বৃহস্পতিবার ১৩ মার্চ ২০২৫, ফাল্গুন ২৯ ১৪৩১, ১৩ রমজান ১৪৪৬

ব্রেকিং

সংস্কার: ৩০ দলই ঐক্যমত্য কমিশনে মতামত দেয়নি জাতিসংঘ মহাসচিব ঢাকায় তথ্যানুসন্ধান কমিটির প্রতিবেদন: ১৫ জুলাই হামলা ছিল পরিকল্পিত, ঢাবির ১২২ জন শনাক্ত ২৮ মার্চ শি’র সঙ্গে বৈঠকে বসবেন ইউনূস: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দাবি আদায়ের নামে রাস্তা অবরোধ করলে কঠোর ব্যবস্থা: আইজিপি বাংলাদেশ সম্পর্কে ভারতের সাম্প্রতিক মন্তব্যকে ঢাকা অযৌক্তিক বলল ৩ মাসে কোটি টাকার ব্যাংক হিসাব বেড়েছে প্রায় ৫ হাজার মাগুরার শিশুটিকে ধর্ষণ-হত্যার বিচার আগামী ৭ দিনের মধ্যে শুরু: আইন উপদেষ্টা মাগুরায় ধর্ষণের শিকার শিশু আছিয়ার মামলার তদন্ত দ্রুত শেষ করা হবে: আইজিপি চিকিৎসক নিয়োগে আসছে বিশেষ বিসিএস বাংলাদেশ ব্যাংক তিনটি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিয়েছে মাগুরায় ধর্ষণের শিকার শিশুর মৃত্যু, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি বিএনপি মহাসচিবের ফল আমদানিতে উৎসে কর কমল মাগুরার সেই নির্যাতিত শিশুর মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক অবশেষে মারাই গেল মাগুরার সেই শিশুটি যমুনা ও সচিবালয় এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ সেনা কর্মকর্তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা আরও ৬০ দিন বাড়লো শনি গ্রহের নতুন ১২৮টি চাঁদ আবিষ্কার পাকিস্তানে ট্রেনে জিম্মি ঘটনা: ৩০ ঘণ্টা পর অবসান

শিশু

মার্ক জাকারবার্গের ছোটকালের একটি গল্প

 প্রকাশিত: ১২:১৩, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

মার্ক জাকারবার্গের ছোটকালের একটি গল্প

ছোটবেলা থেকেই মার্ক জাকারবার্গ ছিলেন প্রযুক্তিপ্রেমী ও কৌতূহলী শিশু। নিউ ইয়র্কের হোয়াইট প্লেইন্স শহরে ১৯৮৪ সালে জন্ম নেওয়া এই ছেলেটি যখন মাত্র ১০ বছর বয়সী, তখন থেকেই তিনি কম্পিউটার নিয়ে নানা ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতেন।

একদিন, তার বাবা এডওয়ার্ড জাকারবার্গ পরিবারের ডেন্টাল চেম্বারে একটি নতুন কম্পিউটার এনে রাখলেন। এটি দেখে মার্ক দারুণ উৎসাহী হয়ে উঠলেন। বাবা যখন ব্যস্ত থাকতেন, তখন তিনি কম্পিউটার নিয়ে নাড়াচাড়া করতেন। তবে কেবল গেম খেলার জন্য নয়, বরং কীভাবে এটি কাজ করে, সেটি বোঝার চেষ্টা করতেন।

কিছুদিন পর, বাবা-মা লক্ষ্য করলেন যে, মার্ক শুধু গেম খেলছেন না, বরং নিজেই গেম তৈরি করছেন! ছোট্ট মার্ক তখন নিজে নিজেই "ব্লাস্টার" নামের একটি গেম তৈরি করলেন। গেমটি ছিল একটি সাধারণ শুটিং গেম, যেখানে খেলোয়াড়কে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ পার করতে হতো। তার এই দক্ষতা দেখে বাবা-মা এতটাই অবাক হয়েছিলেন যে, তারা সিদ্ধান্ত নিলেন, মার্ককে প্রোগ্রামিং শেখানোর জন্য একজন শিক্ষকের ব্যবস্থা করবেন।

পরে, ডেভিড নিউম্যান নামের একজন সফটওয়্যার ডেভেলপার মার্কের শিক্ষক হলেন। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই তিনি বুঝতে পারলেন, ১২ বছরের এই ছেলেটির শেখার গতি এতটাই দ্রুত যে, তাকে শেখানো প্রায় অসম্ভব হয়ে উঠেছে! ডেভিড একবার মজার ছলে বলেছিলেন, "এই ছেলেকে আমি যতটা শেখানোর চেষ্টা করছি, সে তারচেয়ে দ্রুত শিখে নিচ্ছে!"

এই সময়েই মার্ক "ZuckNet" নামে একটি ছোট ম্যাসেজিং সফটওয়্যার তৈরি করলেন, যা তার বাবার ডেন্টাল অফিসের বিভিন্ন রুমের মধ্যে যোগাযোগের কাজ করত। এটি ছিল মূলত এক ধরনের ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং সিস্টেম, যা পরবর্তীতে আমরা "Facebook Messenger"-এর আদলে দেখতে পাই।

এই ছোট্ট কৌতূহল ও উদ্ভাবনী ক্ষমতার মাধ্যমেই মার্ক জাকারবার্গ ধীরে ধীরে এক প্রযুক্তি-প্রতিভায় পরিণত হন। মাত্র কয়েক বছর পর, তিনি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন এবং সেখানেই তৈরি করেন ফেসবুক, যা আজ বিশ্বজুড়ে যোগাযোগ ব্যবস্থার এক নতুন যুগের সূচনা করেছে।

ছোটবেলা থেকেই উদ্ভাবনী চিন্তা ও সমস্যা সমাধানের আগ্রহই তাকে আজকের বিশ্ববিখ্যাত প্রযুক্তিবিদ হিসেবে গড়ে তুলেছে।