ঘুমের ঘাটতি শিশুদের ওপর কী প্রভাব ফেলছে?
কোভিড মহামারীতে জন্মানো সাকিব স্কুলে যাওয়া-আসা শুরু করেছে এ বছরই। চার বছরের শিশুটি আগে রাত জাগলেও ঘুমানোর সুযোগ পেত দিনে। তবে স্কুল শুরুর পর রাত ২টার দিকে ঘুমিয়ে তাকে উঠতে হয় সকাল ৮টায়।
তাতে স্কুল খোলা থাকার দিনগুলোতে সাকিব গড়ে ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা ঘুমানোর সুযোগ পেত বলে তুলে ধরলেন বাবা শাহরিয়ার আহমেদ। তিনি এও বললেন, তিনি ও তার স্ত্রী কর্মজীবী হওয়ায় ছেলের হাতে রোজই মোবাইল ফোন তুলে দিতে বাধ্য হন। দিনের বেলা তারা বাসায় থাকেন না বলে স্কুল থেকে ফিরে ছেলে ঘুমায় না; ফোন নিয়েই পড়ে থাকে।
শাহরিয়ার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বাসায় আমি আর ওর মা’ই থাকি। আমাদের ফিরতে দেরি হয়ে যায়, এসেও তো কাজ থাকে। এজন্য ওকে তেমন সময় দিতে পারি না, মোবাইল দিতে হয়।
“মোবাইল বন্ধ করে ঘুম পাড়াতে চাইলে কান্নাকাটি করে, রেগে যায়। সব মিলিয়ে টাইমলি আমরা ঘুমাতে যেতে পারি না।”
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল স্লিপ ফাউন্ডেশনের পরামর্শ অনুযায়ী, ৩ মাস বয়সী শিশুদের দিনে ১৪ থেকে ১৭ ঘণ্টা, ৪ থেকে ১১ মাস বয়সী শিশুদের ১২ থেকে ১৫ ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন।
আর ১-২ বছর বয়সীদের ১১ থেকে ১৪ ঘণ্টা, ৩ থেকে ৫ বছর বয়সীদের ১০ থেকে ১৩ ঘণ্টা, ৬ থেকে ১৩ বছর বয়সীদের ৯ থেকে ১১ ঘণ্টা এবং ১৪ থেকে ১৭ বছর বয়সীদের ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা ঘুমানো প্রয়োজন।
তবে এ পরামর্শ মেনে চলার রুটিনে আনা যাচ্ছে না সাকিব আহমেদকে। তাতে শিশুটিকে স্কুলে পাঠানো নিয়ে রোজই ঝামেলায় পড়ার কথা বলছেন বাবা শাহরিয়ার।
“সকালে দেখা যায়- জোর করে ঘুম থেকে তুলে নিয়ে যেতে হয় স্কুলে; কান্নাকাটি করে, রেডি করার সময় ঝিমায়।”
এ সমস্যা শুধু ছোট্ট সাকিব নয়, আরও অনেক শিশুর; যা নিয়ে পেরেশানের মধ্যে থাকার বলছেন তাদের পিতামাতা।
বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটের পরিচালক মাহবুবুল আলমও বলছেন, এখনকার শিশুরা দেরিতে ঘুমাতে গেলেও স্কুলে যাওয়ার জন্য তাদের আগেভাগেই ঘুম থেকে উঠতে হচ্ছে।
“এর ফলে ঘুমের ঘাটতি থেকে যাচ্ছে। আবার বাসায় ফিরে বাবা-মা রাতে মোবাইল বা কম্পিউটারে কাজ করে, বিভিন্ন প্রোগ্রাম হয়। বাচ্চাদের সামনে যখন মোবাইল থাকে, তখন ঘুমাতে চায় না। আল্টিমেটলি ঘুমাতে ঘুমাতে ১২/১টা বাজে।”
শিশুদের ঘুমের ঘাটতি তৈরি হওয়ার পেছনে পারিবারিক পরিবেশ, শহরের আলো আর শব্দকেও দুষছেন তিনি।
দুই বছর বয়সী সাদমান আজওয়াদ সুহাসের প্রায়ই ঘুম ভেঙে যেত গাড়ির শব্দে। বাধ্য হয়ে তার পরিবার গেণ্ডারিয়ার বাসা ছেড়ে উঠেছে কেরাণীগঞ্জের বসুন্ধরা রিভারভিউ এলাকায়।
সুহাসের বাবা জুনায়েদ আহমেদ বলেন, বাসা বদলানোর পর থেকে তার আর এ সমস্যা হচ্ছে না।
"ট্রেন লাইন ছিল, রাস্তা ছিল বাসার পাশে- ট্রেন গেলে, বাস, ট্রাক গেলে শব্দে উঠে যেত। দিনে সমস্যাটা বেশি হত, কিন্তু প্রতি রাতে ২/৩ বার ঘুম ভাঙত। পরে আধা ঘণ্টা, এক ঘণ্টা কান্নাকাটি করে আবার ঘুমাত। এখন তো শান্ত এলাকা।"
তবে শিশুদের ঘুমের সমস্যার পেছনে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে মোবাইল ফোনের প্রভাবই দেখা যাচ্ছে।
ইস্কাটনের বিয়াম ল্যাবরেটরির চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী সুবর্ণ সকালের ঘুমাতে ঘুমাতে প্রায় রাত ১২টা বেজে যায়। তাকে উঠতে হয় সকাল ৭টায়।
মা শিউলি শবনম বললেন, রাত সাড়ে ১০টার মধ্যে বাচ্চাকে ঘুম পাড়ানোর চেষ্টা থাকলেও কর্মস্থল থেকে ফিরতে দেরি হওয়ায় তা আর সম্ভব হয় না।
“আমি বাসায় না যাওয়া পর্যন্ত ঘুমায় না। কখনও কখনও ফিরতে ১২টাও বেজে যায়। তখন ওর ঘুমাতে আরও দেরি হয়ে যায়। ওর আসলে প্রপার ঘুমটা হয় না। ভোরে তুলতে গেলে সহজে ওঠে না; বলে, ‘মা আর ২ মিনিট’”, বলছিলেন বেসরকারি চাকুরে শিউলি।
সকালের দিনলিপি তুলে ধরতে গিয়ে তার মা বললেন, স্কুলের ক্লাস শেষে কিছুক্ষণ খেলাধুলা সেরে বাসায় ফেরে সে। এরপর আবার তাকে কোচিংয়ে যেতে হয়। সন্ধ্যায় বাবার কাছে পড়াশোনা শেষে রাত ১১টা পর্যন্ত মোবাইল দেখে শিশুটি।
“এর বাইরে আমাদের কোনো অপশন নেই, যেহেতু আমরা বাসায় থাকি না। বই পড়া, বিড়াল দিয়ে অভ্যস্ততা তৈরি করার চেষ্টা করেছি- তাও ডিভাইস নিয়ে থাকে। মেইনটেইন করাটা কঠিন হয়ে যায়।”
শিউলি বলেন, “পরিবারের সদস্যদেরই আসলে মেইনটেইন করার ব্যাপার আছে। অনেকে বলে, বাচ্চা দেড়টা/২টার আগে ঘুমায় না, সেজন্য তারাও ঘুমাতে পারে না। ডিভাইসের একটা নির্দিষ্ট টাইম বেঁধে দিলে তারা বুঝতে পারে। বকা দিলে কাজ হয় না। অন্যদিকে মোটিভেট করলে ঠিক হয়ে যায়।”
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মাদ নাজমুল হকের নেতৃত্ব একদল গবেষক গত বছর ৩ থেকে ৫ বছর বয়সী ৪০০ শিশুর ওপর স্মার্টফোন ব্যবহারের প্রভাব নিয়ে গবেষণা করেন।
ওই গবেষণায় উঠে আসে, বাংলাদেশের প্রায় ৮৬ শতাংশ শিশু স্মার্টফোনে আসক্ত, যার মধ্যে ২৯ শতাংশের মারাত্মক আসক্তি রয়েছে। এর ফলে শিশুরা নিরবচ্ছিন্ন ঘুমাতে পারছে না।
অধ্যাপক নাজমুল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, অভিভাবকরাই নিজেদের কাজের সুবিধার জন্য শিশুদের হাতে মোবাইল তুলে দিচ্ছেন।
“আবার অনেকে মনে করেন, মোবাইল থেকে বাচ্চাদের অনেক কিছু শেখার আছে। কিন্তু লম্বা সময় ধরে ব্যবহার করাটা যে একটা প্রবলেমেটিক ইউজ- সেটা ধরতে পারে না। এর ফলে তার ঘুমটা সাউন্ড স্লিপ হয় না, অপর্যাপ্ত থাকছে।”
শিশুরা সবসময় মোবাইল ফোনের সঙ্গে থাকায় তাদের অনিয়ন্ত্রিত ঘুম হচ্ছে বলে মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সেলিম হোসাইন।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “যার ফলে ঘুমের মধ্যেও তাদের সাব-কনশাস মাইন্ডের একটা অংশ ওইদিকে থাকে, কোয়ালিটি অব স্লিপটা হয় না।”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগের অধ্যাপক কামাল উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আগের শিশুদের দ্রুত ঘুমিয়ে পড়ার সুযোগ ছিল। কিন্তু বর্তমানে প্রেক্ষাপট ভিন্ন থাকার কারণে তারা সে সুযোগ পাচ্ছে না।
“আবার আগে স্কুল শেষে বাসায় এসে বাচ্চারা দুপুরে বা বিকালে ঘুমাতে পারত। সেটা এখন হচ্ছে না, কোচিংয়ে যেতে হচ্ছে।”
কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনে শিশুদের কাউন্সেলিং করান শ্যামল আতিক। তার ভাষ্য, সময়মত শিশুদের ঘুম পাড়াতে হলে তাদের রাত ৯টার মধ্যে মোবাইল থেকে সরাতে হবে।
“সেটার রেশ কিন্তু পরবর্তী আড়াই-তিন ঘণ্টা থেকে যাচ্ছে মস্তিষ্কে। এটা বাচ্চার ঘুমটাকে নষ্ট করে দেয়। আবার যেসব বাচ্চারা আলাদা রুমে থাকে, তারা মোবাইল নিয়ে পড়ে থাকছে। এতেও ঘুমের ঘাটতি তৈরি হচ্ছে।”
এখনকার ছেলেমেয়েরা যে খেলাধুলার সুযোগ পাচ্ছে না, সেই বাস্তবতার কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, “আমরা ছোটবেলায় খেলাধুলা করেছি, ক্লান্তি আসত ঘুমিয়ে পড়তাম। বাবা-মাও দেরিতে ঘুমাতে যায়, পর্দার ফাঁক দিয়েও বাইরে থেকে আলো আসে- সেটাও ঘুমকে ডিস্টার্ব করছে।”
কম ঘুম, কী ক্ষতি?
ঘুমের ঘাটতির ফলে শিশুর শারীরিক ও মানসিক নানা ক্ষতির কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
অধ্যাপক কামাল উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী বলেন, এর ফলে ভবিষ্যতে রক্তচাপ বেড়ে যাওয়া, কাজের ক্ষমতা কমে যাওয়া এবং অল্প বয়সেই বুড়িয়ে যাওয়াসহ নানা ধরনের সমস্যা তৈরি হবে।
“সময়ের আগেই কার্যক্ষমতা হারানো, মনোযোগের ঘাটতি, ক্লান্তি…ফ্রেশ ঘুম হলে যে এনার্জিটা তৈরি হবে সেটা হচ্ছে না। বিরক্তি হওয়া এ ধরনের সমস্যাও হয় ঘুম না হওয়ার কারণে।”
পড়তে না চাওয়া, স্কুলে যেতে অনাগ্রহ, স্কুলে যাওয়ার সময় কান্নাকাটি করা, স্কুলে গিয়ে বমি করা, বেঞ্চে ঘুমিয়ে পরা, হোমওয়ার্ক ভুলে যাওয়া, মেজাজ হারানো, চেহারার কোমলতা নষ্ট হওয়ার মত সমস্যা নিয়ে অভিভাবকরা সন্তানের কাউন্সেলিং করাতে আসেন শ্যামল আতিকের কাছে।
এই কাউন্সেলর বলেন, এই সমস্যাগুলো যে ঘুমের অভাবের কারণে হচ্ছে, সেটা অভিভাবকরা ধরতে পারছেন না।
তিনি বলেন, “মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়, ক্ষুধামন্দা দেখা দেয় এবং অ্যাকাডেমিক জায়গায় পিছিয়ে যাওয়ার মূল কারণও এটা। এখন পড়াশোনার চাপও বেশি। যার কারণে শিশুরা দিনের বেলায়ও ঘুমানোর সুযোগ পাচ্ছে না।”
ঘুমের ঘাটতির ফলে সমস্যায় পরা শিশুদের সংখ্যা ‘আশঙ্কাজনক’ বলে মনে করছেন তিনি।
কম ঘুমানোর কারণে শিশুদের আরও কিছু ক্ষতির দিক জানালেন বিশেষজ্ঞ মাহবুবুল আলম।
“কম ঘুমে উচ্চতা বাড়ে না, স্কুলে গিয়ে পড়ায় মনোযোগ দিতে পারে না। যখন উচ্চতর পড়াশোনা বা কর্মক্ষেত্রে যায়, তখনও মনোযোগে ঘাটতি হয়, মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয়। বাসায় ফিরে যে ঘুমাবে, সেটাও বর্তমান যুগে নাই। কোচিং, বিভিন্ন প্রোগ্রামে ভর্তি হতে হয়।”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক সেলিম হোসাইন বলেন, ঘুম বা জেগে থাকার চক্র নিয়ন্ত্রণ করা হরমোন মেলাটোনিন শরীর থেকে বের হয় না- রাত জেগে থাকলে। ফলে শিশুদের শরীরে ‘ছাড়াছাড়া ভাব’ তৈরি হয়।
“রাতের অন্ধকারে ঘুমালে ইউরিনের মাধ্যমে তা বের হয়। দেরিতে ঘুমালে ঘুম থেকে উঠেও তার ফ্রেশ ঘুম হয় না; আর দিনের ঘুমটা কার্যকরী ঘুম না। কম ঘুমে কাজে লেগে থাকার সক্ষমতা হারায়; আর ভবিষ্যতে ডায়বেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ হতে পারে।”
উত্তরণের পথ কী
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা শিশুদের ডিভাইস দেখার উপর একটি নির্দেশনা দিয়েছে। ওই নির্দেশনা অনুযায়ী, ০ থেকে ১ বছর বয়সীদের ডিভাইস দেখা উচিত নয়। ২ থেকে ৪ বছর বয়সীরা সর্বোচ্চ ১ ঘণ্টা সময় কাটাতে পারে ডিভাইসের সঙ্গে।
শিশুদের নিরবচ্ছিন্ন ঘুম নিশ্চিত করতে ওই নির্দেশনা অনুযায়ী তাদের সময় বেঁধে দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
অধ্যাপক কামাল বলেন, এই পরামর্শ গ্রহণ করার মত পরিস্থিতি বর্তমানে নেই; ফলে এর বিকল্প খুঁজে বের করতে হবে।
“শারীরিক নড়াচড়া হয়- এ ধরনের খেলাধুলার জীবনে ফিরে যেতে হবে; সেটাও তো সম্ভব না। সেকারণে তারা বাধ্য হচ্ছে ডিভাইস ব্যবহার করতে। তারা খোলা মাঠে যদি খেলাধুলা করত, ঘুরে বেড়াতে পারত- তাহলে ক্লান্ত হয়ে পড়ত। এমনিতেই রাত ১০টায় ঘুমিয়ে পরত।”
তিনি বলেন, “সময়টা এমন হয়ে গেছে- বাবা-মা পরিবারের স্বচ্ছতার জন্যই বাইরে বের হচ্ছে, এটারও একটা প্রভাব পড়ছে। কিন্তু তারা বাধ্য হয়েই চাকরি করতে যাচ্ছে।”
চিকিৎসক মাহবুবুল আলম বলেন, পড়াশোনার চাপ থাকলেও রাত ১০/১১টার মধ্যেই শিশুদের ঘুমের পরিবেশ তৈরি করতে হবে।
“বাবা-মাকেও এই সময়ের মধ্যে ডিভাইস ছেড়ে ঘুমাতে যেতে হবে।”
মনোবিজ্ঞানের শিক্ষক সেলিম হোসাইন বলেন, বাংলাদেশে রাত ৯টা থেকে ভোর ৪টা পর্যন্ত ঘুমের জন্য আদর্শ সময়।
“এই সময়ের মধ্যে তাদের বেসিক ঘুমটা কমপ্লিট করতে হবে। স্ক্রিনটাইম লিমিট করে দিতে হবে যে- এই সময়ের বেশি দেখা যাবে না।”
শ্যামল আতিকের পরামর্শ, রাতের বেলায় শিশুদের চিনি ও খেজুর জাতীয় খাবার থেকে দূরে রাখতে হবে। এ ধরনের খাবার খেলে তাদের মধ্যে এনার্জি তৈরি হবে, যার ফলে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে।
“ফাস্ট ফুড জাতীয় খাবারও একেবারেই বন্ধ করতে হবে। রাতে যে ঘুমটা হচ্ছে সেটার ঘাটতি কমাতে দুপুরে কিছুটা ঘুম পাড়িয়ে দিতে হবে। এরপর আউটডোরে খেলার সুযোগ না থাকলেও ঘরের মধ্যেই মুভমেন্ট জাতীয় খেলা খেলাতে হবে- যাতে পরিশ্রম হয়। আর রুমটা যেন অন্ধকার থাকে; আলো থাকলে গভীর ঘুম হয় না।”