সোমবার ২৮ এপ্রিল ২০২৫, বৈশাখ ১৫ ১৪৩২, ২৯ শাওয়াল ১৪৪৬

ব্রেকিং

ঐকমত্যের বাইরে সংস্কারের প্রয়োজন নেই: আমির খসরু এপ্রিলের ২৬ দিনে প্রবাসী আয় ২২৭ কোটি ডলার দুই উপদেষ্টার সাবেক এপিএস ও পিওর পেছনে দুদক মামলার ‘হয়রানি’: বিএনপিকর্মীদের জন্য ক্ষতিপূরণ চান আমীর খসরু বটগাছ প্রতীক চায় খেলাফত আন্দোলনের জাফর গ্রুপ আইন উপদেষ্টার বাসায় পড়ে থাকা ড্রোনে ধ্বংসাত্মক ডিভাইস পাওয়া যায়নি রোম ছেড়েছেন প্রধান উপদেষ্টা কক্সবাজারের সাবেক এমপি জাফর আলম ঢাকায় গ্রেপ্তার আগামী নির্বাচনে অনেক সারপ্রাইজ দেখতে পাব: সামান্তা শারমিন কবি দাউদ হায়দারের নির্বাসিত জীবনের চিরমুক্তি পটুয়াখালীতে ধর্ষণের শিকার সেই শহীদকন্যার আত্মহত্যা ঢাকার বাতাস আজ ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ সুনামগঞ্জে তুচ্ছ ঘটনার জেরে যুবক খুন দুই পুত্রবধূসহ এপ্রিলেই দেশে ফিরছেন খালেদা জিয়া অন্তিম শয়ানে পোপ ফ্রান্সিস প্রতিরক্ষা অভিযানের খবর সরাসরি প্রচারে নিষেধাজ্ঞা ভারতের গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ৫৬ ফিলিস্তিনি নিহত

জাতীয়

ইউরিয়া সারের দাম কেজিতে ৬ টাকা বাড়ল

 আপডেট: ১৮:২০, ১ আগস্ট ২০২২

ইউরিয়া সারের দাম কেজিতে ৬ টাকা বাড়ল

আজ সোমবার (১ আগস্ট) থেকে ইউরিয়া সারের ব্যবহার যৌক্তিক পর্যায়ে রাখতে এবং চলমান বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক বাজারে সারের দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশে ডিলার পর্যায়ে ইউরিয়া সারের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য প্রতি কেজি ১৪ টাকা থেকে ২০ টাকা এবং কৃষক পর্যায়ে প্রতি কেজি ১৬ টাকা থেকে ২২ টাকা করা হয়েছে।  

আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি কেজি ইউরিয়ার সারের বর্তমান দাম ৮১ টাকা। এর ফলে ৬ টাকা দাম বৃদ্ধির পরও সরকারকে কেজিতে ৫৯ টাকা ভর্তুকি প্রদান করতে হবে। ২০০৫-০৬ অর্থবছরে প্রতি কেজি ইউরিয়া সারের ভর্তুকি ছিল মাত্র ১৫ টাকা।

২০১৯ সালে ডিএপি ব্যবহার হতো ৮ লাখ টন, বর্তমানে ব্যবহার হচ্ছে ১৬ লাখ টন। ডিএপি সারের ব্যবহার বাড়ায় ইউরিয়া সারের ব্যবহার কমার কথা থাকলেও উল্টো বেড়েছে। ২০১৯ সালে ইউরিয়া ব্যবহার হতো ২৫ লাখ টন। বর্তমানে ব্যবহার হচ্ছে ২৬ লাখ ৫০ হাজার টন।

অন্যদিকে, এক বছরে আন্তর্জাতিক বাজারে সারের দাম প্রায় ৩-৪ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে সরকারের ভর্তুকিও বেড়েছে প্রায় ৪ গুণ। ২০২০-২১ অর্থবছরে যেখানে ভর্তুকিতে লেগেছিল ৭ হাজার ৭১৭ কোটি টাকা; সেখানে ২০২১-২২ অর্থবছরে লেগেছে ২৮ হাজার কোটি টাকা।

উল্লেখ্য, চাহিদার বিপরীতে দেশে সব সারের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে। আমন মৌসুমে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত দেশে ইউরিয়া সারের চাহিদা ৬ লাখ ১৯ হাজার মেট্রিক টন, বিপরীতে বর্তমানে মজুত রয়েছে ৭ লাখ ২৭ হাজার মেট্রিক টন, যা প্রয়োজনের চেয়ে প্রায় ১ লাখ টন বেশি। টিএসপির আমন মৌসুমে চাহিদা ১ লাখ ১৯ হাজার টন, বিপরীতে মজুত ৩ লাখ ৯ হাজার টন, ডিএপির চাহিদা ২ লাখ ২৫ হাজার টন, বিপরীতে মজুত ৬ লাখ ৩৪ হাজার  টন এবং এমওপির চাহিদা ১ লাখ ৩৭ হাজার টন, বিপরীতে মজুত রয়েছে ২ লাখ ১০ হাজার টন।