বৃহস্পতিবার ১৩ মার্চ ২০২৫, ফাল্গুন ২৯ ১৪৩১, ১৩ রমজান ১৪৪৬

ব্রেকিং

সংস্কার: ৩০ দলই ঐক্যমত্য কমিশনে মতামত দেয়নি জাতিসংঘ মহাসচিব ঢাকায় তথ্যানুসন্ধান কমিটির প্রতিবেদন: ১৫ জুলাই হামলা ছিল পরিকল্পিত, ঢাবির ১২২ জন শনাক্ত ২৮ মার্চ শি’র সঙ্গে বৈঠকে বসবেন ইউনূস: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দাবি আদায়ের নামে রাস্তা অবরোধ করলে কঠোর ব্যবস্থা: আইজিপি বাংলাদেশ সম্পর্কে ভারতের সাম্প্রতিক মন্তব্যকে ঢাকা অযৌক্তিক বলল ৩ মাসে কোটি টাকার ব্যাংক হিসাব বেড়েছে প্রায় ৫ হাজার মাগুরার শিশুটিকে ধর্ষণ-হত্যার বিচার আগামী ৭ দিনের মধ্যে শুরু: আইন উপদেষ্টা মাগুরায় ধর্ষণের শিকার শিশু আছিয়ার মামলার তদন্ত দ্রুত শেষ করা হবে: আইজিপি চিকিৎসক নিয়োগে আসছে বিশেষ বিসিএস বাংলাদেশ ব্যাংক তিনটি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিয়েছে মাগুরায় ধর্ষণের শিকার শিশুর মৃত্যু, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি বিএনপি মহাসচিবের ফল আমদানিতে উৎসে কর কমল মাগুরার সেই নির্যাতিত শিশুর মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক অবশেষে মারাই গেল মাগুরার সেই শিশুটি যমুনা ও সচিবালয় এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ সেনা কর্মকর্তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা আরও ৬০ দিন বাড়লো শনি গ্রহের নতুন ১২৮টি চাঁদ আবিষ্কার পাকিস্তানে ট্রেনে জিম্মি ঘটনা: ৩০ ঘণ্টা পর অবসান

শিশু

কাজী নজরুল ইসলামের শৈশবের গল্প

 প্রকাশিত: ১১:০৭, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

কাজী নজরুল ইসলামের শৈশবের গল্প

কাজী নজরুল ইসলাম ১৮৯৯ সালের ২৪ মে পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা কাজী ফকির আহমদ ছিলেন মসজিদের ইমাম ও দরগার খাদেম। ছোটবেলা থেকেই নজরুল ছিলেন দুরন্ত ও কৌতূহলী স্বভাবের।

শৈশবে নজরুলের পরিবার আর্থিকভাবে স্বচ্ছল ছিল না। মাত্র নয় বছর বয়সে তিনি বাবাকে হারান, ফলে পরিবারের দায়িত্ব এসে পড়ে তাঁর কাঁধে। সংসারের অভাব-অনটন দূর করতে তিনি স্থানীয় মক্তবে পড়াশোনার পাশাপাশি মসজিদের মুয়াজ্জিনের কাজ করতেন। কিন্তু এর মধ্যেও তাঁর জ্ঞানার্জনের আগ্রহ ছিল অগাধ।

গ্রামের মক্তবে আরবি, ফারসি ও ইসলামি শিক্ষা গ্রহণের পাশাপাশি নজরুল স্থানীয় লেটোর দলে যোগ দেন। এই লেটো দলে গান গাওয়া, নাটক লেখা ও অভিনয়ের মাধ্যমে তাঁর সাহিত্য ও সঙ্গীতের প্রতি প্রবল আকর্ষণ তৈরি হয়। তিনি খুব দ্রুত কবিতা ও গান রচনায় দক্ষ হয়ে ওঠেন। তাঁর প্রতিভা দেখে দলের সবাই অবাক হতেন।

কিছুদিন পর তিনি গ্রামের স্কুল ছেড়ে আসানসোলের রানীগঞ্জ সিয়ারসোল রাজ স্কুলে ভর্তি হন। কিন্তু সংসারের চাপে পড়ে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। তিনি স্কুল ছেড়ে সেনাবাহিনীতে যোগ দেন এবং প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় ৪৯ নম্বর বেঙ্গল রেজিমেন্টে কাজ করেন। তবে তাঁর শৈশবের সেই দুঃসাহসী ও কৌতূহলী মনোভাব সেনাবাহিনীতেও স্পষ্ট ছিল।

শৈশব থেকেই নজরুল ছিলেন অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী। একবার গ্রামের এক জমিদার গরিব চাষিদের ওপর অন্যায় করছিলেন। ছোট্ট নজরুল সে ঘটনা দেখেই প্রতিবাদ করেন এবং চাষিদের পক্ষ নেন। তাঁর সাহস দেখে গ্রামের মানুষ বিস্মিত হন।

শৈশবের অভাব, কষ্ট ও সংগ্রামই ভবিষ্যতে তাঁকে বিদ্রোহী করে তোলে। পরে তিনিই হন বাংলা সাহিত্যের বিদ্রোহী কবি, যিনি তাঁর লেখনীর মাধ্যমে শোষিত মানুষের কণ্ঠস্বর তুলে ধরেন।

নজরুলের শৈশব কেবল দুঃখ-দুর্দশার গল্প নয়, বরং তা এক অসাধারণ প্রতিভার উত্থানের গল্প। ছোটবেলার সেই সংগ্রামই তাঁকে বাংলা সাহিত্য ও সঙ্গীতের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্ব করে তুলেছিল।