ে উনার আত্মীয়স্বজন এসেছেন। তারা মরদেহ নিয়ে গেছেন।”

হাসপাতাল থেকে ফোন নম্বর নিয়ে দুলাল মাতবরের ছেলে সোহাগের মোবাইল নম্বরে ফোন করলে তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা ডেডবডি ফরাজি হাসপাতাল থেকে নিয়ে এসেছি। এখন আমরা বাড়ির দিকে যাচ্ছি।”

ধানমন্ডিতে কলেজ ছাত্রের মৃত্যু

কোটাবিরোধী আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর ধানমণ্ডির ২৭ নম্বর সড়কে এক কলেজ ছাত্র গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যাওয়ার খবর এসেছে।

ওই ছাত্রের নাম ফারহান ফাইয়াজ (১৭)। তিনি রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র।

রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজের অধ্যক্ষ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কাজী শামীম ফরহাদ বলেন, বিকালে কলেজ চত্বরে ফারহানের জানাজার পর তার বাবা লাশ নিয়ে গ্রামের বাড়ি নারায়ণগঞ্জে গেছেন। নিহত ফারহান একাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন।

”সে গুলিতে মারা গেছে এমন কথা কথা শোনা যাচ্ছে। আমরা বিষয়টি নিশ্চিত হতে পারিনি। তবে তার বুকে ক্ষতচিহ্ন রয়েছে।”

রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজের একজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা বলেন, ধানমণ্ডির ২৭ নম্বর এলাকায় বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিল ফারহান। বেলা ১১টার পর সেখানে সংঘাত শুরু হলে দুপুরের দিকে সেখানে গুলিবিদ্ধ হন। বিকালে আসরের পর কলেজ প্রাঙ্গণে তার জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় কলেজের সাবেক ছাত্র বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু অংশ নেন।

যাত্রাবাড়ীতে ’গুলিতে’ রিকশাচালকের মৃত্যু

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে মাথায় ’গুলি লেগে’ বিকালে অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।

আহত অবস্থায় আনুমানিক ৩০ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তাকে নিয়ে আসা ব্যক্তিরা বলেন, ওই ব্যক্তি রিকশাচালক। মাথায় গুলি লাগার পর তিনি তার রিকশার পাশে পড়ে ছিলেন। ওই ব্যক্তির বয়স আনুমানিক ৩০ বছর।

ঢাকা মেডিকেলে সন্ধ্যা ৬টার দিকে তাকে বয়ে নিয়ে আসেন রেজাউল ইসলাম অনিক ও সৌরভ নামে দুই ব্যক্তি। তারা জানান, বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে যাত্রাবাড়ীতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ চলছিল। সে সময়ে ওই রিকশাচালক আহত হয়ে রাস্তায় পড়ে যান। পাশেই তার রিকশাটা পড়ে ছিল। তাকে দেখে স্থানীয় হাসপাতাল হয়ে সন্ধ্যা ৬টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন তারা। চিকিৎসকরা তাকে পরীক্ষা করে মৃত ঘোষণা করেন।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মোঃ বাচ্চু মিয়া বলেন, ওই ব্যক্তির মৃতদেহ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে অবগত করা হয়েছে।

সাভারে ‘গুলিতে’ শিক্ষার্থী নিহত

সাভারে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের দফায় দফায় সংঘর্ষের সময় ‘গুলিতে’ এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার দুপুরে সাভার বাসস্ট্যান্ডের মুনসুর মার্টের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

আহত অবস্থায় ওই শিক্ষার্থীকে সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন বলে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ ইউসুফ সাংবাদিকদের জানান।

নিহত শিক্ষার্থীর নাম ইয়ামিন; তিনি সাভারের এমআইএসটির শিক্ষার্থী ছিলেন বলে জানা গেছে।

এদিকে সকাল থেকেই শিক্ষার্থীরা ঢাকা-আরিচা ও ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছে।

শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশ ও ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ চলছে।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কাঁদুনে গ্যাস, রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এতে অর্ধ শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।

এ অবস্থায় সাভারের বাজার এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়।

নরসিংদীতে শিক্ষার্থীর মৃত্যু

আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংঘর্ষের সময় নরসিংদী শহরে এক স্কুলছাত্র নিহত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে শহরের জেলখানা মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।

বিক্ষোভের সময় গুলিবিদ্ধ ওই শিক্ষার্থীকে নরসিংদী ১০০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে আনা হয়।

নিহত তাহমিদ ভুইয়া সামিন এমকেএন হাইস্কুল অ্যান্ড হোমের শিক্ষার্থী ছিলেন।

নরসিংদী জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. এএনএম মিজানুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বেলা চারটার দিকে তাহমিদ সামিনের মরদেহ নিয়ে আসা হয়।

“তার বয়স ১৫ বছর। তাহমিদ সামিন নামে ওই শিক্ষার্থী এনকেএম হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী। তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় মাল্টিপল পিলেট ইনজুরি ছিল। তাকে মৃত অবস্থায় আমাদের হাসপাতালে নিয়ে আসে অন্তত শ’দুয়েক মানুষ। তারাই আবার মরদেহ নিয়ে চলে গেছে।”

তাদের বাড়ি শহরের চিনিশপুর এলাকায় বাড়ি। তার বাবার নাম রফিকুল ইসলাম।

মাদারীপুরে লেক থেকে ১ শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার

কোটা সংস্কারের দাবিতে মাদারীপুর শহরে অবস্থান কর্মসূচি পালনের সময় পুলিশের ধাওয়া খেয়ে লেকে ঝাঁপ দিয়ে নিখোঁজ দুই শিক্ষার্থীর মধ্যে একজনের লাশ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস।

 

বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনার চার ঘণ্টা পর লেকে থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়; তবে এখনো এক শিক্ষার্থী নিখোঁজ আছেন বলে জানান মাদারীপুর সদর থানার ওসি এ এইচ এম সালাউদ্দিন।

তবে তাৎক্ষণিক তাদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।

কোটা সংস্কারের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা দেশজুড়ে ‘শাটডাউন’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে সকালে শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করে শিক্ষার্থীরা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল ১১টার দিকে পুলিশ সুপারের বাস ভবনের সামনে অবস্থান নেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। এ সময়ে পুলিশ ও ছাত্রলীগ কর্মীদের ধাওয়া খেয়ে আতঙ্কে দুই শিক্ষার্থীসহ বেশ কয়েকজন শকুনি লেকে ঝাঁপ দেয়।

সাঁতরে লেকের দক্ষিণ দিকে এগিয়ে যাওয়ার সময় ক্লান্ত হয়ে ওই দুই শিক্ষার্থী পানিতে তলিয়ে যায়। এ ছাড়া ঘটনাস্থল থেকে পাঁচ শিক্ষার্থীকে আটক করেছে পুলিশ।

খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি ডুবুরি দল লেকে তল্লাশি চালিয়ে একজনের লাশ উদ্ধার করেছেন। অন্যজনকে উদ্ধারে তল্লাশি চলছে।

ওসি সালাউদ্দিন বলেন, নিহতের পরিচয় শনাক্তে কাজ চলছে। এছাড়া সকালে আন্দোলনকারী পাঁচ শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে।